পুলিশের কাছে সকল অপরাধের তথ্য রয়েছে। তাদের যখন যে তথ্য প্রয়োজন হয় সেটি প্রকাশ করে বলে দাবি করেছেন বাম গণতান্ত্রিক জোটের নেতারা।বৃহস্পতিবার জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে আয়োজিত মানববন্ধনে এ দাবি করা হয়।
বাম গণতান্ত্রিক জোটের নেতারা বলেন, দেশের সকল কৃতিত্ব প্রধানমন্ত্রীর থলিতে, অন্যরা শুধু বসে বসে সময় পার করছেন। পুলিশের হিসেবে সারাদেশে ৪৫ জন ইয়াবা ব্যবসার প্রধান হোতা হলেও তাদের আইনের আওতায় না এনে পুলিশ তাদের মদদ দিচ্ছে। সকল তথ্য পুলিশের কাছে থাকার পরও তাদের আইনের আওতায় আনা হচ্ছে না।
তারা বলেন, দেশের সকল অন্যায় অনিয়মের তথ্য পুলিশের কাছে রয়েছে। যখন যেটা তাদের প্রয়োজন হচ্ছে সেটি প্রকাশ করছে। পুলিশ আমলারা দেশকে লুণ্ঠনের স্বর্গরাজ্য হিসেবে মনে করেন। চাকরিকালীন দুই হাতে সম্পদ তৈরি করে অবসরে পরিবার নিয়ে বিদেশ চলে যান। বাংলাদেশে বর্তমানে চীন ও ল্যাটিন আমেরিকার মতো পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে। সেখানে গণতন্ত্রের আন্দোলন শুরু হলেই আন্দোলনকারীরা হারিয়ে যায়, বাংলাদেশ তেমন পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে।
গণতান্ত্রিক বাম জোটের সমন্বয়ক বজলুর রশীদ ফিরোজ বলেন, পুলিশ প্রজাতন্ত্রের কর্মচারী থেকে বর্তমানে ক্ষমতাসীন দলের কর্মচারীতে পরিণত হয়েছে। মাদক দমন করার দায়িত্ব তাদের ওপর অর্পিত থাকলেও বর্তমানে পুলিশ সদস্যরা মাদক ব্যবসার সঙ্গে জড়িয়ে পড়ছে। বিনা ভোটে সরকার ক্ষমতায় আসায় এমন পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে। দেশে গুম, খুন, বিচারবহির্ভূত হত্যা বন্ধ করতে বর্তমান সরকারকে ক্ষমতা থেকে পতন করতে হবে।
পাশাপাশি মেজর সিনহার হত্যাকারী ও হত্যার পরিকল্পনাকারীদের বিচারের আওতায় আনার দাবি জানান নেতারা। মানববন্ধন শেষে বিক্ষোভ মিছিল করে বাম সংগঠনগুলো।
মানববন্ধনে বক্তব্য রাখেন বাম গণতান্ত্রিক জোটের নেতা রাশেদুজ্জামান, ডক্টর হারুন-অর-রশিদ, অধ্যাপক আব্দুস সাত্তার, আকবর খান, রাজেকুজ্জামান রতন প্রমুখ।