ভারতে পালিয়ে থাকা মোষ্ট ওয়ান্টেড সন্ত্রাসী মামুনের চাঁদাবাজী-দখলবাজীতে অতিষ্ট রাজধানীর পল্লবী এলাকার জনগন। প্রশাসনের দ্বারে দ্বারে ঘুরে বিচার না পেয়ে জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে মানবন্ধনে বাধ্য হয় পল্লবীর স্থানীয়রা। কিছুদিন পূর্বে রাজধানীর পল্লবী থানায় বোমা বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে। ভারতে
পালিয়ে থাকা শীর্ষ সন্ত্রাসী মামুন-জামিল গ্রুপের সদস্যদের গ্রেফতারের পর উদ্ধার হওয়া বোমা বিস্ফোরণে ঘটনায় বদলী করা হয় পুরো পল্লবী ও মিরপুর জোনের উর্দ্ধতন পুলিশ কর্মকর্তাদের। এই সময় গ্রেফতার হওয়া মামুন-জামিল বাহিনীর সদস্যদের ছাড়াতে তৎপরতা শুরু করে মামুন-জামিলের প্রতিবেশী মোঃ আমির হোসেন নামে এক ব্যক্তি। তখন গোয়েন্দা পুলিশ তাকে নজরদারীতে নেয়।কিন্তু, পত্রিকার সম্পাদক ও প্রকাশক পরিচয় দিয়ে সেই যাত্রায় রক্ষা পেলেও,তার অপকর্ম থেমে নেই। কোর্টের মাধ্যমে মামুন-জামিল বাহিনীর সদস্যদের মুক্ত করার তৎরতা চালায় এবং কিছু ক্ষেত্রে সফলও হয়। মোঃ আমির হোসেনের বিরুদ্ধে অভিযোগ রয়েছে ভুয়া সার্টিফিকেট জমা দিয়ে পত্রিকার ডিক্লারেশান নিয়ে নিবিগ্নে চালাচ্ছে সন্ত্রাসী কার্য্যক্রম।
যদিও আমির হোসের কখনও সংবাদ মাধ্যমের লোক ছিল না। মামুন-জামিলের বিশ্বস্ততা অর্জন করে বেপরোয়া হয়ে উঠে মোঃ আমির হোসেন। ইতিপূর্বে মামুন জামিলের সহায়তায় অনেকগুলো বাড়ী এমন কি তার পত্রিকা অফিস পল্লবী-১২ নম্বর সেকশনের বি-ব্লকে ৯/২ নম্বর সড়কের ১৫২/১৬ নম্বর বাড়ি। এই বাড়ীটিও পত্রিকা অফিসের নামে দখল করে নেয় মামুন জামিলের সহায়তায়। পরবর্তীতে মিরপুর-১১ নান্নু মার্কেট সংলগ্নে রোড-৯ বাসা-৫, ব্লক-এ, বাড়িটিতে গভীর রাতেই দখল করে। শীর্ষ সন্ত্রাসী মামুন-জামিলের লোকদের সেই
বাড়িতে অবস্থান করাচ্ছে আমির। এছাড়াও এলাকায় মামুনের চাঁদাবাজীর টাকা হুন্ডির মাধ্যমে আমির ভারতে পাঠায় বলে অভিযোগ রয়েছে। এই সব অভিযোগের প্রেক্ষিতে তার বিরুদ্ধে মানববন্ধন করেছেন রাজধানীর মিরপুর ও পল্লবীর কয়েকজন বাসিন্দা।
গত রবিবার জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে সকাল ১১টায় মানববন্ধন করেন তারা। মানববন্ধনে ভুক্তভোগীরা আমিরের দখল করা বাড়িতে অবস্থান করা শীর্ষ সন্ত্রাসী মামুন-জামিলের সন্ত্রাসী বাহিনীকে গ্রেপ্তারের দাবি জানান।মানববন্ধনে অংশগ্রহণকারীদের অভিযোগ, আমির হেসেন কোনো কোনো বাড়িতে কৌশলে উঠে। আবার কেনো কোনো বাড়ীতে গভীর রাতে দখল করে। বাড়িতে কোনোভাবে উঠেই ভুয়া কাগজপত্র করে কোর্টে ইনজেকশন মামলা জারি করে। অন্যদিকে শীর্ষ সন্ত্রাসী মামুনকে দিয়ে মোবাইলে কল করে প্রতিপক্ষকে বিভিন্ন হুমকি ধামকি দিয়ে চলে। বর্তমানে মিরপুর-১১ নান্নু মার্কেট সংলগ্নে রোড-৯ বাসা-৫,
