1. nagorikkhobor@gmail.com : admi2017 :
  2. shobozcomilla2011@gmail.com : Nagorik Khobor Khobor : Nagorik Khobor Khobor
রবিবার, ১৭ নভেম্বর ২০২৪, ১১:৪০ পূর্বাহ্ন
শিরোনাম :
রানা, ও মেহেবুব হোসেন রিপনের নেতৃত্বে এক বিশাল র‍্যালি গোপালগ‌ঞ্জে দিনমুজুর‌কে হত্যা মামলায় গ্রেফতার, নবজাতক দুই বোন নিয়ে দিশেহারা ছোট ভাই শ্রমিকদের বকেয়া পরিশোধ কর‌তে হ‌বে, না করলে প্রশাসক নিয়োগ হ‌বে- সাখাওয়াত বাংলাদেশ থেকে জাপানি সৈন্যদের দেহাবশেষ ফিরিয়ে নিবে আজারবাইজানে পৌঁছেছেন প্রধান উপদেষ্টা সংবাদমাধ্যমের স্বাধীনতা রক্ষায় সিপিজের খোলা চিঠি ড. ইউনুসকে যুবলীগ কেন্দ্রীয় কমিটির সাংগঠনিক সম্পাদক শামীম গ্রেফতার শপথ নিলেন নতুন তিন উপদেষ্টা কু‌মিল্লায় ডাকাতির নাটক সাজিয়ে প্রতিবন্ধী ভাতিজাকে শ্বাসরোধ করে হত্যা ক‌রে চাচা রাজধানীর কাকরাইলে সভা সমা‌বেশ নি‌ষিদ্ধ

গণটিকায় গতি – ৭ আগস্ট থেকে দিনে দশ লাখ ডোজ

নিজস্ব প্রতিবেদক:
  • আপডেট টাইম : শুক্রবার, ৩০ জুলাই, ২০২১
  • ৩৬৮ বার পঠিত

করোনা মোকাবেলায় টিকাদানের বয়স ফের কমিয়ে ন্যূনতম ২৫ বছর করা হয়েছে ভবিষ্যতে বয়সসীমা কমিয়ে ১৮ বছর করার পরিকল্পনা করোনা প্রতিরোধে গণটিকাদান কর্মসূচীতে গতি এসেছে। টিকাদান কর্মসূচী আরও গতিশীল করতে টিকা দেয়ার বয়সসীমা কমিয়ে ন্যূনতম ২৫ বছরে আনা হয়েছে। আগামীতে টিকার নিবন্ধনের বয়স আরও কমিয়ে ১৮ বছর করার পরিকল্পনা রয়েছে। বয়স কমিয়ে বেশি মানুষকে কর্মসূচীতে অন্তর্ভুক্ত করতে আগামী ৭ আগস্ট থেকে প্রতিদিন অন্তত ১০ লাখ টিকা দেয়ার উদ্যোগ নিয়েছে সরকার।

এছাড়া ওয়ার্ড-ইউনিয়ন পর্যায়ে জাতীয় পরিচয়পত্রের মাধ্যমে টিকা দেয়ার ব্যবস্থাও করা হচ্ছে।আগামীতে টিকাদান কর্মসূচীতে অংশ নিতে ন্যূনতম বয়সসীমা ৩০ বছর থেকে কমিয়ে ২৫ বছর করা হয়েছে। এখন থেকে ২৫ বছর বা তার বেশি বয়সীরা নিবন্ধনের মাধ্যমে টিকা নিতে পারবেন। টিকাকরণ কর্মসূচীর পরিধি বাড়াতে এমন সিদ্ধান্ত সরকার থেকে নেয়া হয়েছে। এর আগে ৮ ফেব্রæয়ারি শুরু হওয়া নিবন্ধনে প্রথমে ৫৫ বছর বয়সীদের নিবন্ধন পরে তা কমিয়ে পর্যায়ক্রমে ৪৫ বছর থেকে ৪০ বছর করা হয়।

