কিশোরগঞ্জের ভৈরবে প্রতিবেশীর সাতমাস বয়সী শিশুকে হত্যার দায়ে কল্পনা বেগম (৩৯) নামে এক নারীকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত।
দণ্ডপ্রাপ্ত কল্পনা বেগম জেলার ভৈরব উপজেলার শম্ভুপুর-বড়কান্দা গ্রামের সেরাজ মিয়ার স্ত্রী। রায়ে তাকে যাবজ্জীনসহ ২০ হাজার টাকা জরিমানা ও অনাদায়ে আরো ছয় মাসের কারাদণ্ড দেওয়া হয়। সোমবার বিকেলে মামলার একমাত্র আসামি ওই নারীর উপস্থিতিতে কিশোরগঞ্জ জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক সিনিয়র জেলা ও দায়রা জজ মো. সায়েদুর রহমান খান এ রায় দেন।
মামলার বিবরণ ও আদালত সূত্রে জানা গেছে, ২০১৭ সালের ২১ জুলাই পূর্ববিরোধের জেরে প্রতিবেশী শিল্পী বেগমের সাত মাস বয়সী ছেলে নূরুন্নবীকে ঘর থেকে অপহরণের পর শ্বাসরোধে হত্যা করে কল্পনা ও তার ভাই নাহিদ মিয়া। তিন দিন পর (২৪ জুলাই) ওই শিশুর লাশ গ্রামের দক্ষিণপাশের ময়লার স্তুপ থেকে উদ্ধার করে পুলিশ। পরদিন শিশুটির মা থানায় মামলা করতে গেলে হত্যা মামলা নেয়নি ভৈরব থানা পুলিশ। তবে সেদিন একটি অপমৃত্যু মামলা দায়ের করা হয়।
২২ আগস্ট নিহত শিশু নূরুন্নবীর মা শিল্পী বেগম বাদী হয়ে কিশোরগঞ্জ আদালতে একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। এতে কল্পনা ও তার ভাই নাহিদকে আসামি করা হয়। আদালতের নির্দেশে ২০১৮ সালের ১৪ জানুয়ারি মামলাটি রেকর্ড করে ভৈরব থানা পুলিশ। মামলার পর প্রধান আসামি কল্পনাকে গ্রেপ্তার করা হয়।
৮ ফেব্রুয়ারি কল্পনা বেগম আদালতে ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেন। তদন্ত শেষে ২০১৮ সালের ২৬ ডিসেম্বর আদালতে কল্পনার বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দাখিল করেন তদন্ত কর্মকর্তা ভৈরব থানার উপপরিদর্শক হাবিবুর রহমান।