রাজশাহীতে গভীর রাতে হাসপাতালে গৃহবধূর লাশ ফেলে পালিয়েছেন স্বামী ও শ্বশুর। সোমবার (১৫ মে) দিনগত রাত ২টার দিকে রাজশাহী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে এই ঘটনা ঘটে।
নিহতের নাম মাহজুবা খাতুন আঁখি (২৩)। তিনি নগরীর হাড়ুপুর এলাকার আরশাদ আলীর মেয়ে। এ ঘটনায় নিহতের বাবা মঙ্গলবার (১৬ মে) দুপুরে বাদী হয়ে নগরীর কাশিয়াডাঙ্গা থানায় চার জনকে আসামি করে মামলা করেছেন।
মামলার এজাহার থেকে জানা গেছে, তিন বছর আগে কাশিয়াডাঙ্গা হাড়ুপুরের আরশাদ আলীর মেয়ে আঁখির বিয়ে হয় কাশিয়াডাঙ্গা কাঁঠালবাড়িয়া সজিবরের ছেলে আতিকুল ইসলামের সঙ্গে। বিয়ের কিছুদিন পর থেকে তাকে মানসিক ও শারীরিক নির্যাতন করেন স্বামীসহ শ্বশুরবাড়ির লোকজন। সোমবার রাতে পলি বেগম নামের এক প্রতিবেশী এরশাদ আলীর বাড়িতে গিয়ে খবর দেন, তার মেয়ে আত্মহত্যা করেছেন। তাকে রামেক হাসপাতালে নিয়ে গেছেন তার শ্বশুরবাড়ির লোকেরা। দ্রুত হাসপাতালে গিয়ে দেখেন, তার মেয়ের লাশ হাসপাতালের ট্রলির ওপর পড়ে আছে। তাকে রেখে শ্বশুরবাড়ির লোকেরা পালিয়ে গেছেন।
আরশাদ আলী বলেন, সোমবার রাত ১২টা থেকে রাত ১টার মধ্যে আমার মেয়েকে নির্যাতন করে তার শ্বশুরবাড়ির লোকেরা পরিকল্পিতভাবে হত্যা করেছে। হত্যাকাণ্ড ধামাচাপা দিতে স্বামী ও তার শাশুড়ি রাশিদা, শ্বশুর সজিবর আত্মহত্যার নাটক সাজিয়েছে।
কাশিয়াডাঙ্গা থানার ওসি মনিরুল ইসলাম বলেন, প্রাথমিকভাবে পুলিশ ধারণা করছে, শ্বশুরবাড়ির লোকদের প্ররোচনায় আত্মহত্যা করেছে। এ জন্য আত্মহত্যার প্ররোচনার অভিযোগে এজাহার নেওয়া হয়েছে। আঁখির বাবা চার জনের নাম উল্লেখ করে ও অজ্ঞাত ২/৩ জনের বিরুদ্ধে মামলা করেছেন। মামলার পর থেকে আসামি গ্রেফতারে অভিযান চলছে।