কুড়িগ্রামের ভূরুঙ্গামারীতে দাফনের সাড়ে চার মাস পার হওয়ার পর কবরে অক্ষত অবস্থায় এক নারীর মরদেহ দেখা গিয়েছে বলে জানিয়েছেন স্থানীয়রা। কালজানি নদীর প্রবল ভাঙনে ওই কবরের একপাশ ধসে যায়। এতে ওই মরদেহের একাংশ বেড়িয়ে যায়। এসময় এলাকার মানুষ অক্ষত অবস্থায় মরদেহটি দেখতে পান।
বুধবার (১৫ সেপ্টেম্বর) দুপুরে উপজেলার শিলখুড়ি ইউনিয়নের উত্তর ধলডাঙ্গা গ্রামে স্থানীয় সাবেক ইউপি সদস্য আমবাজ আলীর বাড়ির পারিবারিক কবর স্থানে এ ঘটনা ঘটে। এ খবর ছড়িয়ে পড়লে মরদেহটি দেখতে ওই কবরের পাশে উৎসুক জনতার ভিড় জমে।
জানা যায়, সাড়ে চার মাস আগে শিলখুড়ি ইউনিয়নের ৩নং ওয়ার্ডের সাবেক ইউপি সদস্য আমবাজ আলীর স্ত্রী মারা গেলে বাড়ির পাশে পারিবারিক কবরস্থানে তাকে দাফন করা হয়। সম্প্রতি নদী ভাঙনে কবরটির একপাশ ভেঙে গেলে মরদেহটি অক্ষত অবস্থায় দেখতে পান স্থানীয়রা। পরে এলাকাবাসী অক্ষত মরদেহটি সরিয়ে নিয়ে এলাকার সামাজিক কবরস্থানে আবার দাফন করেন।
শিলখুড়ি ইউনিয়নের ৬ নং ওয়ার্ডের বাসিন্দা লুৎফর রহমান জানান, লাশ পুনরায় দাফনের কাজে তিনি নিজে নিয়োজিত ছিলেন। লাশের গায়ে কোনোরকম দুর্গন্ধ তো দূরের কথা কাফনের কাপড়েও কোন পরিবর্তন দেখেননি তিনি। আগের কাফনেই তাকে পুনরায় দাফন করা হয়েছে। মৃত্যুর প্রায় ৫ মাস পরেও এরকম অক্ষত মরদেহ দেখে তিনি বিস্মিত।
শিলখুড়ি ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আবু ইউসুফ বলেন, ‘এরকম অলৌকিক ঘটনার কথা লোকমুখে শুনেছি কিন্তু আজ আমি নিজে এটার সাক্ষী হয়ে গেলাম। শুনেছি তিনি অত্যন্ত একজন দানশীল মহিলা ছিলেন। তার কাছে হাত পেতে কেউ কখনও নিরাশ হননি। পাঁচ ওয়াক্ত নামাজের পাশাপাশি তিনি নিয়মিত তাহাজ্জুদ নামাজ পড়তেন।’
ভূরুঙ্গামারী উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. এ এস এম সায়েম বিষয়টি শুনে বিস্ময় প্রকাশ করে জানান, এমনটা হওয়া বিজ্ঞান সম্মত নয়। কোন ধরনের সংরক্ষণমূলক ব্যবস্থা ছাড়া দাফনের ১০/১৫ দিনের মধ্যে প্রাকৃতিক নিয়মেই লাশ পঁচে যাওয়ার কথা।
স্থানীয়রা জানান, একজন নামাজি ও দানশীল মহিলা ছিলেন, পর্দা করতেন, নিয়মিত তাহাজ্জুত নামাজ আদায় করতেন। আল্লাহর দেখানো পথে জীবন যাপন করেছেন, আল্লাহ তাকে ভাল রেখেছেন এটাই বড় কথা।তাকে আল্লাহ পাক জান্নাতবাসী করেছেন বলেই উনার লাশ অক্ষত রয়েছেন।