পরবর্তীতে বয়সসীমা ৪০ বছর থেকে কমিয়ে ৩৫ বছর এবং পরে তা ৩০ বছর করা হয়। বৃহস্পতিবার টিকাদান কর্মসূচীর পরিধি বাড়াতে বয়স ফের কমিয়ে ন্যূনতম ২৫ বছর করা হয়েছে।স্বাস্থ্য অধিদফতর সূত্রে জানা গেছে, করোনার উর্ধগতি প্রতিরোধে সারাদেশে প্রচারের মাধ্যমে দিনে অন্তত ১০ লাখ মানুষকে টিকা দেয়া হবে। ছয় দিনে সারাদেশে ৬০ লাখ ডোজ টিকা দেয়া হবে। এই ধাপে দেয়া টিকা প্রথম ডোজ হিসেবে বিবেচিত হবে। নির্ধারিত সময়ের পরে দেয়া হবে দ্বিতীয় ডোজ। এ ক্ষেত্রেও দিনে ১০ লাখ টিকা দেয়া হবে। এভাবে এক কোটি ৩৪ লাখ ৪২ হাজার ডোজ টিকা দেয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার। এর মধ্যে শুধু গ্রামাঞ্চলেই দেয়া হবে এক কোটি ১০ লাখ ৪০ হাজার ডোজ। আর শহরাঞ্চলে দেয়া হবে ২৪ লাখ ২ হাজার টিকা।এর আগে গ্রামের মানুষ নিবন্ধন জটিলতায় টিকা নিতে পারতেন না।

এখন থেকে টিকা নেয়ার ক্ষেত্রে নিবন্ধনের বাধ্যবাধকতা থাকছে না। প্রচার চলাকালীন জাতীয় পরিচয়পত্র (এনআইডি) নিয়ে কেন্দ্রে গেলেই পাওয়া যাবে টিকা। তবে ক্যাম্পেন চলাকালে যাদের লক্ষণ বা উপসর্গ রয়েছে তাদের টিকা দেয়া হবে না বলেও জানানো হয়েছে।স্বাস্থ্য অধিদফতর সূত্রে জানা গেছে, সারাদেশে প্রচার আকারে টিকার কার্যক্রম পরিচালনার মাধ্যমে প্রতি সপ্তাহে ৬০ লাখ মানুষকে টিকা দেয়ার পরিকল্পনা নেয়া হয়েছে। মন্ত্রণালয়ের অনুমোদন সাপেক্ষে আগামী ৭ থেকে ১২ আগস্ট এই কার্যক্রম চলবে। শহর ও গ্রামাঞ্চলে একযোগে টিকা কার্যক্রম শুরু হবে। শহরাঞ্চলে মডার্না ও গ্রামাঞ্চলে সিনোফার্মের টিকা দেয়া হবে।জানা গেছে, বর্তমানে দেশে ৫৫ লাখ মডার্না ও ৫১ লাখ সিনোফার্মের টিকা মজুদ রয়েছে। ক্যাম্পেনে ৬০ লাখ টিকা প্রথম ডোজ হিসেবে এবং অবশিষ্ট দ্বিতীয় ডোজ হিসেবে সংরক্ষণ করা হবে। এ ছাড়া চলমান কেন্দ্রগুলো আগের মতো বহাল থাকবে এবং শুধু দ্বিতীয় ডোজ দেয়া হবে। বস্তি ও কারখানাগুলোতে টিকা কার্যক্রম ও প্রচারের পাশাপাশি চলমান থাকবে। এছাড়া সম্প্রতি কোভ্যাক্সের আওতায় জাপান থেকে ২ লাখ ৪৫ হাজার ২শ’ ডোজ অক্সফোর্ড-এ্যাস্ট্রাজেনেকার টিকা দেশে পৌঁছেছে। আগামীতে দেশটি থেকে আরও টিকা আসবে। জাপানের টিকা দিয়ে দ্বিতীয় ডোজের ঘাটতি টিকা দেয়া হবে।ছয় দিনব্যাপী এই টিকাদান কর্মসূচীতে সারাদেশে ১৫ হাজার ২৮৭টি ওয়ার্ডে এক কোটি ৩৪ লাখ ৪২ হাজার ডোজ টিকা দেয়া হবে। এর মধ্যে দেশের গ্রামাঞ্চলের ১৩ হাজার ৮০০ ওয়ার্ডে এক কোটি ১০ লাখ ৪০ হাজার ডোজ, সিটি কর্পোরেশনগুলোর ৪৩৩টি ওয়ার্ডে ১৫ লাখ ৫৮ হাজার ৮০০ ডোজ এবং পৌরসভাগুলোয় এক হাজার ৫৪ ওয়ার্ডে আট লাখ ৪৩ হাজার ২০০ ডোজ টিকা দেয়া হবে।

