গাজীপুরে স্বামীর অতিরিক্ত নির্যাতন সইতে না পেরে নিজের শরীরে কেরোসিন ঢেলে আগুন ধরিয়ে দেওয়া গৃহবধূ সালমা আক্তারের (৩০) মৃত্যু হয়েছে। সোমবার (১৪ ডিসেম্বর) রাজধানীর উত্তরার একটি হাসপাতালে তার মৃত্যু হয়।
সালমা আক্তার গাজীপুর মহানগরীর পুবাইলের বিন্দান এলাকার আজমত উল্লাহর মেয়ে। তিনি একই এলাকার জাহিদুল ইসলামের স্ত্রী।
পুলিশ ও নিহতের স্বজনরা জানান, ফুফাতো ভাই জাহিদুল ইসলামের সঙ্গে বিয়ে হয় সালমা আক্তারের। তাদের সংসারে তিনটি সন্তান রয়েছে। পারিবারিক কলহের জেরে জাহিদুল ইসলাম তাকে প্রায়ই নির্যাতন করতেন। নির্যাতন সইতে না পেরে গত রোববার সালমা নিজের শরীরে কেরোসিন ঢেলে আগুন ধরিয়ে আত্মহত্যার চেষ্টা করেন। এসময় স্বজনরা তাকে উদ্ধার করে গাজীপুর শহীদ তাজউদ্দিন আহমদ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যান। সেখানে তার অবস্থার অবনতি হলে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকায় পাঠানো হয়। পরে স্বজনরা তাকে উত্তরার একটি বেসরকারি হাসপাতালে নিয়ে ভর্তি করেন। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় সোমবার সালমা মারা যান।
খবর পেয়ে পুলিশ নিহতের মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য শহীদ তাজউদ্দিন আহমদ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠায়।
গাজীপুর মেট্রোপলিটন পুলিশের পুবাইল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মুহিদুল ইসলাম জানান, এ ঘটনায় নিহতের স্বামীকে গ্রেফতার করা হয়েছে। স্বজনদের পক্ষ থেকে লিখিত অভিযোগ পেলে পরে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।