ওপরের নির্দেশে আমাকে মেয়র পদ থেকে বাদ দেওয়া হয়েছে বলে দাবি করেছেন গাজীপুর সিটি করপোরেশনের সাবেক মেয়র জাহাঙ্গীর আলম।
সোমবার (২২ মে) রাত ১০টায় মহানগরের হারিকেন এলাকার নিজ বাসভবন থেকে ফেসবুক লাইভে এসে এমন দাবি করেছেন বরখাস্ত হওয়া এই মেয়র।
ফেসবুক লাইভে জাহাঙ্গীর আলম বলেন, ‘৫৭টি ওয়ার্ড নিয়ে গাজীপুর সিটি করপোরেশন গঠিত। আপানারা জানেন আগামী ২৫ মে সিটি নির্বাচন। এই নির্বাচনে আমার মা জায়েদা খাতুন টেবিল ঘড়ি প্রতীকে লড়ছেন। জন্মের পর থেকে আমি আওয়ামী লীগ পরিবারের সঙ্গে জড়িত। অত্যন্ত দুঃখের বিষয় আমাকে না বলে, কিছু জিজ্ঞেস না করে, গাজীপুরের কোনও মানুষ আমার বিরুদ্ধে অভিযোগ না দেওয়ার পরও জেলার বাইরের একজন মানুষ মিথ্যা তথ্য দিয়ে চিঠি দেওয়ার পর আমাকে মেয়র পদ থেকে বাদ দেওয়া হয়। যত কৌশল আছে সবগুলো অবলম্বন করা হয়। পরে আমি এক মন্ত্রীর সঙ্গে যোগাযোগ করলে তিনি বলেন, ওপরের নির্দেশে আমাকে বাদ দেওয়া হয়েছে।’
তিনি আরও বলেন, আমি বলেছিলাম আমার দোষ কী? মন্ত্রী বলেছেন, কোনও অপরাধ নেই, দোষও নেই। একটা ইশারায় বাদ দেওয়া হয়েছে। এখন আমার প্রশ্ন হচ্ছে, সিটি মেয়রকে ঢাকার ইশারায় বা কোনও অদৃশ্য শক্তির কারণে যদি (মেয়রের পদ) মন্ত্রণালয় থেকে বাদ দেওয়া হয় তাহলে সিটির ১২ লাখ ভোটারের দাম কী? তাদের ভোটের মূল্যায়ন কীভাবে হবে?
আমাকে বাদ দেওয়ার পর সিটির উন্নয়নমূলক কর্মকাণ্ড থেমে গেছে উল্লেখ করে জাহাঙ্গীর আলম বলেন, এ অবস্থায় মা প্রার্থী হয়ে আমার অসমাপ্ত কাজগুলো শেষ করতে গাজীপুরবাসীর পাশে দাঁড়িয়েছেন। শহরকে রক্ষার জন্য এবং সুন্দর সিটি গড়ার জন্য আপনারা আমার মা জায়েদা খাতুনের পাশে দাঁড়ান। ঘড়ি মার্কায় ভোট দিন। আমরা সবাই মিলে একটি সুন্দর শহর উপহার দেবো। যে শহরে সবধরনের মানুষ নিরাপদে থাকবে। সুত্র:বিট্রি