স্বাস্থ্য অধিদফতর সূত্রে জানা গেছে, দেশের সিটি কর্পোরেশনগুলোর প্রতি ওয়ার্ডে একটি স্থায়ী ও দুটি অস্থায়ী কেন্দ্র সপ্তাহে ছয় দিন কোভিড টিকা দেয়া হবে। উপজেলা ও পৌরসভার প্রতি ওয়ার্ডে একটি করে টিকাদান টিম থাকবে, যেখানে সপ্তাহে চার দিন কোভিড টিকা দেয়া হবে।অধিদফতর সূত্রে জানা গেছে, আগামী আগস্ট মাসের ৭ তারিখে শুরু হওয়া টিকাদান কর্মসূচী চলাকালে অস্থায়ী কেন্দ্র থেকে টিকা নিতে অবশ্যই জাতীয় পরিচয়পত্র সঙ্গে আনতে হবে। ওয়ার্ড কাউন্সিলররা নিজ নিজ ওয়ার্ডে টিকাদান কেন্দ্র নির্ধারণ করবেন। প্রধান স্বাস্থ্য কর্মকর্তারা ওয়ার্ডপ্রতি টিকা টিম ও ভ্যাক্সিনেশন নির্ধারণ করবেন। এ ক্ষেত্রে এনজিও, সরকারী ও বেসরকারী হাসপাতালসহ অন্যান্য সেক্টর সহায়তা দেবে।সুরক্ষা ওয়েব পোর্টাল/এ্যাপসে সব সিটি কর্পোরেশন, পৌরসভা ও গ্রামের ওয়ার্ডভিত্তিক নিবন্ধনের ব্যবস্থা করা হবে। উপজেলা পর্যায়ে বিদ্যমান সাববøক অনুযায়ী টিকাদান পরিচালিত হবে। প্রথম ডোজের নিবন্ধন যারা করেছেন তারা কর্মসূচীতে টিকা নিতে পারবেন।বুধবার পর্যন্ত দেশের এক কোটি ২৫ লাখ ৯২ হাজার ৭৪৯ জন করোনা টিকার আওতায় এসেছে। এদের মধ্যে প্রথম ডোজ নিয়েছেন ৮২ লাখ ৭০ হাজার ৪২২ এবং দ্বিতীয় ডোজ নিয়েছেন ৪৩ লাখ ২২ হাজার ৩২৭ জন। প্রথম ডোজ টিকা গ্রহীতার মধ্যে পুরুষ ৫০ লাখ ৪৮ হাজার ১৭২ এবং নারী ৩২ লাখ ২২ হাজার ২৫০ জন। দ্বিতীয় ডোজ টিকা গ্রহীতার মধ্যে পুরুষ ২৭ লাখ ৫৭ হাজার ২৩৭ এবং নারী ১৫ লাখ ৬৫ হাজার ৯০ জন।জানা গেছে, প্রথম ও দ্বিতীয় ডোজ মিলে এ্যাস্ট্রাজেনেকার টিকা দেশের এক কোটি এক লাখ ১৮ হাজার ১১৯ ডোজ টিকা দেয়া হয়েছে। চীনের সিনোফার্মের টিকা নিয়েছেন ১৮ লাখ ৭৮ হাজার ৬৫৪ জন। ফাইজার-বায়োএনটেকের টিকা নিয়েছেন ৫০ হাজার ৫২৩ জন। আর মডার্নার টিকা নিয়েছেন পাঁচ লাখ ৪৫ হাজার ৪৫৩ জন।এ্যাস্ট্রাজেনেকার টিকা গ্রহীতার মধ্যে পুরুষ ৬৩ লাখ ৫৪ হাজার ৮৭১ এবং নারী ৩৭ লাখ ৬৩ হাজার ২৪৮ জন। এই টিকা গ্রহণকারীর মধ্যে ৪২ লাখ ৯৮ হাজার ৮৬ জন দ্বিতীয় ডোজ এবং ৫৮ লাখ ২০ হাজার ৩৩ জন প্রথম ডোজ নিয়েছেন। দ্বিতীয় ডোজ টিকা গ্রহণকারী পুরুষ ২৭ লাখ ৪৫ হাজার ৭৯২ এবং নারী ১৫ লাখ ৫২ হাজার ২৯৪ জন। আর প্রথম ডোজ টিকা গ্রহণকারী ৩৬ লাখ ৯ হাজার ৭৯ পুরুষ এবং নারী ২২ লাখ ১০ হাজার ৯৫৪ জন।স্বাস্থ্য অধিদফতর জানায়, বুধবার দুপুর আড়াইটা পর্যন্ত এক কোটি ৩৫ লাখ ৯৯ হাজার ৬০১ জন করোনা টিকার জন্য নিবন্ধন করেছেন।

