1. nagorikkhobor@gmail.com : admi2017 :
  2. shobozcomilla2011@gmail.com : Nagorik Khobor Khobor : Nagorik Khobor Khobor
বৃহস্পতিবার, ০৮ মে ২০২৫, ১১:৪৬ অপরাহ্ন
শিরোনাম :
ভিডিও রাষ্ট্রকাঠামো মেরামতে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের ঘোষিত ৩১ দফার জনসম্পৃক্ততা তৈরির লক্ষ্যে বরিশাল মহানগর বিএনপির উদ্যেগে লিফলেট বিতরন করা হয়। সড়ক দুর্ঘটনায় চাটমোহরের মাদ্রাসা সুপারের মৃত্যু আন্তর্জাতিক শ্রমিক দিবস উপলক্ষে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী শ্রমিকদল কেন্দ্রীয় সংসদের আ‌য়োজ‌নে নয়া পল্টনে সমাবেশ বিএনপি কৃষক বান্ধব দল — ওবায়দুর রহমান চন্দন কড়া ‘অ্যা’কশন’ নিতে ভারতীয় সেনাদের নির্দেশ মোদির অভিনেতা সিদ্দিককে মারধর, থানায় সোপর্দ নারায়ণগ‌ঞ্জে ১৪ নং ওয়ার্ড বিএন‌পির সেক্রেটারি প‌দে রানাকে নি‌য়ে বিতর্ক বিএনপি ঘোষিত ‘রাষ্ট্রকাঠামো মেরামতে কৃষি সংস্কার ভাবনা নিয়ে নির্মিত “কৃষি কথা” শীর্ষক ভিডিও চিত্র পারভেজ হত্যায় জ‌ড়িত খু‌নি‌দের গ্রেফতা‌রে নজরুল ইসলাম বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রদলের মশাল মিছিল পারভেজ হত্যায় জ‌ড়িত সন্ত্রাসীদের দ্রুত গ্রেপ্তার ও দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি নিশ্চিতের দাবিতে মজাখালী‌তে মশাল মি‌ছিল

কদমতলীতে মা-বাবা ও বোনকে খুন ক‌রার কথা স্বীকার ক‌রে মুন

মাসুম মোল্লাঃ
  • আপডেট টাইম : মঙ্গলবার, ২২ জুন, ২০২১
  • ৯২৯ বার পঠিত

পতিতাবৃত্তি ও পরকীয়ার মতো অন্ধকার জগতের কালো অধ্যায়ের বাসিন্দা হতে বাধ্য করায় মা, বাবা ও বোনকে খুনের পথে ধাবিত হন মেহজাবিন ইসলাম মুন। পরিবারের সবার প্রতি ক্ষোভ থেকে এ পথ বেছে নেন তিনি। রিমান্ডেও পুলিশি জিজ্ঞাসাবাদে এমন তথ্যই দিয়েছেন ২৪ বছর বয়সী ওই গৃহবধূ। হত্যাকা-ের পর ৩ দিন ধরেই এমন বক্তব্য দিচ্ছেন তিনি।
রাজধানীর কদমতলী থানার মুরাদপুরের এই ৩ খুনের ঘটনায় করা মামলার বাদী সাখাওয়াত হোসেনের (নিহত মাসুদ রানার বড় ভাই) দাবি, বাপ-দাদার সম্পত্তি ও ব্যাংকে জমানো কোটি কোটি টাকা আত্মসাতের জন্যই চায়ের সঙ্গে ঘুমের ওষুধ খাইয়ে অচেতন করে মা-বাবা-বোনকে শ্বাসরোধে হত্যা করেছেন মুন ও তার স্বামী শফিকুল ইসলাম অরণ্য। প্রকৃত ঘটনা ধামাচাপা দিতে ওই দম্পতি পতিতাবৃত্তি ও পরকীয়ার নাটক সাজিয়ে দোষ চাপাচ্ছে নিহতদের ওপর।

গত শুক্রবার গভীররাতে পরিবারের ৩ জনকে খুনের পর স্বামী ও সন্তানকেও ঘুমের ওষুধ খাইয়ে জাতীয় জরুরি সেবার হটলাইন ৯৯৯-এ ফোন করে মুন বলেন, ‘তিনজনকে খুন করেছি, তাড়াতাড়ি আসেন, তা না হলে আরও দুজনকে (স্বামী-সন্তান) খুন করব।’ এই হত্যাকা-ের আগেও দাবিকৃত ২০ লাখ টাকা না পেয়ে মুনের মা নিহত মৌসুমী ইসলামের শরীরে আগুন দিয়ে তাকে হত্যার চেষ্টা করেন মুনের স্বামী শফিকুল।
ট্রিপল মার্ডার মামলার অন্যতম আসামি মুনের স্বামী শফিকুলকে তিন দিনের
রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত। গতকাল সোমবার ঢাকা মহানগর হাকিম শহিদুল ইসলাম শুনানি শেষে এ রিমান্ডের আদেশ দেন। শুনানিকালে শফিকুলের পক্ষে কোনো আইনজীবী ছিলেন না। তিনি নিজেকে নির্দোষ দাবি করেন।
গত রবিবার নিহত দম্পতি মাসুদ রানা-মৌসুমী ইসলামের বড় মেয়ে মেহজাবিন মুনের ৪ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন আদালত। ওই দিন মুন সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে একাই মা, বাবা ও বোনকে হত্যা করেছেন বলে জানান। কেন খুন করলেনÑ এমন প্রশ্নে মুন বলেন, পরকীয়া এবং পারিবারিক ঝামেলার কারণে খুন করেছি।

