বোলিং-ব্যাটিং ব্যর্থতায় টি-টোয়েন্টি ফরম্যাটে নারী এশিয়া কাপে ভারতের কাছে হারলো বাংলাদেশ।
আজ টুর্নামেন্টের ১৫তম ও নিজেদের চতুর্থ ম্যাচে ভারতের কাছে ৫৯ রানে হারের লজ্জা পায় বাংলাদেশ নারী দল। গত এশিয়া কাপের ফাইনালে এই ভারতকে হারিয়ে শিরোপা জিতেছিলো বাংলাদেশ।
৪ ম্যাচে অংশ নিয়ে সমান ২টি করে জয়-হারে ৪ পয়েন্ট নিয়ে টেবিলের চতুর্থস্থানে এখন বাংলাদেশ। ৫ ম্যাচে ৪ জয় ও ১ হারে ৮ পয়েন্ট নিয়ে টেবিলের শীর্ষে থেকে সেমিফাইনালে পথে এক ধাপ এগিয়ে গেল ভারত।
সিলেট আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামে অনুষ্ঠিত ম্যাচে টস জিতে প্রথমে ব্যাটিং করতে নামে ভারত। ব্যাট হাতে ভারতকে দুর্দান্ত সূচনা এনে দেন দুই ওপেনার শেফালি ভার্মা ও অধিনায়ক স্মৃতি মন্দনা। ১২ ওভারে ৯৬ রান তুলেন তারা।
প্রথম ব্যাটার হিসেবে রান আউট হওয়ার ৩৮ বলে ৬টি চারে ৪৭ রান করেন মন্দনা। অধিনায়ক না পারলেও হাফ-সেঞ্চুরির দেখা পান ভার্মা। অর্ধশতকের পর ভাসর্মাকে ব্যক্তিগত ৫৫ রানে বোল্ড করেন বাংলাদেশের লেগ-স্পিনার রুমানা আহমেদ। ৪৪ বল খেলে ৫টি চার ও ২টি ছক্কা মারেন ভার্মা।
দলীয় ১১৪ রানের মধ্যে দুই ওপেনার ফিরলে, ভারতের রানের গতি কমে যায়। তবে তিন নম্বরে নামা জেমাইমা রড্রিগেজের ২৪ বলে অপরাজিত ৩৫ রানে কল্যাণে লড়াই করার পুঁিজই পায় ভারত। ২০ ওভারে ৫ উইকেটে ১৫৯ রান করে ভারত।
১৭তম ওভারের শেষ দুই বলে উইকেট নিয়ে হ্যাট্টিকের সম্ভাবনা জাগিয়েছিলেন রুমানা। কিন্তু শেষ পর্যন্ত হ্যাট্টিক করতে পারেননি তিনি। তারপরও ৩ ওভারে ২৭ রানে ৩ উইকেট নিয়ে বাংলাদেশের সফল বোলার রুমানা।
১৬০ রানের লক্ষ্যে ভালো শুরু করেছিলো বাংলাদেশও। তবে রান তোলার গতি ছিলো মন্থর। ৯ ওভারে ৪৫ রান তুলেন দুই ওপেনার ফারজানা হক ও মুরশিদা খাতুন। ২৫ বলে ২১ রান করে প্রথম আউট হন মুরশিদা। দলীয় ৬৮ রানে দ্বিতীয় ব্যাটার হিসেবে থামেন ফারজানা। ৪০ বলে ৩০ রান করেন তিনি।
এরপর মিডল-অর্ডার ব্যাটাররা দ্রুত ও বড় ইনিংস খেলতে না পারায় হারতে হয় বাংলাদেশকে। তিন নম্বরে নামা নিগার সুলতানা দ্রুত রান তুললেও, তার ২৯ বলে ৩৬ রান দলের হার রুখতে পারেনি। ২০ ওভারে ৭ উইকেটে ১০০ রান করতে পারে বাংলাদেশ। ভারতের ভার্মা-দিপ্তী ২টি করে উইকেট নেন। ম্যাচ সেরা হন ভার্মা।
আগামী ১০ অক্টোবর নিজেদের পঞ্চম ম্যাচে শ্রীলংকার মুখোমুখি হবে বাংলাদেশ।