অনলাইন গেমের ভয়াল থাবা থেকে তরুন সমাজকে বাঁচাতে হবে বলে মত প্রকাশ করেছেন তরুন উদ্যোক্তা হাসান মজুমদার। গতকাল নাগরিক খবরের সাথে একান্ত আলাপে তিনি এ মত প্রকাশ করেন।
এ সময় তিনি বলেন, যুগের সাথে তাল মিলিয়ে মানুষের স্মার্ট ডিভাইসের ব্যবহারের প্রবণতা বৃদ্ধির সাথে সাথে পাল্লা দিয়ে বৃদ্ধি পাচ্ছে অনলাইন গেমের সহজলভ্যতা। করোনা মহামারী ও লকডাউনের কারণে দীর্ঘদিন স্কুল-কলেজ বন্ধ, লেখাপড়ার চাপ কম থাকা এবং বাইরে খেলাধুলার সুযোগ না থাকায় মোবাইলের উপর আসক্ত হয়ে পড়েছে বেশিরভাগ তরুন তরুনী। ফলে অনলাইন গেমের উপর প্রবলভাবে ঝুঁকে পড়ছে তারা। ইন্টারনেট ব্যবহারের সঙ্গে সঙ্গে পাল্লা দিয়ে বাড়ছে অনলাইন গেমের প্রচার ও প্রসার। আর অনলাইন গেমগুলোকে অত্যাধুনিক করে গড়ে তুলার কারণে এতে মারাত্নকভাবে আসক্ত হচ্ছে তরুন সমাজ।
দীর্ঘ সময় ধরে অনলাইন গেম খেলার ফলে তাদের পর্যাপ্ত খাওয়া দাওয়া এবং ঘুমের ব্যাঘাত ঘটছে। এতে করে তারা মানসিক অবসাদে ডুবে যাচ্ছে আর এর কুপ্রভাব সরাসরি পড়ছে তাদের শরীর ও মনে। ফলে প্রতিটি অভিবাবক আতংকগ্রস্ত অবস্থায় রয়েছে। অনলাইন গেমের পাশাপাশি ইন্টারনেটে তারা বিভিন্ন ধরনের খারাপ ওয়েবসাইটে প্রবেশ করছে। এতে করে তাদের নৈতিকতাও হুমকির মুখে পড়তে পারে বলে আশংকা প্রকাশ করেন তিনি। ইতিমধ্যে অনলাইন গেমের আসক্তিকে সম্প্রতি ‘মানসিক রোগের’ তালিকায় অন্তর্ভুক্ত করেছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা।
অনলাইন গেমে তরুন তরুনীরা যেভাবে আসক্ত হচ্ছে ভবিষ্যতে তাদের শিক্ষাজীবনে মনোনিবেশ করা কঠিন হয়ে যাবে। যেকোন ভাবে অনলাইন গেমের ভয়াল থাবা থেকে তরুন তরুনীদের রক্ষা করতে হবে নচেৎ আগামীর একটি সুন্দর জ্ঞাণনির্ভর প্রজন্মের স্বপ্ন দুঃস্বপ্নে পরিণত হবে।
তিনি যে কোন মূল্যে অনলাইন গেমকে বন্ধ করার জন্য সর্বোচ্চ প্রযুক্তি ব্যবহার করার আহবান জানান। এছাড়া তরুন সমাজকে প্রযুক্তিনির্ভর শিক্ষামূলক খেলাধুলা, ছবি, নাটক ও গানসহ সুস্থ বিনোদন উপহার দেওয়ার জন্য তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগের মন্ত্রীর দৃষ্টি আকর্ষন করেন।
লেখক:
তরুন উদ্যোক্তা
হাসান মজুমদার