সোশ্যাল মিডিয়া ব্যবহারে আগেই রাশ টানা হয়েছিল, এবার মিয়ানমারে ইন্টারনেট বন্ধের সিদ্ধান্ত নিল সেনা। স্থানীয় সূত্র জানিয়েছে, সোমবার (১৫ ফেব্রুয়ারি) মধ্যরাতে প্রায় গোটা দেশেই সেনা সরকার ইন্টারনেট বন্ধ করে দিয়েছে। ১ ফেব্রুয়ারি সেনা ক্ষমতা দখল করার পর এই নিয়ে চারবার ইন্টারনেট বন্ধ করা হলো। তবে গোটা দেশেই একইরকম ভাবে ইন্টারনেট বন্ধ করা হয়েছে কি না, তা স্পষ্ট নয়। আন্দোলনকারীদের বক্তব্য, গোটা দেশেই ইন্টারনেট পরিষেবা বন্ধ করা হয়েছে।
বিরোধীদের আন্দোলন বন্ধ করতে একের পর এক চরম সিদ্ধান্ত নিচ্ছে মিয়ানমারের সেনা সরকার। রোববার থেকে রাস্তায় সেনার সাজোয়া গাড়ি নামানো হয়েছে। ইয়াঙ্গন সহ একাধিক রাজ্যে সেনা টহল দিচ্ছে। সোমবার সেনা এবং সাজোয়া গাড়ির সংখ্যা আরো বাড়ানো হয়েছে। প্রতিবাদীরা যে সমস্ত জায়গায় নিয়মিত বিক্ষোভ দেখাচ্ছেন, সেখানে পুলিশের জায়গায় সেনা মোতায়েন করা হয়েছে। প্রত্যক্ষদর্শীদের বক্তব্য, সোমবারের বিক্ষোভেও পুলিশ রবার বুলেট ছুড়েছে। বহু মানুষ আহত হয়েছেন। গ্রেপ্তারও করা হয়েছে অনেককে। তারই মধ্যে সোমবার রাত থেকে কার্যত গোটা দেশে ইন্টারনেট পরিষেবা বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে।
ইন্টারনেট ব্যবহার করে সোশ্যাল মিডিয়ায় প্রতিবাদ এবং বিক্ষোভের মেসেজ পাঠাচ্ছিলেন বিক্ষোভকারীরা। শুধু তাই নয়, গোটা বিশ্বের কাছে সেনা বাহিনীর জুলুমের ছবি পাঠাচ্ছিলেন তাঁরা। সে কারণেই ইন্টারনেট বন্ধ করা হয়েছে বলে মনে করা হচ্ছে। সেনা সূত্র অবশ্য এ বিষয়ে কোনো মন্তব্য করেনি।
মিয়নমারের সব চেয়ে বড় টেলিকম সংস্থা টেলিনর জানিয়েছে, ইন্টারনেট বন্ধ করা হয়েছে। তবে তাদের সাইটে কোথায় কোথায় ইন্টারনেট বন্ধ, তার কোনো তালিকা প্রকাশ করা হবে না। সাধারণত, টেলিনর নিজেদের সাইটে ইন্টারনেট পরিষেবা সংক্রান্ত খবরাখবর দিয়ে থাকে। কোথাও ইন্টারনেট বন্ধ হলে তা সাইটে দেওয়া হয়। মঙ্গলবার সংস্থাটি জানিয়েছে, তালিকা প্রকাশ করলে কর্মীদের নিরাপত্তা বিঘ্নিত হতে পারে। সেনা সংস্থাটির বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে পারে।