প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রী ইমরান আহমদ বলেছেন, বিদেশফেরত কর্মীরা অভিজ্ঞতার বিবেচনায় দেশে-বিদেশে কর্মসংস্থানে অগ্রাধিকার পাওয়ার যোগ্য।
রোববার প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের উদ্যোগে জাতীয় শ্রম অভিবাসন ফোরামের দ্বিতীয় সভায় (ভার্চু্যাল) সভাপতির বক্তৃতায় এসব কথা বলেন মন্ত্রী।
প্রবাসী কর্মীদের সামগ্রিক কল্যাণে সরকারের উদ্যোগগুলো তুলে ধরে ইমরান আহমদ বলেন, সরকার বিদেশগামী কর্মীদের জন্য জীবনবীমায় ভর্তুকি প্রদান, প্রবাসী কর্মীর সন্তানদের জন্য বিদেশে স্থাপিত বাংলা স্কুলে আর্থিক সহযোগিতা প্রদান, রেমিটেন্স প্রেরণের ক্ষেত্রে ২ শতাংশ প্রণোদনা প্রদান করছে।
প্রবাসীকল্যাণ মন্ত্রী বলেন, কোভিড-১৯ এ ক্ষতিগ্রস্ত বিদেশে অবস্থানরত প্রবাসী কর্মীদের জরুরি খাদ্য ও আর্থিক সহায়তা এবং দেশে অবস্থানরত তাদের পরিবারের বিপদগ্রস্ত সদস্যদের সামাজিক নিরাপত্তার আওতায় আনা হয়েছে।
বর্তমান পরিস্থিতিতে বৈদেশিক কর্মসংস্থানের ক্ষেত্রে চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় সরকার দৃঢ় প্রতিজ্ঞ উল্লেখ করে মন্ত্রী আরও বলেন, কোভিড-১৯ এ ক্ষতিগ্রস্ত বিদেশ ফেরত কর্মীদের পুনর্বাসন ও পুনঃএকত্রীকরণের জন্য ৭শ কোটি টাকার তহবিল গঠনসহ বিভিন্ন ধরনের প্রকল্প হাতে নেয়া হয়েছে। এর আওতায় কোভিড-১৯ এ ক্ষতিগ্রস্ত বিদেশফেরত কর্মীদের ৪ শতাংশ সরল সুদে বিনিয়োগ ঋণ প্রদান করা হচ্ছে।
সভার শুরুতে মন্ত্রী কোভিড-১৯ এ মৃত প্রবাসী কর্মীদের আত্মার শান্তি কামনা করেন ও তাদের পরিবারের প্রতি সমবেদনা জ্ঞাপন করেন।
সভায় শ্রম অভিবাসন সংশ্লিষ্ট অংশীজনদের কাজে সমন্বয়ের জন্য প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের নেতৃত্বে সরকারি সংস্থা, এনজিও ও আন্তর্জাতিক সংস্থার অংশীজনদের নিয়ে কাজ করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। এছাড়াও প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান নীতি -২০১৬ এর আওতায় গঠিত ছয়টি সাব-কমিটি নিয়মিতভাবে আলোচনা করে নীতি বাস্তবায়নের কার্যক্রম গ্রহণ করবে।
প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের সচিব ড. আহমেদ মুনিরুছ সালেহীনের সঞ্চালনায় সভায় আরও বক্তব্য রাখেন- বায়রার সভাপতি বেনজীর আহমদ, জনশক্তি কর্মসংস্থান ও প্রশিক্ষণ ব্যুরোর মহাপরিচালক মো. সামছুল আলম, ওয়েজ আর্নার্স কল্যাণ বোর্ডের মহাপরিচালক মো. হামিদুর রহমান, মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব খাদিজা বেগম, যুগ্মসচিব নাসরীন জাহান, আইওএম বাংলাদেশের চিফ অব মিশন গিওরগি গিগারিও, আইএলও-এর কান্ট্রি চিফ টুমো পুটেইনেন, ইউএন উইমেনের প্রোগাম এনালিস্ট তপতী সাহা, সুইস এজেন্সি ফর ডেভলপমেন্ট অ্যান্ড কো-অপারেশনের প্রোগাম ম্যানেজার নাজিয়া হায়দার, ইন্টারন্যাশনাল সেন্টার ফর মাইগ্রেশন পলিসি ডেভলপমেন্টের কান্ট্রি-কোঅর্ডিনেটর ক্যাপ্টেইন মোহাম্মদ ইকরাম হোসেন, ইউকেএইড-প্রকাশ এর টিম লিডার মি. জেরী ফক্স।