কুমিল্লার বরুড়ায় পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির কর্মকর্তা শরিফ উদ্দিনকে হত্যার দায়ে স্ত্রীকে যাবজ্জীবন ও তার পরকিয়া প্রেমিককে মৃত্যুদণ্ডাদেশ দিয়েছে আদালত।
মঙ্গলবার (২৩ জানুয়ারি) দুপুরবেলা কুমিল্লার অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ ৪র্থ আদালতের বিচারক জাহাঙ্গীর হোসেন এ রায় দিয়েছেন।
মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আসামীর নাম মো. আশিকুজ্জামান। সে কুমিল্লার বরুড়া উপজেলার ঝলমের চেঙ্গাছাল এলাকার নাসিরুল আলমের ছেলে।অপরদিকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ডপ্রাপ্ত আসামী মোনালিসা হিমু সিরাজগঞ্জ সদরের হোসেনপুর এলাকার আব্দুল মান্নানের মেয়ে।
নিহত শরিফ উদ্দিন কুমিল্লার বরুড়া উপজেলার পল্লী বিদ্যুৎ কর্মকর্তা হিসেবে দায়িত্বরত ছিলেন । তিনি সিরাজগঞ্জ জেলার কামারখন্দ উপজেলার ভদ্রঘাট এলাকার বাসিন্দা।
আদালত ও মামলার নথির বিবরণে জানা যায়, ২০২০ সালের ১৫ জানুয়ারি রাতে কুমিল্লার বরুড়া উপজেলার পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি-১ এর ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা শরিফ উদ্দিনকে তার ভাড়া বাসায় স্ত্রী হিমু পরকিয়া প্রেমিক মো. আশিকুজ্জামান নিয়ে হত্যা করে। পরদিন ডাকাতির ঘটনা সাজিয়ে থানায় ডাকাতি ও হত্যা মামলা করেন স্ত্রী হিমু। পরবর্তীতে হত্যা মামলাটি তদন্তে প্রকৃত ঘটনা উদঘাটন করেন জেলা গোয়েন্দা পুলিশ। ডিবি পুলিশ তদন্ত শেষে মামলার চার্জশীটে ভিকটিমের স্ত্রী হিমু ও আশিকুজ্জামানকে আসামি করা হয়।
মামলার এপিপি মো. আবু ইউসুফ মুন্সী নাগরিক খবরকে জানান, নিহত শরিফের স্ত্রী হিমু তার প্রেমিকের সহযোগিতায় স্বামীকে হাতুড়ি দিয়ে মাথায় আঘাত করেন। পরে রক্তক্ষরণ হয়ে হাসপাতালে নেওয়ার পথে মারা যান। এ মামলায় আসামীদের বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগ সন্দেহাতীতভাবে প্রমাণিত হওয়ায় হিমুর তিনটি নাবালক সন্তান থাকায় আদালত তাকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড এবং অপর আসামী আশিকুজ্জামানকে মৃত্যুদণ্ডাদেশসহ প্রত্যেককে ৫০ হাজার টাকা অর্থদণ্ড প্রদান করেন।