মাছ ধরার ওপর নিষেধাজ্ঞা উঠে যাওয়ায় ব্যস্ত সময় কাটাচ্ছেন সারাদেশের জেলেরা। চলতি সপ্তাহে জেলেদের জালে ঝাঁকে ঝাঁকে ধরা পড়ছে রুপালি ইলিশ। ট্রলারভর্তি রুপালি ইলিশ নিয়ে কক্সবাজার ফিশারি ঘাটে ফিরছেন তারা। ইলিশের পাশাপাশি ধরা পড়ছে রূপচাঁদা, পোয়া, রিটা, থাইল্যা, ছুরি, লইট্যাসহ নানা প্রজাতির সামুদ্রিক মাছ। তবে ঝাঁকে ঝাঁকে ইলিশ ধরা পড়লেও দাম এখনও একটু বেশি।
সরেজমিনে দেখা গেছে, কক্সবাজার মৎস্য অবতরণ কেন্দ্রের টানেলে এখন উৎসবের আমেজ। টানা তিন মাস কোলাহল না থাকলেও নিষেধাজ্ঞা শেষ হওয়ায় মৎস্য অবতরণ কেন্দ্র জেলে ও ব্যবসায়ীদের পদচারণায় মুখরিত হয়ে উঠেছে। ৬৫ দিন নিষেধাজ্ঞা শেষে সাগরে গেলেও বৈরী আবহাওয়ার কারণে জালে ওঠেনি ইলিশ। এতে হতাশ ছিলেন জেলে ও মৎস্য ব্যবসায়ীরা। কিন্তু গত এক সপ্তাহে পাল্টে গেছে এখানকার চিত্র। সাগর থেকে ট্রলারভর্তি ইলিশ নিয়ে ঘাটে ফিরছেন জেলেরা। ঘাট থেকে মোকামে তোলা হচ্ছে ছোট-বড় ইলিশ। ব্যবসায়ীদের হাঁকডাক ও বেচা-বিক্রিতে সরগরম হয়ে ওঠে ফিশারি ঘাট নামে পরিচিত এই মৎস্য অবতরণ কেন্দ্রটি।
কক্সবাজার মৎস্য ব্যবসায়ী সমিতির সভাপতি জানে আলম পুতু বলেন, ‘বৈরী আবহাওয়া এবং ৬৫ দিনের নিষেধাজ্ঞা কাটিয়ে হাজারও ফিশিং ট্রলার গত এক সপ্তাহ ধরে সাগরে ইলিশ আহরণে গেছে। প্রতিদিন প্রচুর পরিমাণ ইলিশ নিয়ে ফিরছে ট্রলারগুলো। নিষেধাজ্ঞাকালে যে ক্ষতি হয়েছে আশা করি, তা পুষিয়ে লাভের মুখ দেখবেন ব্যবসায়ী ও ফিশিং ট্রলার মালিকরা।
সামুদ্রিক মৎস্য জরিপ ব্যবস্থাপনা ইউনিটের কক্সবাজারের বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা হাসান আনোয়ারুল কবির জানান, মৎস্য অধিদফতরের আওতায় গবেষণার মাধ্যমে সাগরে মাছ আহরণ ৬৫ দিন বন্ধ থাকার ফলে সাফল্য এসেছে। বড় আকারের বিপুল পরিমাণ ইলিশ আগামীতে আরও বেশি পাওয়া যাবে।