ব্লক-এ, বাড়িটিতে গভীর রাতেই দখল করে। শীর্ষ সন্ত্রাসী মামুন-জামিলের লোকদের সেই বাড়িতে অবস্থান করাচ্ছে আমির।মানববন্ধনে অংশগ্রহণকারীরা অভিযোগ করে বলেন, আমির হোসেন দির্ঘদিন ধরে আদম
ব্যবসা করে বহু মানুষকে নিঃস্ব করেছেন। বহুবার ভুক্তভোগীরা তাকে আটক করে পাওনা টাকা ফেরত চেয়েছেন। এমনকি তাকে জুতা পেটাও করেছেন। কিন্তু পলাতক শীর্ষ সন্ত্রাসী মামুনের সঙ্গে হঠাৎ সখ্যতা তাকে বদলে দেয়। পরবর্তীতে মামুনের পরামর্শে বর্তমানে রাজধানীর পল্লবীতে সম্পাদক পরিচয় দিয়ে একাধিক
বাড়ি দখল করেছেন আমির। আর শীর্ষ সন্ত্রাসী মামুনকে দিয়ে মোবাইলে কল করে প্রতিপক্ষকে বিভিন্ন হুমকি ধামকি দেওয়া হয় বলেও তারা অভিযোগ করেন।অংশগ্রহণকারীদের দাবি, মিপুরের সন্ত্রাসী মামুন জামিল বাহিনীর সদস্য।তিনি বিভিন্ন উচ্চপর্যায়ের সরকারি কর্মকর্তা, এমপি, মন্ত্রীদের সঙ্গে ছবি তুলে সেই ছবি দেখিয়েও সাধারণ মানুষকে ভয় দেখান। আদম ব্যবসার সুবাদে নিজেকে হাজি বলেও বিভিন্ন দপ্তরে পরিচয় দেন। তার বিরুদ্ধে কেউ প্রতিবাদ করলে তার আর রক্ষা নেই। প্রশাসনকে ম্যানেজ করে বিভিন্ন মামলা দিয়ে হয়রানি
করতে থাকেন। প্রশাসনকে ম্যানেজ করার প্রমাণ হিসেবে জানা যায়, দারুস সালাম থানায় আমির নিজের উপর হামলা হয়েছে প্রচার করে মিথ্যা ঘটনা সাজিয়ে মামলা করে। পরবর্তীতে বড় অংকের টাকা নিয়ে ও জমির ঝামেলা সমাধান করার শর্তে নিরীহ মামলার আসামিদের সাথে সমোঝোতা করে মামলা তুলে নেয়।এমন অসংখ্য মানুষকে মিথ্যা মামলা দিয়ে তার বশ্যতা স্বীকারে বাধ্য করে।কোর্টে আমির নিজে অসংখ্য মামলার বাদী।পুলিশ প্রশাসন তার ম্যানেজ থাকার কারণে কেউ তাকে কিছু করতে পারে না। এমনকি মিরপুর-১১ নান্নু মার্কেট সংলগ্নে রোড-৯ বাসা-৫, ব্লক-এ, বাড়িটির বিষয়ে স্বরাষ্ট মন্ত্রী লিখিত নির্দেশ দেওয়ার পরও আজও সন্ত্রাসীমামুন-জামিল বাহিনীর লোকরা বাড়ীটিতে অবস্থান করছে।এই বিষয়টি জানতে চাইলে আমির হোসেন সংবাদ মাধ্যমকে বলেন, ওই বাড়িটি পরিত্যক্ত। এটি আমার দখলেও নেই। এমনকি আমার বিরুদ্ধে মামলাও নেই। আমার বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র হচ্ছে।