কয়দিন ধরেই ফুটফুটে মেয়েটার ছবি দেখলেই বুকটা হাহাকার করে উঠে ।তারপরও এই বিষয়ে কোন পোস্ট দেয়ার ইচ্ছা একদমই ছিলো না । সামাজিক সংগঠন নিয়ে কাজ করার সুবাদে মানুষের জীবন ও জীবিকার কষ্ট খুব কাছাকাছি দেখতে পেয়েছি। দেখেছি অনেক স্বপ্ন নিয়ে সংসার করতে যেয়ে যৌতুকের জন্য পুড়ে মরা মেয়ের বাবা মায়ের আর্তনাদ, দিনের পর দিন সুস্ঠ বিচারের দাবীতে বৃদ্ধ বাবার কোর্ট কাচারির হয়রানী ।দেখেছি অল্প বয়সী বিধবা নারীর স্বল্প পুঁজি নিয়ে উদ্যোক্তা হয়ে ওঠার স্ট্রাগল টিউশনি করে মায়ের কিডনি ডায়ালাইসিসের টাকা যোগাতে।দেখেছি ক্যান্সার আক্রান্ত স্ত্রী পাশে মাসের পর মাস দিন রাত সেবা করে যাওয়া স্বামীকে ।
সেখানে করোনা পেনডেমিকে পরিস্থিতিতে যখন নিউজে দেখি পাশ্ববর্তী দেশ ইন্ডিয়ার টাটা আর আম্বানীরা বলছে প্রয়োজনে দেশের মানুষের জন্য সব অর্থ দিয়ে দিবো আর আমাদের ধনকুবেরের আলাল দুলালেরা লক্ষ লক্ষ টাকা ফ্ল্যাট ভাড়া দেয় অবৈধ বিলাসিতার জন্য!!!
একটা অল্প বয়সী মেয়ে তার বয়সের ভুলে কিছু করুক বা কারো প্ররোচনায় করুর কিংবা এইভাবেই জীবন যাপন করার সিদ্ধান্ত নেক । কোন ধনকুবেরের বাচ্চার পার্ভাসনের মাসুল তাকে জীবন দিয়ে দিতে হবে , এটা কোন ভাবেই মেনে নেয়া যায় না।
কত সহজে মিডিয়ার মাধ্যমে আমাদের নীচু মন মানসিকতার সুযোগ নিয়ে বসুন্ধরা টয়লেট টিস্যুকে আবারো ব্যবহার উপযোগী করে তোলার চেষ্টা চলছে !!!তারা জানে এই দেশে ধর্ষিতার চরিত্র আর পোশাক নিয়েও কথা হয় ।কোন মেয়েকে চরিত্রহীন বা পতিতা প্রমান করতে পারলেই খেলা শেষ- সাত খুন মাফ!
একটা কথা সবারই মনে রাখতে হবে – পতিতাদের কাছে কোন মহাপুরুষ যায় না ,যারা “পতিত” তাঁরাই যায়!
লেখক: তাহসীন বাহার সূচনা
প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান জাগ্রত মানবিকতা