কথিত সাংবাদিক ইকবাল হোসেন সুমনের দায়ের করা যড়যন্ত্রমুলক মামলায় বুড়িচং উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আখলাক হায়দারের ছেলে আদনান হায়দারসহ ৪ জনকে কক্সবাজার থেকে গ্রেপ্তার করে থানা পুলিশ। বুড়িচং থানা পুলিশের একটি টিম শুক্রবার রাতে তাদেরকে কক্সবাজার থেকে গ্রেপ্তার করে গতকাল ভোর রাতে কুমিল্লায় নিয়ে আসে।
থানায় দায়েরকৃত মামলা থেকে জানা যায়, জেলার বুড়িচং উপজেলার ময়নামতি ইউনিয়নের ফরিজপুরে একটি ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানে চাঁদার দাবিতে গত ৩রা আগস্ট সন্ত্রাসী হামলা চালিয়ে ভাঙচুরসহ নগদ টাকা লুটে নেয় আদনান হায়দার ও তার সহযোগীরা। এ ঘটনায় দৈনিক যুগান্তরে খবর প্রকাশিত হয়। এর জের ধরে গত ১৭ই আগস্ট রাতে ওই সাংবাদিক বাসায় ফেরার পথে বুড়িচংয়ের ময়নামতির তুঁতবাগান এলাকায় তাকে আটকে রেখে মাথায় অস্ত্র ঠেকিয়ে অমানবিক নির্যাতন করে আদনান ও তার সহযোগীরা। এ ঘটনায় ওই সাংবাদিক বাদী হয়ে আদনানসহ ৯ জনের বিরুদ্ধে ১৯শে আগস্ট থানায় মামলা করেন।
প্রকৃতপক্ষে অন্য ঘটনাকে আড়াল করে কথিত সাংবাদিক সুমন প্রতিশোধ নিতে আদনানের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করে। যুগান্তরে প্রকাশিত সংবাদ নিয়ে সুমন ও আদনানের সাথে এ ঘটনা ঘটেনি বলে বিশ্বস্ত একটি সুত্র জানায়।
সুত্র জানায়, ইকবাল হোসেন সুমন সাংবাদিক পরিচয়ে বিভিন্ন ব্যবসায়িদেরকে ব্লাক মেইল করে টাকা দাবী করত। তেমনি বুড়িচং ময়নামতি এলাকার এক অটো গ্যারেজের মালিক বিদ্যুত চুরি করে অটো রিক্সায় ব্যাটারি চার্জ করার কথা বলে বিশ হাজার টাকা দাবী করে। পরে বিষয়টি গ্যারেজ মালিক আদনানকে জানায়, আদনান এ বিষয়ে সুমনকে কল করলে মোবাইলে হুমকি দেয় তাকেও দেখে নেওয়ার, এক পর্যায়ে ঘটনার দিন সুমন মামলায় উল্লেখ করা ঘটনাস্থলে গিয়ে আদনান হায়দারকে গালাগাল করে।থবর পেয়ে আদনান রাগান্বিত হয়ে ঘটনাস্থলে পৌছে সুমনকে চড় থাপ্পড় মারে। আর এ বিষয়টাকে কেন্দ্র করে প্রতিশোধ নিতে সুমন পত্রিকায় সংবাদ প্রকাশের অযুহাত দাড় করিয়ে যড়যন্ত্রমুলক গল্প সাজিয়ে আদনানকে জড়িয়ে থানায় মিথ্যা অভিযোগ দায়ের করে ।
এ বিষয়ে বুড়িচং উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান আখলাক হায়দার বলেন, তার ছেলের সঙ্গে ভিন্ন বিষয়ে ওই সাংবাদিকের হাতাহাতি ও বাকবিতণ্ডা হয়েছে, এটা ষড়যন্ত্রমূলক মামলা।
বুড়িচং থানার ওসি আলমগীর হোসেন জানান, এ মামলার আসামি আদনান হায়দার, মহিউদ্দিন, জজু মিয়া ও ফরহাদ আহমেদ মৃধাকে কক্সবাজার থেকে গ্রেপ্তারের পর গতকাল ভোর রাতে কুমিল্লায় নিয়ে আসা হয়। দুপুরে তাদেরকে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে প্রেরণ করা হয়েছে। অপর আসামিদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।