চট্রগ্রামে আলোচিত মাহমুদা খানম মিতু হত্যাকাণ্ড নতুন দিকে মোড় নিয়েছে। স্ত্রী হত্যার ঘটনায় সাবেক পুলিশ সুপার বাবুল আক্তারের সম্পৃক্ততা খুঁজে পেয়েছে পুলিশ। হত্যার ঘটনা তদন্ত করে পিবিআই বলছে, তিন লাখ টাকায় খুনি ভাড়া করে বাবুল আক্তার এই হত্যাকাণ্ড সম্পন্ন করেন। মূলত ভারতীয় এক নারীর সঙ্গে পরকীয়াকে কেন্দ্র করেই বাবুল ও মিতুর মধ্যে দাম্পত্য কলহ তৈরি হয়।
একই অভিযোগ করেছেন তার শ্বশুর অবসরপ্রাপ্ত পুলিশ কর্মকর্তা মোশাররফ হোসেন। বুধবার (১২ মে) তিনি নগরীর পাঁচলাইশ থানায় মামলা দায়ের করেন। মামলায় মোশাররফ হোসেন অভিযোগ করেছেন, গায়েত্রী নামে জনৈক ভারতীয় এনজিও কর্মকর্তার সঙ্গে অনৈতিক সম্পর্কের জেরে দাম্পত্য কলহ থেকে বাবুল নিজেই তার স্ত্রীকে খুনের পরিকল্পনা করেন ও নির্দেশ দেন।
স্ত্রী মাহমুদা খানম মিতু হত্যা মামলার সাবেক বাদী ও বর্তমান আসামি সাবেক পুলিশ সুপার বাবুল আক্তারকে ৫দিনের রিমান্ডে নেওয়া হয়েছে। মিতু হত্যা মামলায় গ্রেফতার দেখিয়ে তাকে বুধবার আদালতে হাজির করে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই)।
তাকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ৭দিনের রিমান্ডের আবেদন করেন মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা পিবিআই পরিদর্শক সন্তোষ চাকমা। শুনানি শেষে আদালত ৫দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন। বাবুল আক্তারের আইনজীবী মো. আরিফুর রহমান জানান, মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ৭ দিনের রিমান্ড আবেদন করেন। আদালত ৫ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন। রিমান্ডের প্রতিবেদন ১০ দিনের মধ্যে আদালতে দাখিল করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
এর আগে মিতুর বাবা সাবেক পুলিশ কর্মকর্তা মোশাররফ হোসেন বাদি হয়ে পাঁচলাইশ থানায় বাবুল আক্তারসহ ৮ জনের বিরুদ্ধে মামলা করেন। মামলা তদন্ত করার জন্য পিবিআই চট্টগ্রাম মেট্রোর কাছে হস্তান্তর করে পাঁচলাইশ থানা পুলিশ।