ঝালকাঠির সুগন্ধা নদীতে লঞ্চে অগ্নিকাণ্ডে নিহতদের মধ্যে ৩৩টি মরদেহ বরগুনায় এসে পৌঁছেছে। শুক্রবার (২৪ ডিসেম্বর) রাত সোয়া ১১টার দিকে লাশবাহী ট্রাকে করে মরদেহগুলো বরগুনা সদর হাসপাতালে এসে পৌঁছায়।
প্রথমে মরদেহ আসার আগে বরগুনা সদর হাসপাতালের মরদেহ রাখার স্থান পরিদর্শন করেন বরগুনা ১ ও ২ আসনের সংসদ সদস্য, জেলা প্রশাসক, পুলিশ সুপার, পৌর মেয়র, সিভিল সার্জনসহ প্রশাসনিক কর্মকর্তারা।
শুক্রবার রাত সোয়া ১১টার দিকে ঝালকাঠি পৌরসভার লাশবাহী ট্রাকে করে ৩৩টি মরদেহ বরগুনায় নিয়ে আসা হয়। এসময় স্বজনদের আহাজারিতে ভারী হয়ে ওঠে বরগুনা সদর হাসপাতাল প্রাঙ্গণ। স্কাউটসের স্বেচ্ছাসেবকরা গাড়ি থেকে মরদেহগুলো নামিয়ে সারিবদ্ধভাবে সাজিয়ে রাখেন।
বরগুনার সিভিল সার্জন ডা. মারিয়া হাসান বলেন, অধিকাংশ লাশই ঝলসে গেছে। যেগুলো অক্ষত আছে সেগুলো স্বজনদের কাছে হস্তান্তর করা হবে। যে লাশগুলো শনাক্ত করা যাবে না সেগুলো ডিএনএ পরীক্ষার মাধ্যমে হস্তান্তর করা হবে।
বরগুনার জেলা প্রশাসক হাবিবুর রহমান বলেন, ইতোমধ্যে পাঁচটি মরদেহ স্বজনদের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। বাকি ৩২টি মরদেহ সদর হাসপাতালে সংরক্ষিত আছে। বাকি লাশগুলো আগামীকাল দুপুর ১২টায় জানাজা শেষে সদরের পোটকাখালী গ্রামে দাফন করা হবে।