কুমিল্লা তিতাস উপজেলার মজিদপুর ইউনিয়নের চর মোহনপুর গ্রামের সিয়াম (১৭) নামের কলেজ শিক্ষার্থীকে হত্যার ঘটনায় ৮ জনের নাম উল্লেখ করে মামলা দায়ের করা হয়েছে। ২২শে সেপ্টেম্বর রাতে নিহতের বাবা হেলাল সরকার বাদি হয়ে মামলাটি দায়ের করেন।
ঘটনার সাথে সাথেই আসামী ৮ জনকে গ্রেফতার করেছে তিতাস থানা পুলিশ। গ্রেফতারকৃত সবাই ২০২২ সালের দাখিল পরীক্ষার্থী।
আসামীরা হলেন, মেঘনা উপজেলার ব্রাহ্মনচর নোয়াগাঁও গ্রামের জয় মিয়ার পুত্র সাকিব হোসেন (১৯), নাজির হোসেনের পুত্র নাজমুল হাসান (১৯), জোনায়েদ ইসলাম শুভ (১৭), শফিক মিয়ার পুত্র সাইমুন মিয়া (১৯), আওলাদ হোসেনের পুত্র মাসুম বিল্লাহ রনি (১৯), বালুচর গ্রামের নুরুল হকের পুত্র ওমর ফারুক (১৯), আবুল কাশেম এর পুত্র জুনায়েদ আহমেদ সৌরভ (১৯) ও করিমাবাদ গ্রামের হেলাল এর পুত্র মুকুল আহমেদ রাব্বি (১৭)।
পুলিশ জানায়, নিহত সিয়াম এর নিকটতম আত্মীয়র সাথে মেঘনা উপজেলা ব্রাহ্মনচর নোয়াগাঁও গ্রামের নাজির হোসেনের পুত্র দাখিল পরীক্ষার্থী নাজমুল হাসান এর প্রেমের সম্পর্ক ছিলো, এই প্রেমের সম্পর্কে সিয়াম বাঁধা দিলে নাজমুল, সাকিবসহ ৭-৮ জন দাখিল পরীক্ষার্থী গত বৃহস্পতিবার দুপুরে তিতাস উপজেলার গাজীপুর আজিজিয়া সিনিয়র মাদ্রাসা পরীক্ষা কেন্দ্র থেকে পরীক্ষা দিয়ে বের হয়ে কেন্দ্রের সামনেই সিয়ামের সাথে কথা-কাটাকাটি হয়, একপর্যায়ে নাজমুল সিয়ামকে ধরে রাখলে সাকিব হোসেন পরপর দুইটি ছুরি দিয়ে আঘাত করলে সিয়াম মাটিতে লুটিয়ে পরে। পরে স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে তিতাস উপজেলার স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
এ বিষয় তিতাস থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সুধীন চন্দ্র দাস বলেন, ঘটনার সাথে জরিত ৮ জনকে গ্রেফতার করে শুক্রবার কুমিল্লা আদালতে প্রেরণ করা হয়েছে এবং মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য কুমিল্লা মেডিকেল হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। এ ঘটনায় নিহত সিয়ামের বাবা বাদী হয়ে তিতাস থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেছে। আকু