ডায়াবেটিস সারা জীবনের রোগ। কিন্তু একে সুনিয়ন্ত্রিত রাখতে পারলে সুস্থ ও স্বাভাবিক জীবন যাপন করা সম্ভব। কাজেই ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে রাখতে আমাদের এর ঝুঁকিগুলোর ব্যাপারে জানতে হবে, অন্যদেরও জানাতে হবে।
ডায়াবেটিস সম্পর্কে সচেতনতার অভাবে এদেশে প্রতি বছর অসংখ্য ডায়াবেটিক রোগী হৃদরোগ, স্ট্রোক, কিডনি, চোখ ও মাড়ির রোগে আক্রান্ত হন। অনেকে পঙ্গুত্ববরণ করা ছাড়াও নানা শারীরিক জটিলতার শিকার হন, এমনকি অনেকে মারা যান। কাজেই এ রোগ সম্পর্কে জনগণকে ব্যাপকভাবে সচেতন করে তুলতে হবে।
রোববার (১৪ নভেম্বর) ‘বিশ্ব ডায়াবেটিস দিবস’ উপলক্ষে দেওয়া এক বাণীতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এ কথা বলেন।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, প্রতি বছরের মতো এবারও বাংলাদেশ ডায়াবেটিক সমিতির উদ্যোগে ‘বিশ্ব ডায়াবেটিস দিবস’ পালিত হচ্ছে জেনে আমি আনন্দিত। দিবসটির এবারের প্রতিপাদ্য- ‘ডায়াবেটিস সেবা নিতে আর দেরি নয়’ যথার্থ হয়েছে বলে আমি মনে করি।
তিনি বলেন, আওয়ামী লীগ সরকার সব সময় জনগণের সুস্বাস্থ্য রক্ষায় নানা কর্মসূচি নিয়ে আসছে। আমরা জনগণের দোরগোড়ায় স্বাস্থ্যসেবা পৌঁছে দিতে নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছি। একটি গণমুখী স্বাস্থ্যনীতি প্রণয়ন করে তা বাস্তবায়নে আমরা কাজ করছি। সারাদেশের সব হাসপাতালে শয্যা সংখ্যা বাড়ানোর পাশাপাশি নতুন নতুন মেডিকেল কলেজ, নার্সিং কলেজ, নার্সিং ইনস্টিটিউট ও মেডিকেল অ্যাসিস্ট্যান্ট ট্রেনিং স্কুল প্রতিষ্ঠা করা হয়েছে।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, এরই মধ্যে তৃণমূল পর্যায়ে স্বাস্থ্যসেবা বিস্তৃত করতে দেশব্যাপী সব উপজেলায় ও ইউনিয়ন পর্যায়ে কমিউনিটি ক্লিনিক ও স্বাস্থ্যকেন্দ্র প্রতিষ্ঠা করা হয়েছে। ডায়াবেটিস প্রতিরোধ ও নিয়ন্ত্রণে সরকারের সহায়তা অব্যাহত থাকবে। আমি ‘বিশ্ব ডায়াবেটিস দিবস ২০২১’ উপলক্ষে গৃহীত সব কর্মসূচির সার্বিক সাফল্য কামনা করি।