নৃশংস হত্যাকা-ের শিকার মাসুদ রানা, মৌসুমী ইসলাম ও তাদের ছোট মেয়ে জান্নাতুল মোহিনীকে গত রবিবার সন্ধ্যায় রাজধানীর জুরাইন কবরস্থানে দাফন করা হয়। গতকাল হাসপাতাল থেকে রিমান্ডে থাকা মা মুনের কোলে দেওয়া হয়েছে মৃত্যুর কোল থেকে ফিরে আসা ৬ বছরের ছোট্ট শিশু মারজান তাবাসসুম তৃপ্তিয়াকে।
কদমতলী থানার ওসি জামাল উদ্দিন মীর নাগরিক খবর কে  বলেন, মামলার আসামি মুন ও তার স্বামী শফিকুলকে রিমান্ডে নেওয়া হয়েছে। জিজ্ঞাসাবাদে তারা গুরুত্বপূর্ণ তথ্য দিচ্ছেন। হত্যার কারণ হিসেবে পতিতাবৃত্তি, পরকীয়া, সম্পত্তি আত্মসাৎসহ সম্ভাব্য সব বিষয় সামনে রেখে তদন্ত কার্যক্রম চলছে। তদন্তের স্বার্থে এর বেশি কিছু বলতে রাজি হননি ওসি।

তদন্তসংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, মুনকে তার মা (নিহত মৌসুমী ইসলাম) পতিতাবৃত্তিতে জড়াতে বাধ্য করেন। তার বিয়ে হলে ছোট বোন মোহনীকে দিয়েও তিনি দেহব্যবসা চালাচ্ছিলেন। এর মধ্যে শফিক ও মোহনীর মধ্যে পরকীয়া সম্পর্ক গড়ে ওঠে। এতে তার সংসার ভাঙার উপক্রম হয়। সম্প্রতি বাবা মাসুদ রানা সৌদি আরব থেকে দেশে ফিরলে তার কাছে নালিশ দেন মুন; কিন্তু বাবাও নিশ্চুপ থাকেন। তা ছাড়া মাসুদ সৌদি আরবে আরেকটি বিয়ে করেছেন। সব মিলিয়ে ক্ষোভ সৃষ্টি হয় মুনের মনে। দুই মাস আগেও একবার মা-বাবা-বোনকে তরমুজের সঙ্গে ঘুমের ওষুধ খাইয়ে হত্যার চেষ্টা চালান তিনি।

সূত্র আরও জানায়, শফিকুলকে বিয়ের আগে আমিনুল ইসলাম নামে এক যুবক মুনকে প্রাইভেট পড়াতেন। এ সময় মুন তার সঙ্গে সম্পর্কে জড়িয়ে পড়েন। আমিনুল অন্তরঙ্গ সম্পর্কের একাধিক ভিডিও ধারণ করে মুনের মা ও ছোট বোনকেও জিম্মি করে ফেলেন। এক সময় মুনের বিয়ে হলে আমিনুল ভিডিওগুলো স্বামী শফিকুলকে দেখান। এক পর্যায়ে শফিকুল, শাশুড়ি মৌসুমী ও তার আত্মীয় ভিকটিম এক নারী পরিকল্পনা করে আমিনুলকে হত্যা করেন। আমিনুল খুনের মামলায় ওই তিনজন ছাড়াও মুনও আসামি ছিলেন; কিন্তু হত্যায় তার সম্পৃক্ততার প্রমাণ না পাওয়ায় তিনজনের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দেয় দক্ষিণ কেরানীগঞ্জ থানাপুলিশ।

এদিকে ভিন্ন কথা বলছেন ট্রিপল হত্যামামলার বাদী মুনের চাচা সাখাওয়াত হোসেন। তিনি জানান, নিহত মাসুদ রানা ২৬ বছর প্রবাসে ছিলেন। জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের কাছে তার ১৩ শতাংশের একটি জমি ছিল। ২ বছর আগে মাসুদ রানা সেটি বিক্রি করে কেরানীগঞ্জে দুটি জমি কেনেন। কিছু টাকা কেরানীগঞ্জের একটি ব্যাংকেও জমা রাখেন। এই সম্পত্তি ও টাকা ছাড়াও দাদার বাড়ির সম্পত্তির প্রতিও লোভ ছিল মুন ও তার স্বামীর। সম্পত্তি ও টাকা দিতে মা-বাবাকে চাপের ওপর রাখতেন এই দম্পতি। ৬ মাস আগেও গ্রামের এক আত্মীয়ের কাছে দাদার বাড়িতে কী পরিমাণ সম্পত্তি রয়েছে জানতে চেয়েছিলেন মুন ও শফিকুল।

নিউজটি শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরো খবর..
© All rights reserved © 2020 nagorikkhobor.Com
Theme Developed BY ThemesBazar.Com