সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের সারাদিন মিথ্যা কথা বলেন বলে মন্তব্য করেছেন তার ছোট ভাই বসুরহাট পৌরসভার মেয়র আবদুল কাদের মির্জা। তিনি বলেছেন, ‘উনি (ওবায়দুল কাদের) তো সারাদিন মিথ্যা কথা বলেন। আমার কাছে দুই মাস আগে যে ওয়াদা করেছেন তার একটাও পূরণ করেননি।
শুক্রবার (১ অক্টোবর) নিজের ফেসবুক পেজ থেকে লাইভে এসে আবদুল কাদের মির্জা এসব কথা বলেন। ওই লাইভে তিনি বড় ভাই ওবায়দুল কাদের, ভাবি ইশরাতুন্নেসা কাদেরসহ বিভিন্নজনের বিষয়ে কথা বলেন। ইশরাতুন্নেসার নির্দেশে পুলিশ খালের জায়গার অবৈধ দখল উচ্ছেদে বাধার সৃষ্টি করছে বলেও তিনি অভিযোগ করেন।
লাইভে ওবায়দুল কাদেরকে উদ্দেশ করে কাদের মির্জা বলেন, ‘আপনি কী মনে করছেন? বুড়াকালে কি ভীমরতি হয়েছে? নিজেকে বিলীন করে দিতে চান? এগুলো করলে এখানে কোম্পানীগঞ্জের মানুষ আপনার কবর রচনা করবে আগামী নির্বাচনে। আগামী নির্বাচনে দাঁড়াবার সুযোগও পাবেন না। আপনার কবিরহাটেও আমরা অনুরূপ পরিবেশ সৃষ্টি করবো। এগুলোর জবাব পরবর্তী নির্বাচনে আপনাকে দিতে হবে। পার পাওয়ার সুযোগ নেই।
কাদের মির্জা বলেন, ‘আমি অবৈধ স্থাপনা ভাঙতে গেলে পুলিশ বাধা দেয়। পুলিশ সুপার (এসপি) ও কোম্পানিগঞ্জ থানার ওসি টাকায় বিক্রি হয়ে গেছেন। কিছু বললে বলে ওপরের নির্দেশ। ওই নির্দেশ কি ওবায়দুল কাদেরের? দিলেও দিতে পারেন। উনি তো সারাদিন মিথ্যা কথা বলেন। সারাদিন মিথ্যা কথা বলেন, মিথ্যুক। আমার কাছে দুই মাস আগে যে ওয়াদা করেছেন তার একটাও পূরণ করেননি। আর তার গুণধর স্ত্রী দুর্নীতিবাজ ইশরাতুন্নেসা কাদেরের নির্দেশে আজ পুলিশ খালের জায়গার অবৈধ দখলদার উচ্ছেদের পথে বাধার সৃষ্টি করছে।
পুলিশের প্রতি অনুরোধ জানিয়ে তিনি বলেন, ‘আপনারা কারও টাকা খেয়ে সরকারি সম্পত্তি উদ্ধারের অভিযানে বাধা সৃষ্টি করবেন মা। আর পুলিশ দিয়ে কতক্ষণ আটকানো যাবে। ওই অবৈধ স্থাপনা আমি ভাঙবোই।
কাদের মির্জা বলেন, ‘আজকে কোম্পানীগঞ্জে যে অবস্থা চলছে এটা থেকে আমাদেরকে নিষ্কৃতি পাওয়ার জন্য আন্দোলনের বিকল্প নেই। আন্দোলন করে আমাদের অধিকার আদায় করতে হবে। এটার বিকল্প নেই। উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি খিজির হায়াত খান ও সাধারণ সম্পাদক নুরনবীকে দল থেকে অনেক আগেই রেজুলেশন করে বহিষ্কার করা হয়েছে। এর আগে বাদলকে বিতাড়িত করা হয়েছে সর্বসম্মতিক্রমে।
সেতুমন্ত্রীর ভাগনে জনতা ব্যাংক চৌমুহনী শাখার প্রিন্সিপাল অফিসার ফখরুল ইসলাম রাহাতকে দুর্নীতিবাজ উল্লেখ করে তিনি আরও বলেন, ‘সে (রাহাত) ব্যাংকের তিন কোটি টাকা আত্মসাৎ করেছে। এ ঘটনায় মামলা দায়ের হলেও মন্ত্রীর ভাগনে বলে তাকে মামলা থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে।সুত্র:জাগো নিউজ।