রপ্তানি বাণিজ্যে অবদান এবং বাণিজ্য সংগঠনে নেতৃত্ব দেওয়ার জন্য ১৭৬ জন ব্যবসায়ীকে বাণিজ্যিকভাবে গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তির (সিআইপি) কার্ড দিল সরকার। বাণিজ্য মন্ত্রণালয় ২০১৮ সালের জন্য তাদেরকে নির্বাচিত করেছে। বৃহস্পতিবার রাজধানীর একটি পাঁচতারকা হোটেলে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি এই কার্ড বিতরণ করেন।
রপ্তানিতে অবদানের স্বীকৃতিস্বরূপ অনুষ্ঠানে ১৩৮ জন রপ্তানিকারক ও পদাধিকারবলে ৩৮ জন ব্যবসায়ী নেতাকে সিআইপি কার্ড দেওয়া হয়। সিআইপি কার্ডধারীরা সচিবালয়ে প্রবেশে বিশেষ পাস পাবেন। ব্যবসা সংক্রান্ত ভ্রমণে বিমান, রেল, সড়ক ও নৌপথে আসনে অগ্রাধিকার পাবেন। বিমানবন্দরে ভিআইপি লাউঞ্জ ব্যবহারেরও সুযোগ পাবেন তাঁরা।
বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব তপন কান্তি ঘোষের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে বাংলাদেশ শিল্প ও বণিক সমিতি ফেডারেশনের (এফবিসিসিআই) সভাপতি মো. জসিম উদ্দিন, মেট্রোপলিটন চেম্বার অব কমার্স এন্ড ইন্ডাস্ট্রি(এমসিসিআই)’র সভাপতি মো. সাইফুল ইসলাম, রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুারোর (ইপিবি) ভাইস-চেয়ারম্যান এ এইচ এম আহসান প্রমূখ বক্তব্য রাখেন।
অনুষ্ঠানে বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি বলেন, বাংলাদেশ আজ অর্থনৈতিকভাবে সারাবিশ্বে রোড মডেল হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে। এর পেছনে রয়েছে ব্যবসায়ীদের বড় অবদান। চলতি অর্থবছরে ৫১ বিলিয়ন মার্কিন ডলারের রপ্তানি লক্ষ্যমাত্রা অর্জণের ব্যাপারে তিনি দৃঢ় আশাবাদ ব্যক্ত করেন। তিনি বলেন, ২০২৪ সাল নাগাদ ৮০ বিলিয়ন ডলারের রপ্তানি আয়ের যে লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে, সেটা আমরা অর্জন করতে সক্ষম হবো। কেননা ইতোমধ্যে রপ্তানি পণ্য বহুমূখীকরণের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। এছাড়া বিশ্বের অনেক দেশ থেকে বাংলাদেশে ব্যবসা-বাণিজ্য স্থানাস্তরের সুযোগ তৈরি হচ্ছে। সেটার সদ্ব্যব্যবহার করতে পারলে এই লক্ষ্যমাত্রায় রপ্তানি করতে পারব। বাণিজ্যমন্ত্রী মনে করেন উন্নয়নশীল দেশে উত্তোরণ পরবর্তী চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় যেসব পদক্ষেপ নেওয়া হচ্ছে, তাতে বাণিজ্যের কোন ক্ষতি হবে না।
অনুষ্ঠানে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব তপন কান্তি ঘোষ বলেন, বাংলাদেশের ব্যবসা-বাণিজ্যের যে ব্যাপ্তি তৈরি হয়েছে, এর পেছনে রয়েছে এদেশের উদ্যোক্তা শ্রেণী। সেটা আমাদের বড় শক্তি। তাই আমার মনে হয় এলডিসি পরবর্তী বাণিজ্যিক চ্যালেঞ্জ আমাদের উদ্যোক্তারা সহজেই মোকাবিলা করতে পারবেন।-বাসস