গত কয়েকদিনে ভারত থেকে ফিরেছেন ধারণার চেয়েও বেশি সংখ্যক বাংলাদেশি। বেনাপোলে কোয়ারেন্টিনের জন্য নির্ধারিত হোটেল, স্কুল, মাদ্রাসাগুলোতেও আর স্থান সংকুলান হচ্ছে না। তাই বাধ্য হয়ে যশোর শহরের ১৬টি হোটেল রিজার্ভ করেছে জেলা প্রশাসন।
শুধু তাই, এই ১৬টি হোটেল বাদেও পার্শ্ববর্তী আরও চার জেলার হোটেল ভাড়া করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। যশোরের জেলা প্রশাসক তমিজুল ইসলাম খানের সভাপতিত্বে শুক্রবার (৩০ এপ্রিল) দুপুরে জেলা প্রশাসকের সভাকক্ষে অনুষ্ঠিত এক জরুরি সভায় এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। সভায় যশোরের হোটেলের মালিক প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন।
জেলা প্রশাসক তমিজুল ইসলাম খান জানান, ভারত থেকে যে সংখ্যক পাসপোর্ট যাত্রী ফেরত আসার কথা আমরা চিন্তা করছিলাম তার থেকে অনেক বেশি লোকজন আসছে। বেনাপোলের হোটেলগুলো পূর্ণ হয়ে গেছে। ঝিকরগাছা উপজেলার গাজীর দরগাহ এতিমখানা ও মাদ্রাসার ভবনও পূর্ণ হয়ে গেছে। সেখানে ২০২ জনকে রাখা হয়েছে। যে কারণে ভারত থেকে ফেরত আসাদের কোয়ারেন্টিন নিশ্চিত করতে যশোর শহরের হোটেলগুলো রিক্রুজিশন করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। হোটেল মালিকরা স্বল্প মূল্যে পাসপোর্ট যাত্রীদের রাখতে সম্মত হয়েছেন। এছাড়া এসব হোটেলে স্বাস্থ্যবিধি মানার বিষয়ে প্রশাসনের পক্ষ থেকে সব ধরনের উদ্যোগ নেওয়া হবে।
তিনি বলেন, ফেরত আসার সংখ্যা হাজার ছাড়িয়ে যাচ্ছে। যে কারণে যশোর শহরের হোটেলগুলোর পাশাপাশি পার্শ্ববর্তী খুলনা, সাতক্ষীরা, ঝিনাইদহ ও নড়াইল জেলার হোটেলগুলোতেও তাদের রাখার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
এদিকে যশোরের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার সেখ সালাউদ্দিন শিকদার জানান, যেসব স্থানে ভারতফেরত যাত্রীদের রাখা হয়েছে সে সকল স্থানে নিরাপত্তার জন্য পুলিশ ও আনসার মোতায়েন করা হয়েছে। ১৪ দিন অবস্থানের পর করোনা নেগেটিভ সনদ প্রাপ্তি সাপেক্ষে এসব যাত্রীদের নিজ বাড়ির উদ্দেশে যেতে দেওয়া হবে।
এ জাতীয় আরো খবর..