কুমিল্লার সন্তান এহতেশামুলু হাসান ভূঁইয়া রুমি বাংলাদেশ আওয়ামী যুবলীগের সহ সম্পাদক হিসেবে দায়িত্ব পালন করে যাচ্ছেন রাজনৈতিক অঙ্গনে ।এছাড়াও তিনি একজন প্রতিষ্ঠিত ব্যবসায়ি। কুমিল্লার মানুষের কথা চিন্তা করে সমাজের অসহায় মানুষের কর্মসংস্থান তৈরি করার লক্ষ্যে কুমিল্লা সদরের জগন্নাথপুরে স্থাপন করেন দি গ্লোবাল প্যাকেজিং লিমিটেড নামের শিল্প কারখানা।
শিক্ষা ও রাজৈনিতক জীবন :
১৯৯৪ সালে কুমিল্লা জিলা স্কুলে ভর্তির পর থেকে বঙ্গবন্ধুর রাজনৈতিক আদর্শে দীক্ষিত হয়ে ও বুকে ধারণ করে তার রাজনীতির পথ চলা শুরু হয়। তারপর ১৯৯৯ সালে ঢাকা কলেজে ভর্তি হবার পর তৎকালীন বাংলাদেশ ছাত্রলীগের ঢাকা কলেজ শাখার সভাপতি মরহুম এস আর পলাশ ও সাধারণ সম্পাদক ফিরোজ আল আমিনের হাত ধরে বাংলাদেশ ছাত্রলীগের নেতৃত্ব এবং লড়াই-সংগ্রামের কঠিন পথ চলায় অবতীর্ণ হন। তার নেতৃত্ব গুন এবং সাংগঠনিক দক্ষতার কারনে মাত্র দু’বছরের মধ্যে তার অবস্থান বাংলাদেশ ছাত্রলীগ ঢাকা কলেজ শাখায় অনেকটাই শক্ত হয়ে যায়।
আর সেটাই কাল হয়ে দাঁড়ায় ২০০১ সালের বিতর্কিত নির্বাচনের পরে। বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ যখন বিরোধী দলে তখন হাজার হাজার নেতাকর্মী হামলা-মামলার ভয়ে রাজনীতির মাঠ ছেড়ে স্রোতের সাথে যখন ভেসে যায় ঠিক সেই সময় এহতেশামুল হাসান ভূঁইয়া রুমি স্রোতের বিপরীতে গিয়ে শত নির্যাতন, হামলা, মামলা ও হুমকি সহ্য করে বাংলাদেশ ছাত্রলীগের রাজনৈতিক আদর্শকে বুকে ধারণ করে বঙ্গবন্ধুর সোনার বাংলাদেশ গড়ার লক্ষ্যে একজন সম্মুখ যোদ্ধা হিসেবে রাজনীতির ময়দানে একজন ক্লান্তিহীন যোদ্ধা হিসেবে লড়াই করে যান।বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ বিরোধী দল থাকা অবস্থায় শত হামলা, মামলা, নির্যাতন ও নিপীড়নের শিকার হয়েও দলের এবং দেশের স্বার্থে বঙ্গবন্ধুর সোনার বাংলা গড়তে ও জননেত্রী শেখ হাসিনার সপ্নের বাংলাদেশ বাস্তবায়নে রাজনীতির ময়দানে লড়াই করে গেছেন যা বর্তমান ছাত্রলীগের অনেক নেতাকর্মীর কাছে অনুকরণীয় হয়ে আছে।
বলাবাহুল্য, এহতেশামুল হাসান ভূঁইয়া রুমি ১৯৯৯ সালে কুমিল্লা জিলা স্কুল থেকে মাধ্যমিক পরীক্ষায় স্টারমার্ক পেয়ে কৃতিত্বের সাথে উত্তীর্ণ হয়ে ঢাকা কলেজে ভর্তি হন। রাজনীতির পাশাপাশি ঢাকা কলেজ থেকেও ব্যবসায় প্রশাসন বিভাগ হতে তৎকালীন ব্যাচ থেকে একমাত্র স্টারমার্ক পেয়ে উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হন। তারপর ২০০২/০৩ শিক্ষবর্শে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ বিরোধী দল থাকা অবস্থায় প্রতিটি রাজনৈতিক লড়াই-সংগ্রামে সক্রিয় অংশগ্রহণ করেও মেধার যোগ্যতায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় বিবিএ (ম্যানেজমেন্ট) এ ভর্তির সুযোগ পায়।
বাংলাদেশের স্বাধীনতা পরবর্তী একবিংশ শতাব্দীর সবচাইতে অন্ধকার সময়ে তিনি পড়াশোনার পাশাপাশি ২০০২ থেকে ২০০৬ সাল পর্যন্ত লিয়াকত – বাবু কমিটিতে বাংলাদেশ ছাত্রলীগ, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখার হাজী মোহাম্মদ মহসিন হলের যুগ্মসাধারণ সম্পাদক পদে সফলতার সাথে দায়িত্ব পালন করেন।
পরবর্তীতে ২০০৬ থেকে ২০১১সাল পর্যন্ত টিপু- বাদশা কমিটিতে বাংলাদেশ ছাত্রলীগের ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখার সহ-সভাপতি পদে সফলতার সাথে দায়িত্ব পালন করেন। তৎকালীন বিএনপি-জামায়াত কর্তৃক নিপিরণের শিকার হয়েও বাংলাদেশ ছাত্রলীগের প্রতিটি লড়াই সংগ্রামে সম্মুখ যোদ্ধা হিসেবে অংশগ্রহণের পাশাপাশি ২০০৮ সালে কৃতিত্বের সাথে প্রথম বিভাগে বিবিএ ডীগ্রী অর্জন করেন, ২০০৯ সালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় এমবিএ তে ভর্তি হন এবং কৃতিত্বের সাথে প্রথম বিভাগে এমবিএ ডিগ্রী সম্পন্ন করেন।
