কুমিল্লা সদর দক্ষিণ থানা এলাকার খেয়াইশ এলাকায় স্কুল থেকে বাড়ি ফেরার পথে তাজরিন সুলতানা ঝুমু নামে ৯ বছরের এক শিশুকে ধর্ষণের পর হত্যা করা হয়েছে।
গতকাল সোমবার বিকেলে শিশুটির বিবস্ত্র লাশ খৈয়াইশ রাস্তার পাশের একটি ধানক্ষেত থেকে উদ্ধার করা হয়েছে। ধারণা করা হচ্ছে- শিশুটিকে ধর্ষণের পর গলাটিপে হত্যা করা হয়েছে।
ঝুমু উপজেলার গলিয়ারা উত্তর ইউনিয়নের খিলপাড়া গ্রামের জাকির হোসেনের একমাত্র মেয়ে। সে সোনালি শিশু বিদ্যানিকেতনের তৃতীয় শ্রেণির ছাত্রী ছিল।
ঝুমুর মা রাজিয়া সুলতানা বলেন, প্রতিদিনের মতো সোমবার সকালেও আমার মেয়েকে নিজ হাতে ভাত খাইয়ে স্কুলে দিয়ে আসি। কিন্তু স্কুল ছুটির অনেক সময় পার হয়ে যাওয়ার পরও ঝুমু বাড়িতে না আসায় চারদিকে খোঁজাখুঁজি শুরু করি। একপর্যায়ে আমি সদর দক্ষিণ থানায় জিডি করতে রওনা দেই। অর্ধেক রাস্তা যাওয়ার পর খবর পাই আমার মেয়ে রাস্তার পাশের ধানক্ষেতে মৃত অবস্থায় পড়ে আছে। আমি আমার মেয়ের হত্যাকারীর ফাঁসি চাই।
সদর দক্ষিণ মডেল থানার ওসি আলমগীর হোসেন বলেন, ৯ বছরের একটি মেয়েকে এভাবে হত্যা করবে এটা অভাবনীয়। এ ঘটনায় শক্ত মামলা হচ্ছে। শিশুটির মরদেহ থানায় রয়েছে। দ্রুত সময়ে অপরাধীকে গ্রেফতার করতে অভিযান অব্যাহত রয়েছে।
তিনি আরও বলেন, মঙ্গলবার সকালে ময়নাতদন্তের জন্য মরদেহ কুমিল্লা মেডিকেলে পাঠানো হবে। এরপর জানা যাবে কিভাবে হত্যা করা হয়েছে। তবে প্রাথমিক আলামত দেখে মনে হচ্ছে শিশুটিকে ধর্ষণের পর হত্যা করা হয়েছে।