নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁ উপজেলায় এক নারীকে স্বামীর পরকীয়ার মিথ্যা তথ্য দিয়ে ডেকে নিয়ে বাড়িতে আটকে রেখে টানা ছয়দিন ধর্ষণ করা হয়েছে। ওই নারীর পরিবারের মামলার পর অভিযান চালিয়ে এ ঘটনায় জড়িত মাহফুজুর রহমান নামের এক যুবককে গ্রেফতার করেছে নারায়ণগঞ্জ পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই)। একই সঙ্গে ওই নারীকে উদ্ধার করা হয়েছে।
শনিবার (৩১ অক্টোবর) দুপুরে পিবিআই নারায়ণগঞ্জ জেলা কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলন করে এসব তথ্য জানান পিবিআইয়ের পুলিশ সুপার মোহাম্মদ মনিরুল ইসলাম। এর আগে ২৯ অক্টোবর রাতে রাজধানীর পোস্তগোলা থেকে ওই নারীকে উদ্ধার ও মাহফুজকে গ্রেফতার করা হয়। শুক্রবার (৩০ অক্টোবর) এ ঘটনায় সোনারগাঁ থানায় মামলা করা হয়।
পিবিআইয়ের পুলিশ সুপার মোহাম্মদ মনিরুল ইসলাম বলেন, ২৩ অক্টোবর সোনারগাঁ থানায় নিখোঁজের একটি জিডি হয়। জিডির বাদী পিবিআইয়ের সহায়তা চাইলে তথ্যপ্রযুক্তির সহায়তায় পোস্তগোলা থেকে নারীকে উদ্ধার করা হয়।ওই নারীর বরাত দিয়ে মনিরুল ইসলাম বলেন, ওই নারীর মায়ের মোবাইল নম্বরে ২২ অক্টোবর ফোন করে শারমিন নামে এক নারী জানান, তোমার স্বামী এক মেয়ের সঙ্গে প্রেম করছে। তাকে বিয়ে করতে যাচ্ছে তোমার স্বামী।
তখন ওই নারী তার স্বামীর মোবাইল নম্বরে কল করেন। দুর্ভাগ্যজনকভাবে স্বামীর মোবাইল নম্বর বন্ধ থাকায় শারমিনের কথা বিশ্বাস করে দিশেহারা হয়ে যান ওই নারী।
তখন শারমিন ভুক্তভোগী নারীকে বলেন, আমি তোমার ভালো চাই। তোমার বাসার পাশে মেঘনা সেতুর কাছে দাঁড়িয়ে আছি। তুমি ওখানে দ্রুত আস। তোমাকে তোমার স্বামীর প্রেমিকার কাছে নিয়ে যাব। তখন ভুক্তভোগী নারী কাউকে কিছু না বলে মেঘনা সেতুর কাছে এলে শারমিনের সঙ্গে দেখা হয়। এরপরই ওই নারীকে সাদা রঙের মাইক্রোবাসে তুলে নেয়া হয়। গাড়িতে ওঠার পর মাহফুজসহ দু-তিনজনকে দেখতে পান ওই নারী।
এরপর মাহফুজ ওই নারীর মুখ চেপে ধরেন। মাহফুজের সহযোগীরা ওই নারীকে নিয়ে যাত্রাবাড়ীসহ বিভিন্ন স্থানে ঘোরেন। পরে নিজ বাড়িতে আটকে রেখে ওই নারীকে একাধিকবার ধর্ষণ করেন মাহফুজ।
এরপর ভুক্তভোগী নারী কান্না করলে মাহফুজের ভাই জসিম এবং স্ত্রী শারমিন সাদা কাগজে ওই নারীর স্বাক্ষর নেন। পরে তথ্যপ্রযুক্তির সহায়তায় মাহফুজকে গ্রেফতার করা হয়। সেই সঙ্গে ওই নারীকে উদ্ধার করা হয়।