দুই দশকের অপেক্ষার অবসান হওয়ায় আনন্দে ভাসছে বাংলাদেশ। রাজশাহীসহ বিভিন্ন জেলায় হয়েছে আনন্দ মিছিল। মিষ্টি বিতরণ করেছেন আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীরা। পদ্মা সেতু নির্মাণে দৃঢ়তার জন্য প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার প্রতি কৃতজ্ঞতা জানিয়েছেন তারা।
বৃহস্পতিবার (১০ ডিসেম্বর) দুপুরে উত্তরের জেলা রাজশাহীতে আনন্দ মিছিলের আয়োজন করে মহানগর আওয়ামী লীগ। নগরের আলুপট্টি মোড়ে দলীয় কার্যালয়ের সামনে থেকে বের হয়ে গুরুত্বপূর্ণ সড়ক প্রদক্ষিণ করে মিছিলটি।দেশি-বিদেশি নানা ষড়যন্ত্র মোকাবিলার পর পদ্মায় দৃশ্যমান দেশের সবচে বড় সেতু। অদম্য যাত্রার সবশেষ স্প্যান বসানোর পরই উচ্ছ্বসিত সাধারণ মানুষ। পদ্মা সেতু, দক্ষিণাঞ্চলের যোগাযোগ ও আর্থসামাজিক উন্নয়নে ভূমিকা রাখলেও শোভাযাত্রা দেশের অন্যান্য স্থানেও।
সিটি মেয়র এএইচএম খায়রুজ্জামান লিটনের নেতৃত্বে আওয়ামী লীগের পাশাপাশি অঙ্গ-সংগঠনের নেতাকর্মীরা অংশ নেন। প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ শেষে আবারও দলীয় কার্যালয়ে গিয়ে শেষ হয় মিছিলটি।
মিছিলে অংশ নেওয়া একজন বলেন, ‘পদ্মা সেতুর মাধ্যমে সারা বাংলাদেশের সাথে ঢাকার যোগাযোগ স্থাপনের মাধ্যমে যে সেতুবন্ধন সৃষ্টি করলেন এই জন্য প্রধানমন্ত্রী ও তার সরকারকে ধন্যবাদ জানাই।’
সিটি মেয়র এএইচএম খায়রুজ্জামান লিটন বলেন, ‘২০২১ সালেই পদ্মা সেতু দিয়ে মানুষ চলাচল করতে পারবে।’
নানা বাধা অতিক্রম করে, ছয় দশমিক এক পাঁচ কিলোমিটার দৈর্ঘ্যের স্বপ্নের পদ্মা সেতু দৃশ্যমান হওয়ায় প্রধানমন্ত্রীকে অভিনন্দন জানিয়ে দলীয় কার্যালয়সহ আশপাশের এলাকায় মিষ্টি বিতরণ করা হয়।
এদিকে, বৃহস্পতিবার কয়েক দফা আনন্দ মিছিল হয়েছে মুন্সীগঞ্জ ও মাদারীপুরে। যোগাযোগ ও অর্থনীতিতে দীর্ঘদিনের দুর্ভোগ লাঘব হওয়ার স্বপ্নে যেন আনন্দের সীমা নেই পদ্মাপাড়ের মানুষের।