কুমিল্লার দাউদকান্দিতে যুবলীগ নেতা জামাল হোসেন হত্যার ঘটনায় গ্রেফতার মাসুদের স্থগিত রিমান্ড আদেশ বাতিল করেছে আদালত।
সোমবার (২২মে) কুমিল্লা জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক হেলাল উদ্দিন এই আদেশে দেন।
জামাল হত্যায় মালদ্বীপে পালানোর সময় গোয়েন্দা পুলিশের হাতে গ্রেফতার মাসুদের তিন দিনের পুলিশি রিমান্ডে আর কোনো বাঁধা রইলো না।
সোমবার বিকেলে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন বাদী পক্ষের আইনজীবী মাসুদ সালাউদ্দিন। তিনি বলেন, ‘গত মঙ্গলবার মো মাসুদ এর তিন দিনের পুলিশি রিমান্ড আবেদন মঞ্জুরের পরদিন স্থগিত করে সিনি. জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালত। আজ জেলা ও দায়রা জজ আদালত সেই স্থগিতাদেশ বাতিল করে দেয়। তিন দিনের পুলিশি রিমান্ড গ্রহন করে। ফলে মাসুদের পুলিশি রিমান্ডের পথে আর বাঁধা রইলো না, আমরা আশা করি, মাসুদের রিমান্ডের মাধ্যমে জামাল হত্যাকান্ডের সকল তথ্য বেড়িয়ে আসবে’। পুলিশি রিমান্ড আবেদন সুত্রে জানা যায়, জামাল হত্যার পরিকল্পনা, অস্ত্র সরবরাহ ও আসামীদের নোয়াখালীতে আশ্রয়সহ বিদেশে পালানোর সংশ্লিষ্টতার বিষয়ে তথ্য বেরিয়ে আসতে পারে মাসুদের কাছ থেকে৷ গত ১১ মে মালদ্বীপ পালানোর সময় হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) হাতে গ্রেফতার হোন মাসুদ। সে দেবিদ্বার উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান ও কুমিল্লা উত্তর জেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক আবুল কালাম আজাদের ছোট ভাই।
গত ৩০ এপ্রিল দাউদকান্দির গৌরীপুর বাজারে যুবলীগ নেতা জামাল হোসেন হত্যার মামলার ১০ নাম্বার গ্রেফতারকৃত আসামী মো মাসুদ। প্রসঙ্গত, গত ৩০ এপ্রিল দাউদকান্দির গৌরীপুর বাজারে যুবলীগ নেতা জামাল হোসেনকে বোরকা পড়ে প্রকাশ্যে গুলি করে হত্যা করে দুর্বৃত্তরা। ঘটনায় এখন পর্যন্ত আলাদা কয়েকটি অভিযানে একজন শ্যুটারসহ মোট ১০ জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ ও র্যাব। এই হত্যাকান্ডে ব্যবহৃত দু’টি পিস্তল ও একটি রিভলবার ছাত্রলীগ নেতা মাজহারুল হক সৈকতের কাছ থেকে উদ্ধার করে গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি)। গত (১১মে) মালদ্বীপ পালানোর সময় হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে হত্যাকান্ডে জড়িত থাকার অভিযোগে মো মাসুদকে গ্রেফতার করে গোয়েন্দা পুলিশ।