এক মাদ্রাসা শিক্ষকের কাছে প্রাইভেট পড়তে বলায় ওই শিক্ষকের আট মাস আগে করা একটি ধর্ষণের ঘটনা ফাঁস করেছে এক কিশোরী। এ ঘটনার সত্যতা অভিযুক্তের কাছে এলাকাবাসী জানতে চাইলে তিনি পালিয়ে যান। শনিবার (২৪ অক্টোবর) বিকেলে স্থানীয়রা তাকে আটক করে পুলিশে দিয়েছে। ভুক্তভোগীর মা ওই শিক্ষকের বিরুদ্ধে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে ধর্ষণ মামলা দায়ের করেছেন। তবে পুলিশের কাছে ঘটনা অস্বীকার করেছেন অভিযুক্ত।
গ্রেফতার মুফতি ইসমাইল (৩৪) নাটোরের বড়াইগ্রাম উপজেলার বনপাড়া উম্মে হাতুন মুমিনীন মহিলা মাদ্রাসার সুপার এবং কালিকাপুর পশ্চিমপাড়া জামে মসজিদের ঈমাম। তিনি গুরুদাসপুর উপজেলার শাহীবাজার গ্রামের আব্দুল লতিফের ছেলে।
স্থানীয় এক ব্যক্তি জানান, তিনি তার ৫ম শ্রেণি পড়ুয়া শ্যালিকাকে মাদ্রাসা সুপার মুফতি ইসমাইলের কাছে প্রাইভেট পড়তে বলেন। কিন্তু সে মাদ্রাসা সুপারের নাম শুনে ভয় পায় এবং তার কাছে পড়বে না বলে জানায়। এ কারণে তার কাছে না পড়তে চাওয়ার কারণ জানতে চান তিনি। এর জবাবে তার কিশোরী শ্যালিকা জানায়, ওই সুপার তার এক বান্ধবীকে ফেব্রুয়ারি মাসে ‘খারাপ কাজ’ করেছে।
তিনি জানান, এ কথা জানতে পেরে তিনি বিষয়টি যাচাই করতে ভুক্তভোগী কিশোরীর কাছে যান। তার কাছে ওই ঘটনার কথা জানিয়ে ভুক্তভোগী কাঁদতে থাকে। এরপর বিষয়টি জানাজানি হলে এলাকার লোকজন শনিবার সকালে ওই সুপারকে এ ঘটনার কথা জিজ্ঞেস করে। এসময় সুপার পাশের বিলে দৌড়ে পালায়। গ্রামবাসীও তাকে ধাওয়া দিয়ে আটক করে। এরপর বনপাড়া তদন্তকেন্দ্রের পুলিশের কাছে তাকে সোপর্দ করা হয়।
বনপাড়া পুলিশ তদন্তকেন্দ্রের ইনচার্জ তৌহিদুল ইসলাম ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে বলেন, মুফতি ইসমাইল নামের ওই সুপারকে আটক করার পর শনিবার বিকেলে ভুক্তভোগীর মা বাদী হয়ে সুপারের বিরুদ্ধে বড়াইগ্রাম থানায় ধর্ষণ মামলা করেন। তাকে ওই মামলায় গ্রেফতার দেখানো হয়েছে।
বড়াইগ্রাম থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আনোয়ারুল ইসলাম মামলার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।
ওসি জানান, মামলায় ভুক্তভোগীর মা দাবি করেছেন, ওই আবাসিক মাদ্রাসায় থেকে তার মেয়ে পড়ালেখা করতো। গত ২৩ ফেব্রুয়ারি ওই মাদ্রাসার সুপার তার মেয়েকে ধর্ষণ করে। কিন্তু তার মেয়ে এ ঘটনা চেপে রেখে মানসিক চাপে দিন কাটাচ্ছিল। শনিবার ঘটনা প্রকাশ পাওয়ার পর তিনি মামলা দায়ের করেন।