গাজীপুরে এক স্কুল ছাত্রকে অপহরন ও মুক্তিপন দাবীর একদিন পর হত্যা করে চক্রের সদস্যরা ।
মঙ্গলবার রাতে গাজীপুর সিটি কর্পোরেশনের নলজানী মধ্যপাড়া এলাকায় স্কুল ছাত্রের বাসার পাশে তার লাশ পাওয়া যায়।
নিহত ফাহিম (৭) নেত্রকোণার আটপাড়া উপজেলার স্বরমুসিয়া গ্রামের কামরুল ইসলামের ছেলে।গ্রেপ্তার তামিম হোসেন (২০) হবিগঞ্জের সুজনপুর গ্রামের রইচ মিয়ার ছেলে। গাজীপুর নগরের বাসন থানার ওসি রফিকুল ইসলাম জানান, নগরীর নলজানী মধ্যপাড়ায় একটি ভাড়া বাড়িতে কামরুল ইসলাম স্ত্রী ও ছেলে ফাহিমকে নিয়ে থাকেন। তারা স্বামী-স্ত্রী স্থানীয় পোশাক কারখানায় চাকরি করেন। শারীরিক প্রতিবন্ধী ফাহিম স্থানীয় চান্দনা কেজি ইন্সটিটিউটের দ্বিতীয় শ্রেণির ছাত্র ছিল।
ওসি বলেন, প্রতিদিনের মতো সোমবার ফাহিমকে বাসায় রেখে কামরুল ও তার স্ত্রী চাকরিতে যান। দুপুরে খাবারের বিরতির সময় তারা বাসায় গিয়ে ফাহিমকে না পেয়ে খোঁজাখুঁজি করতে থাকেন।
“রাতে অজ্ঞাত ব্যক্তিরা মোবাইল ফোনে শিশুটির পরিবারের কাছে ফাহিমকে অপহরণ করার কথা জানিয়ে পাঁচ লাখ টাকা মুক্তিপণ দাবি করে। টাকা না দিলে তারা ফাহিমকে হত্যার হুমকি দেয়।”
ওসি বলেন, সন্তানকে ফিরে পেতে অপহরণকারীদের কথামতো বিকাশের মাধ্যমে দুই হাজার টাকা দেন শিশুটির বাবা। এক পর্যায়ে ছেলেকে না পেয়ে পুলিশ ও র্যাবকে জানান বিষয়টি।
তিনি আরও জানান, মঙ্গলবার রাত ৮টার দিকে বাসার পাশে পরিত্যক্ত একটি জমিতে ময়লার স্তূপে বস্তায় শিশুটির লাশ পাওয়া যায়। খবর পেয়ে পুলিশ লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য গাজীপুরের শহীদ তাজউদ্দীন আহমদ মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল মর্গে পাঠিয়েছে।
এদিকে, র্যাব-১-এর কোম্পানি কমান্ডার আব্দুল্লাহ আল মামুন জানান, অভিযোগ পাওয়ার পর তারা ছায়া তদন্ত শুরু করেন। লাশ উদ্ধার হওয়ার আড়াই ঘণ্টা পর মঙ্গলবার রাত সাড়ে ১০টার দিকে মহানগরীর শিববাড়ি এলাকায় অভিযান চালিয়ে অপহরণকারী দলের হোতা তামিমকে গ্রেফতার করে।
তামিম শিশুটিকে অপহরণ ও মুক্তিপণ দাবির কথা স্বীকার করেছেন বলে জানান এই র্যাব কর্মকর্তা।