১৯৭১ সালে যখন প্রবল ঘূর্ণিঝড় আছড়ে পড়ে ওড়িশায় তখন ছয় বছরের এক শিশু চোখের সামনে সব ধ্বংস হতে দেখেছিল। সেদিনই সে পণ করেছিল, ঝড়ের আগাম পূর্বাভাস দিয়ে মানুষের প্রাণ বাঁচাবে। বাস্তবে করেছেনও তাই। তিনিই হলেন মৃত্যুঞ্জয় মহাপাত্র ওরফে ‘সাইক্লোন ম্যান।’
গোটা দেশ সাইক্লোন ম্যান বলেই চেনে মৃত্যুঞ্জয় মহাপাত্রকে। এই সাইক্লোন ম্যান অর্থাৎ মৃত্যুঞ্জয় মহাপাত্র নাকি নির্ভুলভাবে বলে দিতে পারেন যে কোনও ঘূর্ণিঝড়ের গতিবেগ।
অনেকেই আবার বলেন, ঘূর্ণিঝড়কে বশ করার ক্ষমতা রয়েছে এই ‘সাইক্লোন ম্যানের ‘ । কর্মজীবন শুরু করেন পুনের আবহাওয়া অফিস থেকে। এরপর তিনি ওড়িশার বালেশ্বরে ডিফেন্স রিসার্চ অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট অর্গানাইজেশনে কাজ করেন।
এরপরই ২০০৮ সাল থেকে ভারতীয় আবহাওয়া বিজ্ঞানের আঞ্চলিক শাখার প্রধান হিসেবে কাজ শুরু করেন। এরপর থেকেই ঘূর্ণিঝড়ের গতিপথ গতিবেগ নিয়ে নির্ভুল আপডেট দিতে থাকেন তিনি। সম্প্রতি ২০১৯ সালের আগস্ট মাস থেকে পরবর্তী পাঁচ বছরের জন্য ভারতীয় আবহাওয়া বিজ্ঞান দফতরের প্রধান হিসেবে নিযুক্ত হয়েছেন এই মৃত্যুঞ্জয় বাবু। তার আগাম পূর্বাভাসের কারণেই সর্তকতা গ্রহণ করতে পেরেছে ঘূর্ণিঝড় কবলিত রাজ্যগুলো, যার ফলে বেঁচে গিয়েছে বহু মানুষের প্রাণ। উল্লেখ্য, ফাইলিন, হুদহুদ, তিতলি, মেকুনু, ফণি ইত্যাদি ঘূর্ণিঝড়গুলোর ক্ষেত্রে সঠিক সময়ে সঠিক পূর্বাভাস দিয়ে তিনি যে কতো মানুষের প্রাণ বাঁচিয়েছেন, তা গুনে বলা কঠিন। আর এবার ইয়াস-এর পূর্বাভাসও মিলিয়ে দিয়েছেন তিনি, নিখুঁতভাবে ।