বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ও সাবেক মন্ত্রী ড. খন্দকার মোশররফ হোসেন বলেছেন, ঐক্যবদ্ধ মুক্তিকামী জনতা কুমিল্লার টাউন হল ময়দান থেকে শেখ হাসিনার সরকারকে ‘লালকার্ড’ প্রদর্শন করবে। কুমিল্লায় এই গণসমাবেশ হবে কুমিল্লার স্মরণকালের বড় সমাবেশ। আমাদের কাছে যে খবর আছে, এরই মধ্যে কুমিল্লা নগরী ও এর আশপাশের এলাকায় বিভিন্ন স্থান থেকে লাখো নেতাকর্মী চলে এসেছেন।
শুক্রবার (২৫ নভেম্বর) বেলা ১১টায় কুমিল্লা নগরীর একটি রেস্তোরাঁয় বিএনপির বিভাগীয় গণসমাবেশের বিষয়ে অবহিত করতে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এ কথা বলেন তিনি। সমাবেশ সমন্বয় কমিটির প্রধান উপদেষ্টাও ড. খন্দকার মোশররফ হোসেন।
তিনি বলেন, কুমিল্লা সাংগঠনিক বিভাগের প্রায় প্রতিটি জেলা-উপজেলায় গণসমাবেশকে কেন্দ্র করে সরকারি দল ও পুলিশ তাণ্ডব চালাচ্ছে। তবে তারা যতই নিপীড়ন করুক কুমিল্লা বিভাগবাসীকে শনিবার (২৬ নভেম্বর) কোনো অপশক্তি দমিয়ে রাখতে পারবে না। দেশের বিভিন্ন বিভাগে এ পর্যন্ত ৭টি বড় সমাবেশ হয়েছে। এ পর্যন্ত যেখানেই আমাদের সমাবেশ হয়েছে, সেখানে সরকারের হাইব্রিড নেতারা হামলা চালিয়েছে। তবে সকল বাধা-বিপত্তিকে জয় করে সমাবেশ সফল হয়েছে।
তিনি আরও বলেন, সমাবেশে লোকসমাগম ঠেকাতে কুমিল্লা, চাঁদপুর ও ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার বিভিন্ন উপজেলায় সরকারদলের হেলমেট বাহিনীর হামলার শিকার হচ্ছেন নেতাকর্মীরা। বাঞ্ছারামপুরে লিফলেট বিতরণকালে কনস্টেবল বিশ্বজিৎ কাছ থেকে গুলি চালিয়ে ছাত্রদল নেতা নয়ন মিয়াকে হত্যা করেছে।
খন্দকার মোশররফ হোসেন বলেন, গণতন্ত্র ও জনগণের ভোটাধিকার পুনরুদ্ধার, বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তি, বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের নির্বিঘ্নে স্বদেশ প্রত্যাবর্তন, অনির্বাচিত অবৈধ সরকারের পদত্যাগ, নিরপেক্ষ তত্ত্বাবধায়ক সরকার পুনর্বহাল করে আগামী জাতীয় নির্বাচন দেওয়া, জ্বালানি তেলসহ নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যমূল্যের সীমাহীন ঊর্ধ্বগতি, ব্যাংক থেকে অবৈধভাবে বিদেশে টাকা পাচার, গুলি করে বিএনপি নেতাকর্মীদের হত্যা, হামলা, মামলাসহ সরকারের নানান নির্যাতন ও নিপীড়নের প্রতিবাদে দেশের সকল বিভাগীয় পর্যায়ে বিএনপির গণ-সমাবেশ চলছে। সমাবেশকে কেন্দ্র করে গত কয়েকদিন গোটা কুমিল্লা শহর উৎসবের নগরীতে পরিণত হয়েছে।
সরকারের সমালোচনা করে ড. মোশাররফ বলেন, প্রধানমন্ত্রী বলেছিলেন লোডশেডিং মিউজিয়ামে পাঠানো হবে। কিন্তু দেশে বিদ্যুতের জন্য এখন হাহাকার চলছে।
মন্ত্রীদের ‘খেলা হবে’ বক্তব্যের সমালোচনা করে এই নেতা বলেন, আমরা রাজনীতি করি, খেলা হবে তো গণতন্ত্র উদ্ধারের জন্য। খালেদা জিয়া এতিমের টাকা মারেননি, টাকা ব্যাংকে পড়ে আছে। তারেক রহমানকেও ‘মিথ্যা অভিযোগে’ সাজা দেয়া হয়েছে। ফরমায়েশি রায়ে বেগম জিয়া ও তারেক রহমানকে সাজা দেওয়া হয়েছে।
সংবাদ সম্মলনে আরও বক্তব্য রাখেন দলের কেন্দ্রীয় ভাইস চেয়ারম্যান বরকত উল্লাহ বুলু ও সাংগঠনিক সস্পাদক (কুমিল্লা বিভাগ) মোস্তাক মিয়াসহ কুমিল্লার বিভিন্ন পর্যায়ের নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।