1. nagorikkhobor@gmail.com : admi2017 :
  2. shobozcomilla2011@gmail.com : Nagorik Khobor Khobor : Nagorik Khobor Khobor
রবিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৫, ০৪:১৮ অপরাহ্ন
শিরোনাম :
ছাত্রদল নেতা প্রাইম এশিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের মেধাবী ছাত্র নবাব পারভেজ হত্যার বিচারের দাবিতে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী ছাত্রদলের সভাপতি রাকিবুল ইসলাম রাকিব এর নেতৃত্বে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে তাৎক্ষণিক বিক্ষোভ মিছিল। ব্রিফিং | বিএনপি ও লিবারেল ডেমোক্রেটিক পার্টির (এলডিপি) লিয়াজোঁ কমিটির বৈঠক | ১৯ এপ্রিল ২০২৫, শনিবার নাছিরপুর জলমহাল: দখল-পাল্টা দখলে রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষের আশঙ্কা; এক ডাবলুতেই আতঙ্ক পদত্যাগ করলেন এনসিপির যুগ্ম মুখ্য সমন্বয়ক রাফিদ ভূঁইয়া একাত্তরের রাজনীতি ভুল ছিল বলেই চব্বিশ ঘটেছে: শারমীন এস মুরশিদ যখন সংস্কারের কথা কেউ ভাবেনি তখন থেকে বিএনপি সংস্কারের কথা বলেছে। -অধ্যাপক আলী রীয়াজ, ঐকমত্য কমিশনের সহসভাপতি। ভারতীয় দূতাবাস অভিমুখে গণমিছিলের ডাক দিলেন মাওলানা মামুনুল হক আগামী মাসে দেশে ফিরতে পারেন খালেদা জিয়া’ কু‌মিল্লা বরুড়ার খোশবা‌সে ৪ ছে‌লেকে জোরপুর্বক বলৎকা‌র,ধামাচাপায় ব্যস্ত কুচক্রীমহল কালীগঞ্জে বজ্রপাতে কৃষকের মৃত্যু

শিল্প কারখানা বৃ‌দ্ধি‌তে নারায়নগ‌ঞ্জে ফস‌লি জ‌মি ক‌মে আস‌ছে

মাসুম মোল্লা:
  • আপডেট টাইম : রবিবার, ৩১ অক্টোবর, ২০২১
  • ২২৮ বার পঠিত

গা‌র্মেন্টস ইন্ড্রা‌টিজসহ শিল্প কারখানার ক্ষেত্রে এগিয়ে ঢাকার পার্শ্ববর্তী জেলা নারায়ণগঞ্জ। শিল্পায়নের প্রসারে যে নগরায়ণ হচ্ছে তাতে কলেবর বাড়ছে শহরে। কমছে ফসলি জমি, বাড়ছে জেলায় উৎপাদিত খাদ্যশস্যের ঘাটতি। অপরিকল্পিত শিল্পায়নে প্রতি বছরই কোপ পড়ছে কৃষি জমিতে। এতে স্বাভাবিকভাবেই কমছে খাদ্য উৎপাদন।

কৃষিজমি কমে যাওয়ায় বাড়ছে না আবাদ। নির্দিষ্ট গণ্ডির মধ্যে উৎপাদন ওঠা-নামা করছে। গত এক দশকে প্রাচ্যের ডান্ডি খ্যাত নারায়ণগঞ্জে ধানের আবাদ হয়েছে ১ লাখ ১২ হাজার ৩৯৮ হেক্টর জমিতে। তবে সরকারের কৃষিবান্ধব নীতি, আধুনিক প্রযুক্তির ব্যবহার, বীজ-সারের সহজলভ্যতা ও উন্নত জাতের বীজ উদ্ভাবনের কারণে উৎপাদন স্থিতিশীল রয়েছে বলে দাবি কৃষি বিভাগের।

নারায়ণগঞ্জ কৃষি বিভাগ জানায়, ক্রমবর্ধমান জনসংখ্যার চাপে ধানি জমি ও খাল-জলাশয় ভরাট করে গড়ে উঠছে বাড়িঘর। নগরায়ণ ও শিল্পায়নের ফলে বাড়ছে শিল্প-কারখানাসহ নানা স্থাপনা। এতে প্রতি বছর ১ শতাংশ কৃষিজমি চলে যাচ্ছে অকৃষি খাতে।

বন্দর উপজেলা এলাকার কৃষক আমির উদ্দিন বলেন, ২০ বছর আগেও গোলা ভরে ধান তুলতাম। বাড়ির সামনে দাঁড়ালে শুধু ফসলি জমি চোখে পড়তো। এখন বাড়ির সামনে দাঁড়ালে খালি বিল্ডিং চোখে পড়ে। ধানও আগের মতো হয় না। ক্ষেতও নেই। কী চাষ করবো আর কী ধান তুলবো।

আড়াইহাজার এলাকার কৃষক খালেক বলেন, আগে আমাদের অনেক ফসলি জমি ছিল। প্রত্যেক মৌসুমে প্রায় ৪০০ মণ ধান তুলতাম। এখন ৫০ মণও ধান ফলাতে পারি না। আমরা ১০ ভাই ছিলাম। বর্তমানে দু-তিনজন ছাড়া সবাই চাকরি করেন। তাদের ফসলি জমির দরকার নেই। তারা তাদের জমি বিভিন্ন কোম্পানির কাছে বিক্রি করেছেন। এসব জমিতে বড় বড় কোম্পানি হচ্ছে। এভাবেই আমাদের ফসলি জমি কমছে।

কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর, বিশ্বব্যাংক, জাতিসংঘসহ বিভিন্ন সংস্থার প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ১০ বছর ধরে নারায়ণগঞ্জে আশঙ্কাজনকভাবে ধানি জমি কমতে শুরু করেছে। বিশেষ করে নগর ও নগরীর আশপাশের উপজেলায় ব্যাপকভাবে আবাদযোগ্য জমি কমছে। বড় হচ্ছে শহরাঞ্চল। এসব এলাকায় অপরিকল্পিত নগরায়ণে কৃষিজমি দ্রুত অকৃষি খাতে যাচ্ছে। এছাড়া ক্রমবর্ধমান জনসংখ্যা বৃদ্ধির ফলে আবাসস্থল, শিল্প-কারখানাসহ নানা স্থাপনা নির্মাণের কারণে বেশি কমছে আবাদযোগ্য জমি।

১৯৯৭ সালে কৃষি জরিপ অনুযায়ী, ফসলি জমির পরিমাণ ছিল ৬৮ হাজার ৮৩৯ হেক্টর। এর মধ্যে চাষাবাদের আওতায় ছিল ৪৬ হাজার ৭৭৪ হেক্টর। জেলায় অকৃষি জমি ৩৮২১ হেক্টর। ফসলের নিবিড়তা ১৭৬ শতাংশ। আবাদযোগ্য পতিত জমি ৪ হাজার ৩০৫ হেক্টর ও অস্থায়ী পতিত জমি ৫৮৭০ হেক্টর।

মৃত্তিকা সম্পদ উন্নয়ন ইনস্টিটিউট (এসআরডিআই) প্রতিবেদনে বলছে, দেশে বিভাগওয়ারি কৃষিজমি অকৃষি খাতে চলে যাওয়ার প্রবণতা নারায়ণগঞ্জে বেশি। এ বিভাগে প্রতি বছর ৩ হাজার ৮২১ হেক্টর জমি অকৃষি খাতে চলে যাচ্ছে।

 

নিউজটি শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরো খবর..
© All rights reserved © 2020 nagorikkhobor.Com
Theme Developed BY ThemesBazar.Com