কুমিল্লা জেলার মেঘনা উপজেলায় ৫ বছরের শিশু রিফানুল ইসলাম রিফানের অর্ধগলিত লাশ উদ্ধারের ৭২ ঘণ্টার মধ্যে হত্যার রহস্য উদঘাটন ও মূল আসামি শাকিলকে গ্রেপ্তার করতে সক্ষম হয় মেঘনা থানা পুলিশ। গ্রেফতারকৃত আসামি ঘাতক শাকিল আদালতে ১৬৪ ধারায় দেওয়া জবানবন্দিতে শিশু রিফানকে ইট দিয়ে আঘাত করে নির্মমভাবে হত্যা করার বিষয়ে স্বীকারক্তি দেয়।
মঙ্গলবার (২৬ জানুয়ারি) কুমিল্লার মেঘনা থানা পুলিশ চৌকস তদন্ত ও তথ্য প্রযুক্তির সহায়তায় মুন্সীগঞ্জ জেলা গজারিয়া উপজেলার রসুলপুর এলাকা থেকে হত্যাকান্ডের মূল ঘাতক শাকিলকে (২২) গ্রেফতার করে।
শিশু রিফান ১০ দিন নিখোঁজ থাকার পর ২৩ জানুয়ারি মেঘনা উপজেলার ওমরকান্দা ব্রিজ সংলগ্ন পুরাতন মেঘনা নদী থেকে তার অর্ধগলিত লাশ উদ্ধার করা হয়। এর আগে শিশু রিফানের মা বাদী হয়ে মেঘনা থানায় একটি নিখোঁজ ডায়েরি করেন।
কুমিল্লার হোমনা ও মেঘনা থানার সার্কেল সিনিয়র সহকারি পুলিশ সুপার ফজলুল করিম জানান, কুমিল্লা পুলিশ সুপার ফারুক আহমেদের দিক নির্দেশনায় মেঘনার আলোচিত শিশু রিফান হত্যাকে সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিয়ে মাঠে নামে মেঘনা থানা পুলিশ।তদন্তে রিফানের লাশ উদ্ধারের মাত্র ৭২ ঘণ্টার মধ্যে পুলিশের কর্মতৎপরতায় উদঘাটন হয় চাঞ্চল্যকর শিশু রিফান হত্যা মামলার রহস্য। নিরবচ্ছিন্ন তদন্ত ও তথ্য প্রযুক্তির সহায়তায় মুন্সীগঞ্জের গজারিয়া উপজেলার রসুলপুর এলাকা থেকে আটক করা হয় হত্যাকান্ডের মূল ঘাতক শাকিলকে।
মেঘনা থানার অফিসার ইনচার্জ আবদুল মজিদ জানান, হোমনা সার্কেলের সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার ফজলুল করিমের নেতৃত্বে অভিযান চালিয়ে আসামি শাকিলকে গ্রেফতার করা সম্ভব হয়। শিশু রিফানকে ইট দিয়ে মাথায় আঘাত করে নির্মমভাবে হত্যা করার বিষয়ে স্বীকার করে শাকিল। হত্যার ঘটনায় ১৬৪ ধারায় বিজ্ঞ আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেয় ঘাতক শাকিল।
এ জাতীয় আরো খবর..