1. nagorikkhobor@gmail.com : admi2017 :
  2. shobozcomilla2011@gmail.com : Nagorik Khobor Khobor : Nagorik Khobor Khobor
বুধবার, ১৭ এপ্রিল ২০২৪, ০৩:৪০ পূর্বাহ্ন

আরও তিন দেশের দায়িত্বে সোনিয়া বশির কবির

রিপোর্টারের নাম
  • আপডেট টাইম : মঙ্গলবার, ২১ নভেম্বর, ২০১৭
  • ৪৬৮ বার পঠিত
ফাইল ছবি

নতুন করে আরও তিনটি দেশের দায়িত্ব পেয়েছেন মাইক্রোসফট বাংলাদেশের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) সোনিয়া বশির কবির। দেশগুলো হলো নেপাল, ভুটান ও লাওস। এখন থেকে তিনি এই চার দেশের ব্যবস্থাপনা পরিচালক হিসেবে দায়িত্ব পালন করবেন। শনিবার মাইক্রোসফটের পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে একথা জানানো হয়েছে।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, প্রতিশ্রুতিময় ও বহুমুখী এই ভূমিকায় আগামী দিনগুলোতে সোনিয়া বশির কবির এই চার দেশে মাইক্রোসফটের ডিজিটাল ট্রান্সফরমেশনের লক্ষ্যপূরণ সংক্রান্ত ব্যবসায়িক সিদ্ধান্ত নেবেন। ডিজিটাল ট্রান্সফরমেশনের মূল লক্ষ্য হলো লোকবল, তথ্য ও পদ্ধতিকে একত্রীকরণের মাধ্যমে গ্রাহকদের জন্য মান উন্নয়ন ও ডিজিটাল জগতে প্রতিযোগীতায় এগিয়ে থাকা। তিনি এ দায়িত্ব পালনকালে সরকারি, বেসরকারি ও পার্টনার প্রতিষ্ঠানসমূহের সঙ্গে আসন্ন প্রযুক্তি বিপ্লব সংক্রান্ত অবকাঠামোভিত্তিক কাজ করবেন।

আগামী ২০১৮ সালের মধ্যে বাংলাদেশ, ভুটান, নেপাল ও লাওসের জিডিপি প্রবৃদ্ধির লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে যথাক্রমে ৭.১, ৬.৯, ৬.৯ ও ৬.৫ শতাংশ। জিডিপি প্রবৃদ্ধির পাশাপাশি প্রগতিশীল উৎপাদনকারী খাত স্থানীয় অর্থনীতি অনেকাংশে উন্নতির পথে অগ্রসর হতে পেরেছে, যা আরও বেশি মানুষের মধ্যে প্রযুক্তির ব্যবহার নিশ্চিত করছে। উল্লিখিত দেশগুলো ট্রান্সফরমেশন নিয়ে কার্যক্রম অব্যাহত রাখলেও মাইক্রোসফট ও এর পার্টনাররা প্রযুক্তির মাধ্যমে উন্নয়নের ধারা দ্রুতগতিতে এগিয়ে নিয়ে যেতে, প্রতিটি মানুষকে দক্ষ করে তোলা এবং প্রতিষ্ঠানগুলোর আরও বেশি মুনাফা অর্জনে দৃঢ়-প্রতিজ্ঞ।

এ প্রসঙ্গে মাইক্রোসফট এশিয়া প্যাসিফিকের সাউথইস্ট এশিয়া নিউ মার্কেটসের জেনারেল ম্যানেজার মাইকেল সিমন্স বলেন, ‘ইমার্জিং মার্কেটের ক্ষেত্রে ডিজিটাল ট্রান্সফরমেশনের বিষয়টি প্রতিষ্ঠান, সরকার এবং মাইক্রোসফটের জন্য বেশ গুরুত্বপূর্ণ। উল্লিখিত দেশগুলোতে চতুর্থ শিল্পবিপ্লবের সম্ভাবনা ব্যাপক যার ফলে দেশগুলোতে অর্থনৈতিক উন্নয়ন ঘটবে। এশিয়া ও যুক্তরাষ্ট্রের ইমার্জিং মার্কেটে ডিজিটাল ট্রান্সফরমেশনে সোনিয়া বশির কবিরের অভিজ্ঞতা দারুণভাবে ইতিবাচক প্রভাব ফেলবে বলে আমি বিশ্বাস করি।’

এ ব্যাপারে সোনিয়া বশির কবির বলেন, ‘কয়েকটি দেশের যে নতুন দায়িত্ব আমি পেয়েছি তা নিয়ে আমি সত্যিই সম্মানিত বোধ করছি এবং ডিজিটাল ট্রান্সফরমেশনের যাত্রা নিয়ে আমি বেশ উচ্ছ্বসিত। প্রতিটি মানুষ ও প্রতিষ্ঠানগুলো যেন ইন্টেলিজেন্ট ক্লাউড ও ইন্টেলিজেন্ট নতুন প্রান্তের সুযোগ গ্রহণ করতে পারে সে লক্ষ্য নিয়ে কাজ করব।’

মাইক্রোসফটে কাজের পাশাপাশি সোনিয়া বশির কবির জাতিসংঘের আওতাভুক্ত টেকনোলজি ব্যাংক ফর ডেভেলপড কান্ট্রিজ (এলডিসিএস)-এর গভর্নিং কাউন্সিল মেম্বর হিসেবে কাজ করছেন। সম্প্রতি জাতিসংঘের জেনারেল অ্যাসেম্বলি সপ্তাহে সাস্টেইনেবল ডেভেলপমেন্ট গোল (এসডিজি) সংক্রান্ত সেরা ১০ পথিকৃতের একজন হিসেবে সোনিয়া বশির কবিরকে ইউএন গ্লোবাল কমপ্যাক্ট স্বীকৃতি প্রদান করেছে। তিনি ২০১৬ সালে মাইক্রোসফট ফাউন্ডারস অ্যাওয়ার্ড পুরস্কার জয় করেন। বিশ্বব্যাপী মাইক্রোসফটে চাকরিরত প্রায় এক লাখ কর্মকর্তা ও কর্মচারীর মধ্যে মাত্র ১০ জনকে এ সম্মাননা দেয়া হয়ে থাকে।

নিউজটি শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরো খবর..
© All rights reserved © 2020 nagorikkhobor.Com
Theme Developed BY ThemesBazar.Com