ফরিদপুরের বোয়ালমারী উপজেলার দাদপুর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের বর্ধিত সভায় এক মনোনয়ন প্রত্যাশীর ফাইল ছিনতাইয়ের অভিযোগ পাওয়া গেছে।
শুক্রবার (২৯ অক্টোবর) রাতে উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক বরাবর এ অভিযোগ করেছেন ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক শেখ সাজ্জাদুর রহমান হাই।
এদিকে এ ঘটনাকে কেন্দ্র করে শনিবার সকালে দুই পক্ষের মধ্যে উত্তেজনা বিরাজ করলে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে পুলিশ অভিযোগকারীসহ পাঁচজনকে আটক করেছে।
আটকরা হলেন- মনোনয়ন প্রত্যাশী সাজ্জাদুর রহমান হাই, হারুন চৌকিদার, এরশাদ শেখ, ওবায়দুর শেখ ও শাহাজান শেখ।
অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে, দাদপুর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগ শুক্রবার রাঙ্গামুলার কান্দী হাজী আব্দুল্লাহ একাডেমি হলরুমে বর্ধিত সভার আয়োজন করে। ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক শেখ সাজ্জাদুর রহমান হাই আসন্ন ইউপি নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন প্রত্যাশী। ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি হারুন অর রশিদও আওয়ামী লীগের মনোনয়ন প্রত্যাশী। সন্ধ্যার দিকে হারুন অর রশিদের নেতৃত্বে তার কয়েকজন সমর্থক সাজ্জাদুর রহমান হাইয়ের ফাইল ছিনিয়ে নেয় বলে অভিযোগ করেন সাজ্জাদুর রহমান। হট্টগোলের এক পর্যায়ে সভাটি বন্ধ হয়ে যায়।
এ বিষয়ে ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি হারুন অর রশিদ জাগো নিউজকে বলেন, আমার বিরুদ্ধে করা সব অভিযোগ মিথ্যা। বর্ধিতসভায় ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও মনোনয়ন প্রত্যাশী সাজ্জাদুর রহমান হাই ও তার ছেলে উপজেলা স্বেচ্ছাসেবকলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক শেখ মঞ্জুর হোসেন তুষার মনোনয়নের ফাইল ছিনিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করেন। নিজেদের দোষ ঢাকতে তারা আমার ওপর মিথ্যা অভিযোগ তুলেছেন।
উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক শাহজাহান মীরদাহ পিকুল বলেন, দাদপুর ইউনিয়নের বর্ধিত সভায় ফাইল নিয়ে কাড়াকাড়ি হয়েছে। এ সময় দুই পক্ষের মধ্যে হাতাহাতির ঘটনা ঘটেছে।
তিনি আরও বলেন, ফাইল কাড়াকাড়ি নিয়ে একটি লিখিত অভিযোগ পেয়েছি। সভা ডেকে সবার মতামত নিয়ে করণীয় বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।
বোয়ালমারী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নুরুল আলম বলেন, শনিবার সকালের ঘটনায় পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে উভয়পক্ষের পাঁচজনকে আটক করা হয়েছে। তবে এখন পর্যন্ত কোনো পক্ষ থানায় লিখিত অভিযোগ করেনি।