কক্সবাজারের উখিয়ার রোহিঙ্গা ক্যাম্পে আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে দুই গ্রুপের সংঘর্ষে ৭ জন নিহত হয়েছে। এ ঘটনায় আরও ২০জন আহত হয়েছে।। গুরুতর আহতদের উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। তবে তাক্ষৎণিকভাবে আহতদের পরিচয় পাওয়া যায়নি। শুক্রবার (২২ সেপ্টেম্বর) ভোরে উখিয়ার পালংখালী ইউনিয়নের ময়নারঘোনা ১৮ নম্বর ক্যাম্পে এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।
এ ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে অস্ত্রসহ এক রোহিঙ্গা যুবককে আটক করেছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। আটককৃত যুবকের কাছ থেকে একটি দেশীয় তৈরি বন্দুক,৬ রাউন্ড গুলি ও একটি দেশীয় ছুরি উদ্ধার করা হয়। এ ঘটনার পর থেকে পুরো ক্যাম্পজুড়ে নিরাপত্তা জোরদার করা হয়েছে।
নিহতরা হলেন,ক্যাম্প-১২ এর মাদ্রাসা শিক্ষক মো. ইদ্রিস, ক্যাম্প-৯ এর মৃত মুফতি হাবিবুল্লাহর ছেলে ইব্রাহীম হোসেন, ক্যাম্প-১৮ এর নুরুল ইসলামের ছেলে মাদ্রাসা ছাত্র আজিজুল হক, ক্যাম্প-১৮ এর আবুল হোসেনের ছেলে মো. আমিন।
পরে হাসপাতালে নেওয়ার পর আরও তিনজন মারা যায়। তারা হলেন ক্যাম্প-১৮ এর মোহাম্মদ নবীর ছেলে নুর আলম ওরফে হালিম (৪৫), ক্যাম্প-২৪ এর মাদ্রাসা শিক্ষক রহিমুল্লাহর ছেলে হামিদুল্লাহ(৫৫) ও ক্যাম্প-১৮ এর নুর মোহাম্মদ এর ছেলে মাদ্রাসা ছাত্র নুর কায়সার (১৫)।
এপিবিএন ও পুলিশ নিহতদের লাশ উদ্ধার করে উখিয়া থানায় নিয়ে আসেন। নিহতদের ময়নাতদন্তের জন্য সুরতহাল রিপোর্ট তৈরি করে কক্সবাজার সদর হাসপাতাল মর্গে প্রেরণের প্রক্রিয়া চলছে বলে উখিয়া থানার অফিসার ইনচার্জ আহাম্মদ সনজুর মোর্শেদ জানিয়েছেন।
এ ঘটনার খবর পেয়ে কক্সবাজার ত্রাণ ও শরণার্থী প্রত্যাবাসন কমিশনার শামছুদ্দৌজা নয়ন,কক্সবাজার জেলা প্রশাসক মো. মামুনুর রশীদ, জেলা অতিরিক্ত পুলিশ সুপার রফিকুল ইসলাম ঘটনাস্থলে পরিদর্শনে গেছেন বলে জানিয়েছেন উখিয়া থানার ডিউটি অফিসার।
৮ এপিবিএন এসপি মো. শিহাব কায়সার খান বলেন,শুক্রবার ভোরে গোলাগুলির ঘটনা ঘটে। এতে ৭জন রোহিঙ্গা নিহত হয়েছে। তিনি আরও বলেন,ক্যাম্পের পরিস্থিতি এখন আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। ক্যাম্পে যেকোনো অপ্রীতিকর ঘটনা রোধে এপিবিএন কঠোর অবস্থানে রয়েছে বলে জানান তিনি।
উল্লেখ্য, গত ২৯ সেপ্টেম্বর রাতে উখিয়ার লম্বাশিয়া ক্যাম্পে দুর্বৃত্তের গুলিতে রোহিঙ্গাদের শীর্ষ নেতা মুহিবুল্লাহ নিহত হয়। এর পর থেকে রোহিঙ্গা ক্যাম্পে উত্তেজনা বিরাজ করে আসছে।