সেই ভয়াল ১/১১ এর ক্রান্তিকালে ও জননেত্রী শেখ হাসিনার মুক্তি আন্দোলনের একজন অগ্র সেনানী হয়ে ফখরুদ্দীন- মইনুদ্দিন সরকারের মূর্তীমান আতংক হিসেবে বাংলাদেশ ছাত্রলীগ, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখার সহ-সভাপতি পদে থেকে দলকে আরও শক্তিশালী ও সুসংগঠিত করে টিপু- বাদশার বিশ্বস্ত সহযোগি হয়ে রাজনীতির ময়দানে সফলতার সাথে নেতৃত্ব প্রদান করেন।
বাংলাদেশ ছাত্রলীগ কেন্দ্রীয় নির্বাহী সংসদের যুগ্ন সাধারন সম্পাদক নির্বাচিত : রাজনীতিতে একনিষ্ট ও পরিশ্রমী কর্মী হিসেবে তিনি ২০১১ থেকে ২০১৫ সাল পর্যন্ত বাংলাদেশ ছাত্রলীগ কেন্দ্রীয় নির্বাহী সংসদের, (সোহাগ-নাজমুল ) যুগ্মসাধারণ সম্পাদক পদে আসীন হয়ে সফলতার সাথে দায়িত্ব পালন করেন।
পরবর্তীতে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ বিপুল ভোটে জয় লাভ করে সরকার গঠন করলে তাঁর মেধা, কর্মদক্ষতা এবং সাংগঠনিক দক্ষতার বিচারে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিষয়ক উপ কমিটির অন্যতম সদস্য হিসেবে সফলতার সাথে দায়িত্ব পালন করেন। বর্তমানে বাংলাদেশ আওয়ামী যুবলীগের কেন্দ্রীয় পরিষদের সহ-সম্পাদক পদে বর্তমানে দায়িত্ব পালন করে আসছেন।
বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ বিরোধী দল থাকা অবস্থায় শত হামলা, মামলা, নির্যাতন ও নিপীড়নের শিকার হয়েও দলের এবং দেশের স্বার্থে বঙ্গবন্ধুর সোনার বাংলা গড়তে ও জননেত্রী শেখ হাসিনার সপ্নের বাংলাদেশ বাস্তবায়নে রাজনীতির ময়দানে লড়াই করে গেছেন যা বর্তমান ছাত্রলীগের অনেক নেতাকর্মীর কাছে অনুকরণীয় হয়ে আছে।
নিজ এলাকার উন্নয়নে তার চিন্তা চেতনা :বুড়িচং ব্রাক্ষণপাড়া ৫ সংসদীয় আসন:
ঠিক তেমনই বুড়িচং-ব্রাহ্মণপাড়া, কুমিল্লা-৫ আসনের পাঁচবারের নির্বাচিত সংসদ সদস্য, বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সভাপতি মন্ডলীর সদস্য, সাবেক সফল আইনমন্ত্রী, সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির নবনির্বাচিত সভাপতি ও বীর মুক্তিযোদ্ধা জনাব আব্দুল মতিন খসরু ছিলেন আন্তর্জাতিক মানের জাতীয় নেতা। তিনি ছিলেন বুড়িচং ব্রাহ্মণপাড়ার সকল মানুষের গর্বের প্রতীক। তার এই অকাল প্রয়াণে আজ বুড়িচং ব্রাহ্মণপাড়ার মানুষ শোকে স্তব্ধ। জনাব আব্দুল মতিন খসরু যে সুস্থ ধারার রাজনীতির চর্চা এবং সাধারণ মানুষের পাশে ছিলেন তাঁর যোগ্য উত্তরসূরি হিসেবে আমরা বুড়িচং-ব্রাহ্মণপাড়ার সর্বস্তরের জনগণ মনে করছি জনাব এহতেশামুল হাসান ভূঁইয়া রুমি, বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ এবং দেশের প্রতি তাঁর যে ত্যাগ ও সাংগঠনিক দক্ষতার পরিচয় দিয়েছেন তার প্রতিফলন স্বরুপ বুড়িচং-ব্রাহ্মণপাড়া বাসির কল্যানার্থে প্রয়াত মহান নেতা আব্দুল মতিন খসরু সাহেবের অসমাপ্ত কাজগুলি সফলতার সাথে সম্পন্ন করে উন্নয়নের ধারা অব্যাহত রাখবেন। বুড়িচং-ব্রাহ্মণপাড়া বাসির আজ এই ক্রান্তিকালে প্রয়াত মহান নেতা আব্দুল মতিন খসরু সাহেবের শূন্যস্থান পূরণে এহতেশামুল হাসান রুমি সর্ব্বোচ চেষ্টা করার প্রত্যয় ব্যক্ত করেন।
এহতেশামুল হাসান ভূঁইয়া রুমির নৌকা মার্কা মনোনয়নের প্রত্যাশা কামনা করছেন বুড়িচং-ব্রাহ্মণপাড়ার সর্বস্তরের তরুন সমাজ।