গত এক মাসের বেশি সময় ধরে চেষ্টা করেও করোনার প্রকোপ নিয়ন্ত্রণে রাখতে পারছে না সরকার। মৃত্যু ও শনাক্ত উভয়টি নতুন নতুন রেকর্ড গড়ছে। প্রকোপ ঠেকাতে কঠোর বিধিনিষেধ চলমান থাকলেও তাতে থামছে না মৃত্যুর মিছিল। প্রতিদিনই রোগী শনাক্ত হচ্ছে ১৫ হাজারের কাছাকাছি। এভাবে চলতে থাকলে আগামী ১০ দিনে নতুন রোগীর সংখ্যা দেড় লাখের বেশি। শনাক্তের সংখ্যা ও হার বেশ উদ্বেগজনক। এই অবস্থায় বেশিরভাগ মানুষকে টিকার আওতায় নিয়ে আসাই সবচেয়ে কার্যকর উপায় বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা। তারা এ ব্যাপারে সরকারকে পরামর্শও দিয়েছেন।প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা মঙ্গলবার একটি অনুষ্ঠানে জানিয়েছেন, সবাই যেন টিকা পায় সেই ব্যবস্থা করছে সরকার। টিকার নিবন্ধন প্রক্রিয়া সহজ করার ব্যাপারেও সিদ্ধান্ত হয়েছে। আগামী ৭ আগস্ট থেকে ইউনিয়ন পর্যায়ে জাতীয় পরিচয়পত্র দেখিয়েই টিকা নেয়া যাবে। এছাড়া মন্ত্রিসভার বৈঠকেও প্রধানমন্ত্রী টিকাদান কার্যক্রম জোরদারের নির্দেশ দিয়েছেন।আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও যোগাযোগমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, করোনা প্রতিরোধে সরকার এখন সবচেয়ে বেশি গুরুত্ব দিচ্ছে টিকাদানে। যত তাড়াতাড়ি সম্ভব সরকার দেশের বেশিরভাগ মানুষকে টিকার আওতায় আনতে চায়।করোনা প্রতিরোধে চলমান বিধিনিষেধের কার্যক্রম পর্যালোচনা ও কোভিড-১৯ প্রতিরোধক টিকাদান কার্যক্রম জোরদার করা নিয়ে গত মঙ্গলবার মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের সভাকক্ষে উচ্চ পর্যায়ের একটি বৈঠক হয়। বৈঠকের পর স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল জানিয়েছেন, দেশব্যাপী করোনার গণটিকা কর্মসূচী জোরদার করতে ব্যাপক পরিকল্পনা নিয়েছে সরকার।

