জলবায়ু পরিবর্তনের লাগাম কোনভাবেই টানা সম্ভব হচ্ছে না। পরিবেশ দূষণে পাল্লা দিয়ে এগোচ্ছে উন্নত দেশগুলো। কিন্তু উন্নত দেশ সিঙ্গাপুর হাঁটছে ভিন্ন পথে। দেশটি সমুদ্র উপকূলে তৈরি করছে ভাসমান সোলার প্যানেল। শহরের গ্রিন হাউজ গ্যাস নিঃসরণ রোধে অভিনব এ উদ্যোগ। বর্তমানে দেশটির সাগরের উপকূলে স্থাপন করা হয়েছে ১৩ হাজার সোলার প্যানেল।
এ সোলার প্যানেলগুলো দিয়ে দৈনিক ৫ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদন সম্ভব। সারাবছরের জন্য দেশটির ১ হাজার ৪শ’ আবাসিক ফ্ল্যাটের জন্য এ বিদ্যুৎ যথেষ্ট।গেল মাসেই সিঙ্গাপুর সরকার ঘোষণা দেয়, পরিবেশ সুরক্ষায় সবুজ পরিকল্পনা নিয়েছে দেশটি। কিন্তু সমালোচকরা বলছেন, পরিবেশ দূষণ রোধে ব্যর্থ সিঙ্গাপুর।
দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার একটি দ্বীপরাষ্ট্র সিঙ্গাপুর। এই দেশটি জ্বালানির জন্য প্রাকৃতিক গ্যাসের ওপর নির্ভরশীল। সিঙ্গাপুর বিশ্বের সবচেয়ে ছোট দেশগুলোর একটি হলেও সবচেয়ে বেশি কার্বন নিঃসরণ করা দেশগুলোর মধ্যে অন্যতম এটি। দেশটির আশেপাশে তেমন নদী নেই যে, বাতাসের মাধ্যমে হাইড্রো ইলেক্ট্রিক পাওয়ার তৈরি করে বিদ্যুৎ উৎপাদন করবে। তাই সৌরবিদ্যুতের বিকল্প নেই।
নতুন এ প্রকল্পের উদ্যোক্তা শওন তান বলেন, সমুদ্রকেই ব্যবহার করছেন তারা, কারণ দেশটিতে পর্যাপ্ত স্থলভাগও নেই যে জায়গা কাজে লাগিয়ে বিদ্যুৎ উৎপাদন করবেন। সমুদ্রই একমাত্র উপায় মনে হয়েছে তাদের কাছে।
প্যারিস জলবায়ু চুক্তির আওতায় সিঙ্গাপুর কার্বন নিঃসরণ কমাতে আন্তর্জাতিক পরিবেশভিত্তিক সংস্থাগুলোর চাপের মুখে আছে। অনেক লক্ষ্যমাত্রা নিয়েও কোনভাবে নিয়ন্ত্রণে আসছে না পরিবেশ দূষণ। সারাবিশ্বে উষ্ণায়ন দুই শতাংশের নিচে রাখতে হবে, এই লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে প্যারিস জলবায়ু চুক্তিতে।
সিঙ্গাপুর সরকার বলছে, পরিবেশ রক্ষায় গাছ লাগানো, আবর্জনা আর কার্বন নিঃসরণ কমানো এবং বিভিন্ন স্থানে বৈদ্যুতিক গাড়ির জন্য চার্জার পয়েন্ট স্থাপন করার পদক্ষেপ নেয়া হচ্ছে। ২০২৫ সালের মধ্যে দেশের মোট প্রয়োজনের অনেকাংশই সৌরবিদ্যুতের মধ্য দিয়ে উৎপাদনের লক্ষ্য নিয়েছে সিঙ্গাপুর। ২০৩০ সালের মধ্যে প্রতি বছর সাড়ে ৩ লাখ বাড়িতে সৌরবিদ্যুত পৌঁছে দেয়ার পরিকল্পনা আছে তাদের।
এ জাতীয় আরো খবর..