কুমিল্লায় ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশ (টিআইবি)’র অনুপ্রেরণায় গঠিত সচেতন নাগরিক কমিটি (সনাক) কুমিল্লার উদ্যোগে আন্তজার্তিক তথ্য অধিকার দিবস ২০২০ উদ্যাপন উপলক্ষে গতকাল এক ভার্চুয়াল আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) মোহাম্মদ নুরুজ্জামান এর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত আলোচনা সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন কুমিল্লার জেলা প্রশাসক মোঃ আবুল ফজল মীর। আলোচনার শুরুতে সনাক কর্তৃক জেলার ওয়েব পোর্টাল পুনঃ পর্যবেক্ষণ এর প্রতিবেদন উপস্থাপন করেন সভাপতি বদরুল হুদা জেনু।
তিনি বলেন, গত মার্চ মাসে জেলার ওয়েব পোর্টাল পর্যবেক্ষণ এর প্রতিবেদন জেলা প্রশাসক মহোদয়ের বরাবরে উপস্থাপনের পর তার দপ্তর থেকে খুব দ্রুত জেলার ওয়েব পোর্টাল সমূহ হালনাগাদের জন্য নির্দেশনা জারি করা হয়। কিন্তু সেপ্টেম্বর মাসের শেষের দিকে এসে আমরা আবার জেলার ওয়েব পোর্টাল পুনঃ পর্যবেক্ষণ করি এবং এতে ওয়েব পোর্টাল হাল নাগাদের কিছুটা উন্নতি লক্ষ্য করা যায় তবে তা সন্তোষজনক নয়। তিনি জেলার ওয়েব পোর্টাল সমূহ হালনাগাদের জন্য পূর্বের সুপারিশসমূহ বাস্তবায়নের দাবী জানান।
প্রধান অতিথি তার বক্তব্যে বলেন, জাতীর পিতার কন্যা শেখ হাসিনার সরকার ক্ষমতায় আসার পর তথ্য অধিকার আইন ২০০৯ প্রনীত হয়। এই তথ্য অধিকার আইনের মূল লক্ষ্য হল তথ্যের অবাধ প্রবাহ এবং জনগণের অবাধ তথ্য প্রবাহ নিশ্চিতকরণের মাধ্যমে প্রজাতন্ত্রের সকল ক্ষমতার মালিক জনগণের ক্ষমতায়ন নিশ্চিত করা। জনগণ রাষ্ট্রের সব কর্তৃপক্ষের ওপর এই আইন প্রয়োগ করতে পারে। কোবিড-১৯ পরিস্থিতির কারণে দেশে ক্রান্তিকাল চলমান রয়েছে। সংকট কালেও মানুষের তথ্যের অধিকার নিশ্চিত করা গেলে দুর্নীতি হ্রাসসহ সুশাসন প্রতিষ্ঠিত হবে।
তিনি বলেন, সব মানুষের সুযোগের সমতা, সম্পদের সুষম বন্টন, সব মৌলিক অধিকার বাস্তবায়ন, প্রান্তিক ও পিছিয়ে পড়া জনগোষ্ঠীর সামাজিক নিরাপত্তার অধিকার প্রদান প্রজাতন্ত্রের কর্মে নিয়োজিত ব্যক্তিদের দ্বারা নিশ্চিতকরণে তথ্য অধিকার আইন হতে পারে অন্যতম চাবিকাঠি। তথ্য অধিকার আইন ব্যবহার করে বিভিন্ন মন্ত্রণালয়/বিভাগ/দফতর/অধিদপ্তর ও বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের গৃহীত সেবা, সম্পদ ও নিরাপত্তা বেষ্টনীতে জনগণের অবাধ প্রবেশ নিশ্চিতকরণে এবং এগুলো এভাবে বাস্তবায়নের মাধ্যমে সব জনগোষ্ঠীকে উন্নয়নের মূল ¯্রােতধারায় নিয়ে আসা সম্ভব। তিনি কুমিল্লা জেলার সকল সরকারি ও বেসরকারি প্রতিষ্ঠানসমূহকে তথ্যের অবাধ প্রবাহ নিশ্চিতকরার জন্য দ্রুততম সময়ের মধ্যে জেলার স্ব-স্ব প্রতিষ্ঠান সমূহের ওয়েব পোর্টাল নিয়মিত ভাবে হালনাগাদ করার জন্য পরামর্শ দেন।
তিনি আরো বলেন, তথ্য অধিকার আইন বাস্তবায়নে গনমাধ্যম কর্মীদেরও ভূমিকা আছে। কিছু কিছু ব্যক্তি ফেইসবুক, ইউটিউব ও অন্যান্য যোগাযোগ মাধ্যম অপ্রপ্রচার চালিয়ে জনগণকে বিভ্রান্ত করে। তাদের বিষয়ে সবাইকে সর্তক থাকার পরামর্শ দেন। অনুষ্ঠানে বিভিন্ন সরকারি-বেসরকারি সংস্থার প্রতিনিধিবৃন্দ, সনাক সদস্য, টিআইবি কর্মকর্তা, ইয়েস ও ইয়েস ফেন্ডস্ সদস্য, বিভিন্ন প্রিন্ট ও ইলেট্রনিক মিডিয়ার সাংবাদিকবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।