হেফাজতে ইসলামের ডাকা হরতাল চলাকালে নারায়ণগঞ্জের ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের শিমরাইল মোড় থেকে সাইনবোর্ড পর্যন্ত তাণ্ডব চালিয়েছে সংগঠনটির নেতাকর্মীরা। তারা অন্তত ৫টি ট্রাকে আগুন লাগানোর পাশাপাশি আরও ২৫টি যানবাহন ভাঙচুর করে।
পুলিশ জানিয়েছে, রোববার সকাল থেকেই হেফাজত সমর্থকরা মহাসড়কে টায়ার ও গাছের গুঁড়ি জ্বালিয়ে সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করে। পরে ১১টার দিক হঠাৎ পিকেটাররা মাদানীনগর, সানারপাড় ও সাইনবোর্ড এলাকায় ২৫টি গাড়ি এবং মাদানীনগর এলাকায় ৫টি ট্রাকে আগুন লাগিয়ে দেয় হেফাজত নেতাকমীরা
বেলা সাড়ে ১১টার দিকে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের মৌচাক ও সানারপাড় এলাকায় আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর পুলিশ, র্যাব ও বিজিবি মহাসড়ক থেকে হেফাজতের নেতাকর্মীদেরকে সরানো চেষ্টা করলে উভয়ের সাথে সংঘর্ষ বাধে।এ সময় সময় বিজিবি-পুলিশ বেশ কয়েক রাউন্ড ফাঁকা গুলি ও টিয়ারশেল নিক্ষেপ করে।
ভোর ৬টা থেকে হেফাজতে ইসলামের নেতাকর্মীরা মহাসড়কের শিমরাইল, সানারপাড় এলাকায় গাছের গুড়ি ফেলে, বালুর বস্তা রেখে, টায়ারে আগুন জ্বালিয়ে ও লাঠিসোটা নিয়ে অবরোধ করে রাখে। এসময় কয়েকটি ট্রাক চলাচল করতে চাইলে হরতাল সমর্থনে বিক্ষোভকারীরা ঢিল ছুঁড়ে ট্রাকের গ্লাস ভাঙচুর করে। এসময় র্যাব, পুলিশ, বিজিবি, সাদা পোশাকে গোয়েন্দা পুলিশসহ আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী কয়েকবার মহাসড়ক থেকে তাদের সরিয়ে দিতে ব্যর্থ হয়। সকাল ১১টায় বিক্ষোভকারী হেফাজত ইসলামের নেতাকর্মীদের মহাসড়ক থেকে সরিয়ে দিতে চাইলে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সঙ্গে ধাওয়া, পাল্টা ধাওয়া ও সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এসময় শাকিল (৩২) নামে এক ব্যক্তি গুলিবিদ্ধ হন। সন্ধ্যা ৭ টা পর্যন্ত দফায় দফায় হেফাজতে ইসলামের নেতাকর্মীদের সঙ্গে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর ধাওয়া পাল্টা ধাওয়া, ইটপাটকেল নিক্ষেপ ও টিয়ারশেলসহ গুলি ছুড়তে দেখা যায়।
এ বিষয়ে জানতে নারায়ণগঞ্জ পুলিশ সুপার (এসপি) জায়েদুল আলমের মোবাইলে একাধিকবার যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও যোগাযোগ করা সম্ভব হয়নি।সুত্র:ডেইলি স্টার।