মিতু হত্যাকাণ্ডে দায়ের হওয়া প্রথম মামলার চূড়ান্ত প্রতিবেদনের ওপর নারাজি শুনানি হবে আগামী ২১ অক্টোবর। বৃহস্পতিবার (১৪ অক্টোবর) মামলার বাদী ও সাবেক পুলিশ সুপার (এসপি) বাবুল আক্তারের আইনজীবীর আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মেহনাজ রহমানের আদালত এ আদেশ দেন। একই সঙ্গে আরেক আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে ওইদিন আদালত ফেনী কারাগার থেকে বাবুল আক্তারকে চট্টগ্রামে হাজির হওয়ার আদেশ দিয়েছেন।
বিষয়টি নিশ্চিত করে বাবুল আক্তারের আইনজীবী অ্যাডভোকেট আজমুল হুদা বলেন, মিতু হত্যাকাণ্ডে দায়ের হওয়া প্রথম মামলার চূড়ান্ত প্রতিবেদন দিয়েছেন তদন্ত কর্মকর্তা। আমরা প্রতিবেদনের ওপর আদালতে নারাজির আবেদন করেছি। আদালত নারাজি শুনানির তারিখ আগামী ২১ অক্টোবর ধার্য্য করেছেন। এছাড়া আরেকটি আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে ধার্য্য তারিখে বাবুল আক্তারকে ফেনী কারাগার থেকে চট্টগ্রাম আদালতে হাজির হওয়ার আদেশ দিয়েছেন।
আদালত সূত্রে জানা গেছে, ২০১৬ সালের ৫ জুন সকালে চট্টগ্রাম নগরের নিজাম রোডে ছেলেকে স্কুলবাসে তুলে দিতে যাওয়ার পথে দুর্বৃত্তদের গুলি ও ছুরিকাঘাতে খুন হন মাহমুদা খানম মিতু। ওই সময় এ ঘটনা দেশজুড়ে ব্যাপক আলোচিত হয়। ঘটনার সময় তৎকালীন পুলিশ সুপার ও মিতুর স্বামী বাবুল আক্তার অবস্থান করছিলেন ঢাকায়। ঘটনার পর তিনি চট্টগ্রামে ফিরে পাঁচলাইশ থানায় অজ্ঞাতনামাদের আসামি করে একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। ওই মামলার প্রায় পাঁচ বছর শেষে গত ১২ মে আদালতে চূড়ান্ত প্রতিবেদন দাখিল করে পুলিশ। মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ও পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই) চট্টগ্রাম মেট্রোর পরিদর্শক সন্তোষ কুমার চাকমা এ প্রতিবেদন দাখিল করেন।
এদিকে বাবুল আক্তারের দায়ের করা মামলায় স্ত্রী হত্যাকাণ্ডে তারই সম্পৃক্ততা পায় পিবিআই। গত ১২ মে আগের মামলায় চূড়ান্ত প্রতিবেদন জমা দেওয়ার দিন বাবুল আক্তারকে প্রধান আসামি করে চট্টগ্রাম নগরের পাঁচলাইশ থানায় মামলা দায়ের করেন মিতুর বাবা সাবেক পুলিশ পরিদর্শক মোশাররফ হোসেন।