গত মধ্যরাতে তারাগঞ্জ উপজেলার রংপুর-দিনাজপুর মহাসড়কের নতুন শলেয়াশা খারুভাঁজ ব্রিজ পয়েন্টে দুটি যাত্রীবাহী বাসের মুখোমুখি সংঘর্ষে ৯ জন নিহত ও ৪০ জন আহত হয়েছেন।
রংপুর হাইওয়ে সার্কেলের সহকারী পুলিশ সুপার (এএসপি) জাহিদুর রহমান চৌধুরীকে বলেন, ‘ঢাকা থেকে ছেড়ে আসা একটি যাত্রীবাহী বাস ও ঠাকুরগাঁওয়ের রানীশংকৈল থেকে আসা আরেকটি বাস মুষলধারে বৃষ্টির মধ্যে বিপরীত দিক থেকে একে অপরকে ধাক্কা দিলে এই ভয়াবহ দুর্ঘটনা ঘটে।’ এতে ঘটনাস্থলেই ৫ জন নিহত হন এবং আজ সকালে রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে (আরপিএমসিএইচ) চিকিৎসাধীন অবস্থায় ৪ জন মারা যান। নিহতরা উভয় বাসের যাত্রী ছিলেন।
এএসপি চৌধুরী জানান, ‘নিহতরা হলেন- রংপুরের তারাগঞ্জ উপজেলার মহসিন হোসেন সাগর (৪২), আনিসুর রহমান (৪৮), আনোয়ার হোসেন (৩৫) ও ধনঞ্জয় চন্দ্র সেন (৪২), নীলফামারী জেলার সৈয়দপুর উপজেলার মাহবুব (৩০) ও অলিউল হাসান জুয়েল (২৭), মানিকগঞ্জের শিবালয় উপজেলার শহিদুল ইসলাম (৪০), লক্ষ্মীপুরের রায়পুর উপজেলার নয়ন (২৬) ও গাইবান্ধা জেলার সাদেক আলী (৫৬)।
তারাগঞ্জ হাইওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শেখ মোহাম্মদ মাহবুব মোর্শেদ জানান, ভয়াবহ সড়ক দুর্ঘটনার পরপরই প্রবল বৃষ্টির মধ্যে তারাগঞ্জ ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স স্টেশনের কর্মী এবং পুলিশ সদন্যরা ঘটনাস্থলে গিয়ে পৌঁছায়। ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সের কর্মীরা পুলিশ ও স্থানীয় লোকজনের সহায়তায় আহতদের উদ্ধার করে তারাগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ও আরপিএমসিএইচে পাঠায়।
প্রতিকূল আবহাওয়া সত্ত্বেও দুর্ভাগ্যজনক দুর্ঘটনার শিকার হওয়া যাত্রীবাহী বাস দুটির উদ্ধার কার্যক্রম এক ঘণ্টার মধ্যেই শেষ হয় উল্লেখ করে ওসি আরও বলেন, রাত ১টা ৪০মিনিট থেকে মহাসড়কে স্বাভাবিক যান চলাচল শুরু হয়।
এদিকে জেলা প্রশাসক (ডিসি) মো. আসিব আহসান, বগুড়া অঞ্চলের হাইওয়ে পুলিশ সুপার মুন্সি শাহাবুদ্দিন ও রংপুরের পুলিশ সুপার মো. ফেরদৌস আলী চৌধুরী ঘটনাস্থল ও হাসপাতাল পরিদর্শন করেছেন। ডিসি আরপিএমসিএইচ-এ চিকিৎসাধীন রোগীদের দেখতে গিয়ে বলেন,‘জেলা প্রশাসন নিহতদের প্রত্যেকের জন্য ২০ হাজার টাকা দেওয়ার ঘোষণা করেছে এবং আহতদের যথাযথ চিকিৎসা নিশ্চিত করার দায়িত্ব নিয়েছে।
এ ব্যাপারে তারাগঞ্জ থানায় একটি মামলা দায়ের হয়েছে।