এ লক্ষ্যে আগামী ৭ আগস্ট থেকে ইউনিয়ন পর্যায়ে টিকা দেয়া হবে। এ কার্যক্রম চালাতে ইউনিয়ন পরিষদে কেন্দ্র তৈরি করে টিকা দেয়া হবে। শহরাঞ্চলে মডার্নার আর গ্রামাঞ্চলে দেয়া হবে সিনোফার্মের টিকা।স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক বলেছেন, টিকা দেয়ার বিষয়ে আমরা বেশি গুরুত্ব দিচ্ছি। সে কারণে আমরা ইউনিয়ন পর্যায়ে ইউনিয়ন পরিষদে টিকাদান কেন্দ্র স্থাপন করছি। যেখান থেকে ইউনিয়নের সব লোকজন, আপামর জনসাধারণ যারা টিকা নিতে চায় বা যাদের নিতে হবে তারা টিকা নিতে পারবেন। তারা এনআইডি কার্ড নিয়ে এলেই টিকা নিতে পারবেন।জাহিদ মালেক বলেন, পঞ্চাশোর্ধ নারী ও পুরুষ বেশি সংক্রমিত হচ্ছে। ঢাকা শহরের হাসপাতালে যারা ভর্তি আছেন তাদের ৭৫ শতাংশ পঞ্চাশোর্ধ এবং তাদের ৯০ শতাংশ টিকা নেয়নি। তাদের মধ্যে মৃত্যুহারও বেশি। এ কারণে পঞ্চাশোর্ধ নারী-পুরুষকে টিকা দেয়ার ক্ষেত্রে বেশি গুরুত্ব দেয়া হচ্ছে। স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, যারা পঞ্চাশোর্ধ তারা যেন তাড়াতাড়ি ইউনিয়ন পর্যায়ে এসে টিকা নিতে পারেন, আমরা সেদিকে জোর দিচ্ছি। টিকা আরও বেশি যখন হাতে আসবে তখন আমরা আরও নিচে যেতে পারব। অর্থাৎ ওয়ার্ড পর্যায়ে আমরা চিন্তা-ভাবনায় রেখেছি।৭ আগস্ট থেকে শুরু হতে যাওয়া টিকাদান কর্মসূচীতে করোনা উপসর্গ থাকলে এবং সদ্য করোনা থেকে সুস্থ হলে টিকা দেয়া যাবে না সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে।বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ের ফার্মাকোলজি বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ডাঃ সায়েদুর রহমান বলেন, লক্ষণমুক্ত অবস্থায় যারা আছেন তাদের টিকা দিতে হবে। কোভিড আক্রান্ত হওয়ার পরে সম্পূর্ণ সুস্থ না হয়ে টিকা নেয়া যাবে না। বিশেষ করে যাদের লক্ষণ থাকবে তাদের পরীক্ষা করে টিকা নিতে হবে। এটি টিকা গ্রহীতার নিজের নিরাপত্তার জন্য করতে হবে। কারণ শরীরে কোভিড-১৯ সংক্রমণ থাকলে টিকা কোন কাজ করবে না।

তিনি বলেন, টিকাদানের ক্ষেত্রে কোভিড পরীক্ষা কখনই পূর্বশর্ত নয়। তবে যাদের লক্ষণ আছে তাদের ক্ষেত্রে ন্যূনতম র‌্যাপিড এ্যান্টিজেন পরীক্ষা করে টিকা দিতে হবে। নয়ত ব্যক্তিও সুরক্ষিত হবে না এবং টিকাও কোন কাজে আসবে না।ভারতের সেরাম ইনস্টিটিউটের কাছ থেকে কোভিশিল্ডের তিন কোটি ডোজ টিকা কেনার জন্য গত বছরের শেষদিকে চুক্তি করেছিল বাংলাদেশ। সেই টিকার প্রথম চালান পাওয়ার পর ৭ ফেব্রæয়ারি সারাদেশে গণটিকাদান শুরু হয়। কিন্তু দুই চালানে ৭০ লাখ ডোজ পাঠানোর পর ভারত রফতানি বন্ধ করে দিলে সঙ্কটে পড়ে বাংলাদেশ। পর্যাপ্ত টিকা না থাকায় ২৫ এপ্রিল দেশে প্রথম ডোজ দেয়া বন্ধ হয়ে যায়।এরপর চীন থেকে টিকা কেনার প্রক্রিয়াও শুরু হয়। চীনের উপহার হিসেবে পাঠানো এবং কেনা টিকা মিলিয়ে মোট ৫১ লাখ ডোজ সিনোফার্মের টিকা বাংলাদেশ হাতে পেয়েছে। এর বাইরে কোভ্যাক্স থেকে ছয় কোটি ডোজের বেশি টিকা পাওয়ার কথা রয়েছে বাংলাদেশের। এর মধ্যে ফাইজার-বায়োএনটেকের তৈরি এক লাখ ৬২০ ডোজ টিকা এবং মডার্নার তৈরি ৫৫ লাখ ডোজ ইতোমধ্যে দেশে এসেছে। স্বাস্থ্যমন্ত্রী স¤প্রতি জানিয়েছেন, আগামী মাসের মধ্যেই আরও দুই কোটি ডোজ টিকা দেশে চলে আসবে। আগামী বছরে ২১ কোটি ডোজ টিকা পাওয়া যাবে।

নিউজটি শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরো খবর..
© All rights reserved © 2020 nagorikkhobor.Com
Theme Developed BY ThemesBazar.Com