গার্মেন্টসহ কলকারখানা খুলে দেয়ার প্রেক্ষিতে শ্রমিকদের কর্মস্থলে ফেরার সুবিধার্থে আগামীকাল রোববার দুপুর ১২টা পর্যন্ত স্বাস্থ্যবিধি মেনে সীমিত পরিসরে সব ধরনের গণপরিবহন চলাচলের অনুমতি দিয়েছে সরকার।
তৈরি পোশাক মালিকদের সংগঠন বিজিএমইএ’র সভাপতি ফারুক হাসান গণমাধ্যমকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
অন্যদিকে বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌ-পরিবহন কর্তৃপক্ষ (বিআইডব্লিউটিএ) জানিয়েছে, রোববার দুপুর ১২টা পর্যন্ত দেশের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের সব জেলায় এবং শিমুলিয়া-বাংলাবাজার, পাটুরিয়া-দৌলতদিয়া নৌরুটে যাত্রীবাহী লঞ্চ চলাচল করবে।
শনিবার সন্ধ্যায় বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন বিআইডব্লিউটিএ’র চেয়ারম্যান কমোডর গোলাম সাদেক।
এদিকে শনিবার গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে বিজিএমইএ’র সভাপতি ফারুক হাসান কারখানা মালিকদের উদ্দেশে বলেছেন, বিধিনিষেধ পুরোপুরি প্রত্যাহার না হওয়া পর্যন্ত গ্রামে অবস্থানরত কোনো শ্রমিক-কর্মচারী কাজে যোগদান করতে না পারলে তার বিরুদ্ধে কোনো ধরনের ব্যবস্থা নেয়া যাবে না। কারখানার আশপাশে অবস্থানরত শ্রমিকদের নিয়ে উৎপাদন কার্যক্রম পরিচালনার জন্য সদস্যদের আহ্বান জানাচ্ছি।
শুক্রবার বিকেলে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের উপ-সচিব মো: রেজাউল ইসলাম স্বাক্ষরিত এক প্রজ্ঞাপনে ১ আগস্ট (রোববার) থেকে গার্মেন্টসহ রফতানিমুখী শিল্প-কারখানা স্বাস্থ্যবিধি মেনে খোলা থাকবে বলে জানানো হয়।
এ ঘোষণার পরিপ্রেক্ষিতে শনিবার সকাল থেকেই ঢাকামুখী শ্রমিকদের ঢল নামে।
করোনাভাইরাস সংক্রমণ রোধে গত ২৩ জুলাই থেকে দেশজুড়ে কঠোর বিধিনিষেধ আরোপ করেছে সরকার। যা চলবে ৫ আগস্ট পর্যন্ত। বিধিনিষেধ চলাকালে দেশের সব শিল্প-কারখানা বন্ধ রাখার নির্দেশনা দেয়া হয়েছিল। তবে ঈদের পর থেকেই কারখানা খোলার জন্য সরকারের কাছে দাবি জানিয়ে আসছিলেন শিল্প-কারখানার মালিকরা। ওই দাবির পরিপ্রেক্ষিতে গার্মেন্টসসহ রফতানিমুখী শিল্প-কারখানা স্বাস্থ্যবিধি মেনে খোলার সিদ্ধান্ত নেয় মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ।