রাজধানীর পল্লবী থানা এলাকা থেকে শীর্ষ সন্ত্রাসী ও যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত পলাতক একজন আসামীকে গ্রেফতার করেছে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) কাউন্টার টেরোরিজম ইনভেষ্টিগেশন বিভাগ। গ্রেফতারকৃতের নাম-মোঃ মফিজুর রহমান মামুন।
৮ ফেব্রুয়ারি,২০১১ (সোমবার) ভোর ৬.৪০ টায় রাজধানীর পল্লবীর বাইতুন নুর জামে মসজিদ এলাকা হতে তাকে গ্রেফতার করে কাউন্টার টেরোরিজম ইনভেষ্টিগেশন বিভাগের একটি টিম।
তদন্ত সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা যায়, রাষ্ট্রবিরোধী একটি সন্ত্রাসী চক্র টার্গেট কিলিং ও ব্যাপক সহিংসতা সৃষ্টির মাধ্যমে দেশকে অস্থিতিশীল করার উদ্দেশ্যে চোরাবাজার থেকে অবৈধভাবে আগ্নেয়াস্থ সংগ্রহের চেষ্টা করছে মর্মে তথ্য পায় ডিএমপির কাউন্টার টেরোরিজম ইনভেষ্টিগেশন বিভাগ। বিষয়টিতে জঙ্গি সংশ্লিষ্টতার সম্ভবনা বিবেচনা করে ছায়া তদন্ত শুরু করে কাউন্টার টেরোরিজম ইনভেসিটগেশন বিভাগ। উক্ত সন্ত্রাসী চক্রের সদস্যদের গ্রেফতারের জন্য অভিযান শুরু করে পুলিশ। সোমবার ভোর ৬.৪০ টায় পল্লবীর বাইতুন নুর জামে মসজিদের পাশে রাস্তা হতে এ সন্ত্রাসী চক্রের সদস্য সন্দেহে এক ব্যাক্তিকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটক করা হয়।
প্রাথমিক তদন্ত ও জিজ্ঞাসাবাদে আটককৃত ব্যক্তি, শীর্ষ সন্ত্রাসী ও যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত ফেরারী আসামী মোঃ মফিজুর রহমান মামুন মর্মে জানা যায়। তার বিরুদ্ধে চাঁদাবাজি, খুন,মাদক, অবৈধ আগ্নেয়াস্ত্রের ব্যাবহার ও ডাকাতির অভিযোগে পল্লবী থানায় ২৭ টি মামলা, ১৫ টি গ্রেফতারী পরোয়ানা ও ২ টি সাজা পরোয়ানার তথ্য পাওয়া যায়।
গ্রেফতারকৃত মামুন এক সময়ে মিরপুরের আন্ডারওয়ার্ল্ডের নিয়ন্ত্রণ করতেন। সে ২০০১ সালে কিছুদিন কারাভোগের পর ২০০৪ সালে বাংলাদেশ থেকে পালিয়ে ভারত গমন করে। পাসপোর্ট জালিয়াতি ও অবৈধ অনুপ্রবেশের অভিযোগে ২০০৮ সালে ভারতে গ্রেফতার হয় এবং ১০ বছর সাজা ভোগ করে। কারাভোগ শেষে ভারতে বসেই মামুন বিদেশে অবস্থানরত মিরপুরের অপর শীর্ষ সন্ত্রাসী ইব্রাহিম ও সাহাদাত বাহিনীর প্রধান সাহাদাতের সাথে ঘনিষ্ট যোগাযোগ ও সমম্বয়ের মাধ্যমে ঢাকার মিরপুর এলাকায় ত্রাসের রাজত্ব প্রতিষ্ঠা করার জন্য তৎপর হয়। গ্রেফতারকৃত মামুন বিভিন্ন সময়ে প্রতিষ্ঠিত ব্যাবসায়ীদের ফোন করে প্রাণনাশের হুমকি প্রদান করে চাঁদা দাবি করতো। অপরাধজগতে তার অবস্থানকে সুসংহত করতে সম্প্রতি সে ভারত থেকে বাংলাদেশে অনুপ্রবেশ করে।
গ্রেফতারকৃতকে আজ (৮ ফেব্রুয়ারী) বিজ্ঞ আদালতে প্রেরণ করা হয়েছে।