এ বছরের জানুয়ারি থেকে জুন পর্যন্ত ৬ মাসে হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমান বন্দর দিয়ে নয় হাজার ২৭০ কেজি স্বর্ণবার ও স্বর্ণালঙ্কার দেশে এসেছে। বিদেশ ফেরত বিভিন্ন পর্যায়ের যাত্রীদের মাধ্যমে এসব স্বর্ণ এসেছে। যার মাধ্যমে সরকারের কোষাগারে ১৮৩ কোটি ৬৯ লাখ ৮১ হাজার ৫৭৭ টাকা শুল্ক-কর জমা হয়েছে। যদিও এসময়ে ব্যবসায়ীদের মাধ্যমে সরাসরি স্বর্ণ আমদানির তথ্য পাওয়া যায়নি। ঢাকা কাস্টম হাউসের ঊর্ধ্বতন সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে। ব্যাগেজ রুলসের আওতায় একজন যাত্রী বিদেশ থেকে ফেরার সময় ঘোষণা দিয়ে সর্বোচ্চ ২৩৪ গ্রাম ওজনের স্বর্ণবার নিয়ে আসতে পারেন। বৈধভাবে স্বর্ণের বার আমদানির জন্য শুল্ক-কর পরিশোধ করতে হয়। ব্যাগেজ রুলসের আওতায় প্রতি ভরিতে (১১ দশমিক ৬৬৪ গ্রাম) শুল্ক-কর দুই হাজার টাকা।
ঢাকা কাস্টম হাউস সূত্রে জানা যায়, চলতি বছরের জানুয়ারি থেকে জুন পর্যন্ত সময়ে আসা স্বর্ণবার ও স্বর্ণালঙ্কারের পরিমাণ নয় হাজার ২৭০ কেজি ২২৮ গ্রাম। যার মাধ্যমে সরকারের কোষাগারে ১৮৩ কোটি ৬৯ লাখ ৮১ হাজার ৫৭৭ টাকা শুল্ক-কর জমা হয়েছে। এর মধ্যে জানুয়ারি মাসে এক হাজার ৪৩২ কেজি ৭০৭ গ্রাম, ফেব্রæয়ারি মাসে এক হাজার ৫২৯ কেজি ৮৯৩ গ্রাম, মার্চে এক হাজার ৬৩৪ কেজি ৪৩৩ গ্রাম, এপ্রিলে ৯৯৬ কেজি ২৯ গ্রাম, মে মাসে এক হাজার ৭২৭ কেজি ৫৩৯ গ্রাম এবং জুন মাসে এক হাজার ৯৪৯ কেজি ২২৮ গ্রাম স্বর্ণবার ও স্বর্ণালঙ্কার এসেছে।
এনবিআরের তথ্যানুযায়ী, বহু বছর ধরে দেশের ভেতরে ব্যবহৃত অলঙ্কার, ব্যাগেজ রুলের মাধ্যমে বিদেশ থেকে আনা অলঙ্কার ও স্বর্ণবার দিয়েই ব্যবসায়ীরা ব্যবসা করছেন। অবৈধ পথে স্বর্ণ আমদানি ঠেকানোসহ এ খাতে শৃঙ্খলা ফেরাতে সরকার ২০১৮ নীতিমালা তৈরি করে। এরপর থেকে দেশে বৈধপথে দুইভাবে স্বর্ণ আমদানি করা যায়। ২০১৮ সালের স্বর্ণ নীতিমালার আওতায় লাইসেন্সধারী প্রতিষ্ঠান বাংলাদেশ ব্যাংকের অনাপত্তি নিয়ে স্বর্ণ আমদানি করতে পারে। আবার ব্যাগেজ রুলসের আওতায় একজন যাত্রী বিদেশ থেকে ফেরার সময় ঘোষণা দিয়ে সর্বোচ্চ ২৩৪ গ্রাম ওজনের স্বর্ণবার নিয়ে আসতে পারেন। বৈধভাবে স্বর্ণের বার আমদানির জন্য শুল্ক-কর পরিশোধ করতে হয়।
বিভিন্ন সূত্রে জানা যায়, প্রতি বছর দেশের বাজারে ৪০ টন স্বর্ণ বেচাকেনা হয়। এর মাত্র ১০ শতাংশ দেশের ভেতরে আগে থেকে ব্যবহার হওয়া স্বর্ণ। বাকিটা স্বর্ণ বার হিসেবে বিভিন্ন উপায়ে বিদেশ থেকে দেশে আসে। হাতে ও মেশিনে স্বর্ণালঙ্কার তৈরি করা হয়। বাংলাদেশে যত স্বর্ণালঙ্কার পাওয়া যায় তার ৮০ শতাংশ হাতে তৈরি। বিভিন্ন সীমাবদ্ধতার কারণে বাংলাদেশ থেকে স্বর্ণালঙ্কার রপ্তানি প্রসার পায়নি। রফতানি উন্নয়ন ব্যুরোর তথ্যানুসারে মতে, খুবই সামান্য স্বর্ণালঙ্কার রফতানি হয়ে থাকে।