পুলিশ বাহিনীর কর্ণধার হিসেবে আপনার প্রত্যাশা, সাফল্য ও ব্যর্থতা কতটুকু এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, “সাফল্য এবং ব্যর্থতা না বলে অর্জন বা অর্জন করতে না পারা এভাবে বিবেচনা করা উচিত। আমার যা অর্জন তা আপনাদের সম্মূখেই আছে। আর যেটুকু পারিনি সেটুকু আমার পরবর্তী উত্তরসূরি অর্জন করবে এমন আশাবাদ ব্যক্ত করি।”
সাংবাদিক সম্মেলনের শুরুতে বাংলাদেশ ক্রাইম রিপোর্টার্স এসোসিয়েশন( ক্র্যাব) এর সভাপতি ও বাংলাদেশ প্রতিদিন পত্রিকার বিশেষ প্রতিনিধি মির্জা মেহেদী তমাল বলেন, ক্রাইম রিপোর্টাসরা পুলিশকে বন্ধু মনে করে। ক্র্যাবের সদস্যদের সাথে বর্তমান আইজিপির সর্ম্পক ছিল মধুর ও বন্ধুত্বপূর্ণ। ক্র্যাবকে নিজের সংগঠন মনে করতেন তিনি। আধুনিক পুলিশের জন্য যা করা প্রয়োজন তিনি সকল কিছুই করেছেন। বাংলাদেশের মানুষ তার এই কাজের সুফল পেতে শুরু করেছে।
ক্র্যাব সব সময় মুক্তিযুদ্ধের চেতনার আলোকে কাজ করে থাকে এবং ভবিষ্যতেও করবে উল্লেখ করে আইজিপির সার্বিক মঙ্গল কামনা করেন তিনি। বর্তমান আইজিপির মত নবনিযুক্ত আইজিপিও ক্র্যাবের পাশে থাকবেন বলে আশা প্রকাশ করেন।
দৈনিক ইত্তেফাক পত্রিকার সিটি এডিটর আবুল খায়ের আইজিপি ও সাংবাদিক পরিবারের সুসর্ম্পকের কথা উল্লেখ করে বলেন, বাংলাদেশ ও বিশ্বে যখন করোনার আঘাত আসে তখন আইজিপির বলিষ্ঠ নেতৃত্বে পুলিশ জনগণের পাশে দাঁড়িয়ে বিরল নজির সৃষ্টি করেছে। যা সকল মহলে প্রংসশিত হয়েছে। ড. বেনজীর আহমেদ এর বিশেষ উদ্যোগে জনগণের পুলিশ বিনির্মাণের লক্ষ্যে দক্ষ ও যুগোপযোগী পুলিশ বাহিনী গড়তে বিদ্যমান পদোন্নতি পদ্ধতি ও পুলিশ নিয়োগের ক্ষেত্রে যে পরিবর্তন এনেছেন তা ইচ্ছা করলে কেউ ভাঙতে পারবে না।
তিনি আরও বলেন, সুন্দরবনকে জলদস্যুর ভয়াবহতা থেকে মুক্ত করে যে সুন্দর পরিবেশ সৃষ্টি করেছে তা আইজিপিরই অবদান। বর্তমান আইজিপি সব সময় আমাদের সহযোগিতা করেছেন ও পাশে ছিলেন। নবনিযুক্ত আইজিপিও সেভাবে আমাদের পাশে থাকবেন।
বিদায়ী সংবাদ সম্মেলনে বিভিন্ন ইলেক্ট্রনিক ও প্রিন্ট মিডিয়ার সাংবাদিকগণসহ নব নিযুক্ত আইজিপি চৌধুরী আবদুল্লাহ আল মামুন, বিপিএম, পিপিএম; ডিএমপি কমিশনার মোহাঃ শফিকুল ইসলাম, বিপিএম(বার); অতিরিক্ত আইজিপি (অ্যাডমিন) মোঃ কামরুল আহসান, বিপিএম (বার) ও র্যাব ডিজি এম খুরশীদ হোসেন, বিপিএম(বার), পিপিএম সহ বিভিন্ন পদমর্যাদার পুলিশ কর্মকর্তাগণ উপস্থিত ছিলেন।