রংপুরের বদরগঞ্জ উপজেলা গোপীনাথপুর ইউনিয়নের আরাজী দিলালপুর বানিয়াপাড়া এলাকায় বসবাস হামিদুর-ফরিদা দম্পতির। তাদের ঘরে আছে তিন পুত্র সন্তান। কিন্তু কন্যাসন্তানের আশায় দিন পার করছিলেন তারা। এবার অন্তঃসত্ত্বা হওয়ার পর মনে করেছিলেন এবার কন্যাসন্তানের দেখা পাবেন।
কিন্তু তাদের ঘরে আবারও পুত্রসন্তান আসলে ক্ষুব্ধ হয়ে যান হামিদুর। জন্মের ৪৮ দিনের মাথায় ঘুমন্ত শিশু সন্তান সোয়াইনকে ঘর থেকে তুলে নিয়ে স্ত্রীর অগোচরে হত্যা করেন বাবা হামিদুর। বাড়ি থেকে কিছুটা দূরের এক পুকুরে মরদেহ ফেলে দেন তিনি। এরপর এলাকায় প্রচার করেন, ঘর থেকে শিশু সোয়াইনকে জিনে নিয়ে গেছে। এমনকি এ ঘটনায় সন্তান নিখোঁজ দাবি করে বদরগঞ্জ থানায় অভিযোগও দেন হামিদুর-ফরিদা দম্পতি। ঘটনার পরদিন সোমবার (০৮ মার্চ) সকালে সোয়াইনের মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ।
এরপরই বাবা হামিদুর রহমানকে জিজ্ঞাসাবাদ করলে তিনি হত্যায় জড়িত থাকার কথা স্বীকার করে বলে জানান বদরগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) হাবিবুর রহমান হাবিব। পরে, ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি দেন হামিদুর রহমান। পরে তাকে জেলহাজতে পাঠানো হয়।
ওসি হাবিবুর রহমান বলেন, ওই শিশুর মরদেহ উদ্ধারের সময় সন্দেহভাজন হিসেবে বাবা হামিদুর রহমান ও মা ফরিদা বেগমকে আটক করা হয়। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে শিশুটিকে হত্যার কারণ জানান বাবা। এ ঘটনায় বদরগঞ্জ থানায় হামিদুর রহমানের বিরুদ্ধে মামলা করেছেন শিশুটির দাদা নুরুল ইসলাম।
বাবার হাতে সন্তান হত্যার কথা শুনে বিস্মিত হন ফরিদা বেগম। তিনি বলেন, আমার স্বামী কন্যাসন্তানের জন্য ব্যাকুল ছিলেন। পরপর তিন ছেলের পর কন্যাসন্তানের আশায় ছিলেন। তার আশা ছিল, এবারের সন্তানটি মেয়ে হবে। কিন্তু চতুর্থ সন্তানও ছেলে হওয়ায় ক্ষুব্ধ হন। শিশুটি বদল করতে চেয়েছিলেন। কিন্তু আমি রাজি হইনি। এভাবে ছেলেকে হত্যা করবে জানলে বদল করতাম।
এ জাতীয় আরো খবর..