ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশনের আওতাধীন পল্লবী মিরপুর ১১ নাম্বার এলাকার নান্নু মার্কেট সংলগ্ন একটি বাসায় দীর্ঘদিন যাবৎ অসামাজিক কার্যকলাপ ও অবৈধ লেনদেনের অভিযোগ রয়েছে।
স্থানীয় এলাকাবাসী ও বিশ্বস্ত একটি সূত্রে জানায়, বাড়িটির মালিক অনত্র বসবাসের সুবাদে বাড়ির দারোয়ান তার স্ত্রী গ্রামগঞ্জের গরীব মেয়েদের চাকুরী দেওয়ার কথা বলে বাসায় নিয়ে আসে একপর্যায়ে তাদের ভয়ভীতি দেখিয়ে অসামাজিক কাজে করতে বাধ্য করে।এছাড়াও এখানে মাদক সেবন ও বিক্রির নিরাপদ স্থান হিসেবে বাড়িটিকে ব্যবহার করা হয়।
স্থানীয় বাড়িওয়ালা ও একাধিক ভাড়াটিয়াদের সাথে কথা বলে জানা যায়, বাউনিয়াবাঁধ এলাকার কুখ্যাত মাদক ব্যবসায়ী আল ইসলাম গং এর অবাধ যাতায়াত রয়েছে এই বাড়িতে। প্রায় প্রত্যেকদিন রাতেই এখানে মাদকের আসর বসে। বহু লোকের অবাধ যাতায়াত রয়েছে এই বাড়িতে। মাদক ব্যবসায়ীরা প্রভাবশালী হওয়ায় তাদের ভয়ে কেউ মুখ খুলতে নারাজ।
সচেতন মহল মনে করেন তাদেরকে এখান থেকে অপসারন না করলে এলাকার যুব সমাজের অপূরনীয় ক্ষতি হয়ে যাবে।
যেখানে সরকার মাদকের বিরুদ্ধে জিরো টলারেন্স ঘোষনা করেছে সেখানে তারা অদৃশ্য ক্ষমতার বলে মাদক ও দেহ ব্যবসার মতো জঘণ্য অনৈতিক কার্যক্রম পরিচালনা করছে তা আমাদের বোধগম্য নয়।
অন্য সূত্রে জানা যায়, বাড়ি নং ০৯, রোড নং-৫, সেকশন-১১, মিরপুর, থানা-পল্লবী, ঢাকা-এর ঠিকানায় বিগত কয়েক বৎসর পূর্বে মোঃ মোতালেবের পুত্র মোঃ সাইফুল ইসলামকে দারোয়ান হিসেবে নিয়োগ প্রদান করা হয়। বর্তমানে উক্ত দারোয়ান তার স্ত্রী পারভীন, পুত্র বিপু সহকারে অত্র এলাকার চিহ্নিত মাদক ব্যবসায়ী আল ইসলামগং বাড়িটির মধ্যে অসামাজিক কার্যক্রম পরিচালনা করছে। এই ব্যাপারে পল্লবী থানায় একটি সাধারন ডায়েরী করা হয়েছিল। যার নং-১৯৬২।এই বিষয়ে বাড়ির মালিক মোঃ সোহাগের সাথে কলা বললে তিনি এই প্রতিবেদককে বলেন, বাড়িতে অনৈতিক কার্যক্রমের বিষয়টি আমরা ডিসি মিরপুর ও পল্লবী থানাকে অবগত করা হয়েছে ও বিষয়টি তারা দেখছেন বলে জানান।
এই বিষয়ে স্থানীয় কাউন্সিলর আব্দুর রউফ নান্নুর সাথে যোগাযোগ করলে তার মোবাইল ফোনটি বন্ধ পাওয়া যায়।