সরকারি নীতিমালা না মানার অভিযোগ পাওয়া গেছে অনলাইনভিত্তিক সেবা প্রতিষ্ঠান ‘সহজ’ এর বিরুদ্ধে। কর্মী ছাঁটাইয়ের অভিযোগসহ রাইড শেয়ারিং সার্ভিস পরিচালনার ক্ষেত্রে নতুন কেনা মোটরসাইকেল এক বছর না হলেও সেগুলোকে সেবায় যুক্ত করছে ‘সহজ’। ইতোমধ্যে বেশ কয়েকজনকে ছাঁটাই করা হয়েছে। ছাঁটাইয়ের তালিকায় আছে প্রায় ৫০ শতাংশ কর্মী।২০১৮ সালে অনলাইনভিত্তিক সেবা প্রতিষ্ঠান ‘সহজ’ সিঙ্গাপুরভিত্তিক প্রতিষ্ঠান গোল্ডেন গেট ভেঞ্চারের কাছ থেকে ১ কোটি ৫০ লাখ ডলার বা ১২৫ কোটি টাকার বিনিয়োগ পায়। তবুও থেমে নেই প্রতিষ্ঠানটির ছাঁটাই কার্যক্রম।
২০১৮ সালের ১৫ জানুয়ারি ‘রাইড শেয়ারিং সার্ভিস নীতিমালা-২০১৭’ এর অনুমোদন দেয় বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষ (বিআরটিএ)। মূলত রাইড শেয়ারিং সেবাকে একটি আইনি কাঠামোর মধ্যে পরিচালনা করতে সার্ভিস নীতিমালা প্রণয়ন করে সরকার। তবে সেগুলো মেনে চলার তাগিদ দেখা যায় না সেবা দেওয়া প্রতিষ্ঠানগুলোর মধ্যে। খোলামেলাভাবেই নীতিমালার বিরুদ্ধে গিয়ে কার্যক্রম পরিচালনা করছে ‘সহজ’।
রাইড শেয়ারিং সার্ভিস নীতিমালা-২০১৭ এর অনুচ্ছেদ (ক) ধারার ১০-এ বলা আছে, ‘ব্যক্তিগত মোটরযান রেজিস্ট্রেশন গ্রহণের পর ন্যূনতম ১ বছর অতিক্রান্ত না হলে রাইড শেয়ারিং সার্ভিসের আওতায় সেবায় দিতে পারবে না।’ কিন্তু নতুন কেনা মোটরযানের রেজিস্ট্রেশন ১ বছর অতিবাহিত না হলেও সেটিকে রাইড শেয়ারিংয়ে যুক্ত করার অভিযোগ আছে সহজ’র বিরুদ্ধে।
গত ১ বছরে রাজধানীতে ‘বহিরাগত’ মোটরচালকের সংখ্যা বেড়েছে অনেক। নগরীতে হঠাৎ করেই বেড়ে যাওয়া এ বাইক ও বাইকারের চাপে নেতিবাচক প্রভাব পড়ছে রাজধানীর যান চলাচল এবং জীবনযাত্রায়।
‘জীবনটাকে সহজ করুন’- স্লোগানে অনলাইনে বাসের টিকিট বিক্রি সেবা চালুর মধ্য দিয়ে ২০১৪ সালে যাত্রা শুরু করে সহজ ডটকম। পরে রাইড শেয়ারিং সেবা যুক্ত করে নতুন আঙ্গিকে যাত্রা শুরু হয় চলতি বছরের ২১ মে।
তবে এসব অভিযোগ অস্বীকার করেছেন সহজ এর ব্যবস্থাপনা পরিচালক মালিহা মালেক কাদের। তিনি গণমাধ্যমকে বলেন, তথ্যগুলো একেবারে সঠিক নয়। আমরা সম্পূর্ণভাবেই আইন মেনে কাজ করছি।
কর্মী ছাঁটাইয়ের বিষয়ে মালিহা মালেক কাদের বলেন, এটি ভুল তথ্য। কারণ ছাঁটাই তো দূরের কথা, আমরা লোক আরও নিয়োগ দিচ্ছি।সুত্র:সময় নিউজ।
এ জাতীয় আরো খবর..